কানাডার টরন্টোতে নবনির্মিত স্থায়ী শহিদ মিনারে একুশের প্রথম প্রহরে প্রবাসীদের ঢল
টরন্টো, ২১ ফেব্রুয়ারী ।। একুশের প্রথম প্রহরে সর্বজনীন একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন কমিটি, টরন্টো ২০২২ এর উদ্যোগে তিনদিন ব্যাপী আয়োজনমালার গতকাল ২১ শে ফেব্রুয়ারী ছিল শেষ দিন। অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল, প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত স্থানীয় সাংস্কৃতিক সংগঠন ও ব্যক্তিদের নিয়ে ভাচ্যুয়াল ও শারিরীকভাবে উপস্থিতিতে- একুশ, দেশের গান, কবিতা নিয়ে সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা। অনুষ্ঠানে কানাডার ক্রীয়াশীল সংগঠন- খেলাঘর, উদীচী, বাচনিক, অন্যস্বর, রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সংস্থা, আলোকধারা, সুকন্যা নৃত্যাঙ্গন, মহিলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সংগঠন, সংস্থা ও বিশিষ্ট শিল্পী, ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহন করেন। এ পুরো অনুষ্ঠান পরিচালনা ও তত্ত্বাবধান করেন, আহমেদ হোসেন, সুমন সাইয়েদ, কামরান করিম, জামিল বিন খলিল।
অনুষ্ঠানের শেষ দিন- কানাডার টরন্টোতে নবনির্মিত স্থায়ী শহীদ মিনার ও ভাষা স্তম্ভে বৃহত্তর টরন্টোর সকল সামাজিক, সাংস্কৃতি, পেশাজীবী, রাজনৈতিক সংগঠন ও ব্যক্তিবর্গ ভাষার বেদীতে প্রচন্ড ঠান্ডা ও তুষারপাত উপেক্ষা করে একুশের প্রথম প্রহর রাত ১২:০১ মিনিটে সারিবদ্ধভাবে হাজার জনতার উপস্থিতিতে প্রবাসী বাংলাদেশী ও বিভিন্নদেশের নাগরিকরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
প্রথম প্রহরে পুষ্পস্তবক অর্পনের পূর্বে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত ছিলেন ও সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন, টরন্টোর মেয়র জন টরি, সংসদ সদস্য নাথানিয়েল এরস্কিন-স্মিথ, প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য ডলি বেগম, কানাডার বাংলাদেশের হাই কমিশনার ড. খলিলুর রহমান, কাউন্সিলর ব্র্যাড ব্র্যাডফোর্ড, কাউন্সিলর গেরি ক্রফোর্ড, টরন্টোতে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মোঃ লুৎফুর রহমান।
এছাড়া একুশের সান্ধ্যকালীন অনুষ্ঠানে, বাংলাদেশের বিশিষ্ট কবি ও সর্বজনীন একুশ উদযাপন কমিটির উপদেষ্টা কবি আসাদ চৌধুরী ও কানাডাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের সম্মানিত রাষ্ট্রদূত ড. খলিলুর রহমান ভার্চ্যুয়ালি উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন।
আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, সর্বজনীন একুশ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক সৈয়দ শামসুল আলম, আহমেদ হোসেন, সুমন সাইয়েদ, লিটন মাসুদ, নওশের আলী, ড. মঞ্জুরে খোদা (টরিক) ও মাহবুব চৌধুরী রনি।
সভায় বক্তারা বলেন, নতুন প্রজন্মের প্রবাসীদের মধ্যে বাংলাভাষার বিকাশ-চর্চার এবং কানাডায় বাংলা সংস্কৃতির বিকাশ-বিস্তারে এই শহীদ মিনার ও ভাষা স্তম্ভ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। প্রতিবছর সর্বজনীন একুশ উদযাপন কমিটির মাধ্যমেই একুশ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করা হবে। এবং বাংলাদেশ ও কানাডার ঐতিহ্যের সাথে সঙ্গতি রেখে টরন্টোতেও একুশের প্রথম প্রহরে সম্মিলিতভাবে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে।
শহিদ মিনার সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন. মোজাহিদুল ইসলাম, আহাদ খন্দকার, ছাদ চৌধুরী, সাইদুন ফয়সাল, শিবু চৌধুরী, কফিল পারভেজ, খোকান আব্বাস, রাসেল রহমান, মোহম্মদ বাসার, রেজাওয়ন রহমান, জামাল উদ্দীন, আ ন ম ইউসুফ, আমরুল ইসলাম, জাকারিয়া চৌধুরী, ইলিয়াস খান, বাবলু চৌধুরী, আহমেদ লনী, সাকীব চৌধুরী, মকবুল হোসেন, আরীফ আহমেদ, দীন ইসলাম।