শরীরের কোথায় তিল থাকলে কি হয় তা নিয়ে জ্যোতিষ গবেষণা নতুন নয়৷ আধুনিক এই যুগে আপনি হয়তো বলতেই পারেন, যত্তসব কুসংস্কার! কিন্তু জানেন তো ‘বিশ্বাসে মিলায় বস্তু’৷
প্রাচীন সমুদ্র শাস্ত্রে তিল দেখে ভাগ্য নির্ধারণের পদ্ধতি বর্ণনা করা আছে। শরীরের বিভিন্ন অংশে তিলের উপস্থিতি, রং, আকৃতি প্রভৃতি দেখে আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ধারণা করতে পারি এবং মানুষ সম্পর্কেও ধারণা করতে পারি।। দীর্ঘ গবেষণার পর ভারতীয় উপমহাদেশীয় পণ্ডিতরা এসকল তত্ত্ব আবিষ্কার করেন।
চলুন আলোচনা করি কোথায় তিল থাকলে কি হয় :
গালে তিল থাকলে কি হয় : গালে তিল থাকলে সে অত্যন্ত ভাগ্যবান হয়। গালের ওপরের অংশে তিল থাকলে জীবনে আর্থিক পরিস্থিতি ভালো থাকে। আবার ডান গালে তিল থাকলে তিনি অত্যন্ত ধনী হন। তবে বাম গালে তিল থাকলে তা ব্যক্তিকে নির্ধন করে তোলে। আবার গালে লাল তিল থাকা অত্যন্ত শুভ লক্ষন।
কপালে তিল থাকলে কি হয় : যাদের কপালের ডান দিকে তিল থাকে তারা সৌভাগ্যবান হয়ে থাকে। আবার যাদের কপালের বাম দিকে তিল থাকে তারা নানারূপ কুমতলবী হয়।
মাথায় তিল থাকলে কি হয় : যে সব নবজাতক-নবজাতিকার মাথায় তিল থাকে তারা মেধাবী ও উদার প্রকৃতির হয়।
ঠোঁটে তিল থাকলে কি হয় : উপরের ঠোঁটে তিল থাকলে সে হয় কর্তব্যপরায়ন। আর নীচের ঠোঁটে তিল থাকলে সে হয় ভোগী ও বিলাসী।
মেয়েদের ঠোঁটে তিল থাকলে কি হয় জানেন, তাদের হৃদয় ভালোবাসায় ভরপুর হয় এবং এদের যৌনইচ্ছে প্রবল হয়৷ ছেলেদের ঠোঁটে তিল থাকলে সে খুব ভালো প্রেমিক হয়।
জিভে তিল থাকলে কি হয় : জিভের ডগায় তিল থাকলে সেই ব্যক্তি খুব ভাল বক্তা এবং বুদ্ধিমান হবেন ও খেতে ভালবাসবেন। জিভের মাঝখানে তিল থাকলে পড়াশোনায় বাধা পাবেন।
নাকে তিল থাকলে কি হয় : নাকের মাঝখানে তিল থাকলে তিনি হন শান্ত ও ধীর প্রকৃতির। নাকের বাম দিকে তিল থাকলে হয় হতভাগ্য। নাকের ডান দিকে তিল থাকলে সৌভাগ্যবান হয়ে থাকে।
ভ্রুতে তিল থাকলে কি হয় : ডান ভ্রুতে তিল থাকলে সে ব্যাক্তি হয় চিন্তাশীল। বাম ভ্রুতে তিল থাকলে তারা সব সময় কু-চিন্তায় লিপ্ত থাকে।
চিবুক বা থুতনিতে তিল থাকলে কি হয় : যাদের চিবুকে বা থুতনিতে তিল থাকে তারা দৃঢ়চেতা ও স্থির মতি সম্পন্ন হয়।
গলায় তিল থাকলে কি হয় : যাদের গলায় তিল থাকে তারা হয় জ্ঞানী-গুণী, বিদ্বান ও সুখী। আর গলার নীচের দু-পাশে তিল থাকলে সে জ্ঞানী ও ভাগ্যশালী হয়ে থাকে।
চোখের মধ্যে তিল থাকলে কি হয় : চোখের মধ্যে তিল থাকলে সে দূরদর্শী ও বিদ্বান হয়ে থাকে।
বুকে তিল থাকলে কি হয় : কারো বুকে তিল থাকলে সে হয় জ্ঞানী, সাহসী, সৌভাগ্যবাণ ও উদার। বুকের বাঁ পাশে তিল থাকলে দুরন্ত ও চঞ্চল হয়ে থাকে। আবার বুকের মাঝখানের তিল সুখী জীবনের ইঙ্গিত দেয়। মেয়েদের বুকে তিল থাকলে পরকীয়া জনিত সমস্যা হতে পারে।
হাতের তালুতে তিল থাকলে কি হয় : ডান হাতের তালুতে তিল থাকলে সে হয় উদ্যমী ও কর্মনিপুণ। বাম হাতের তালুতে তিল থাকলে সে অসৎ কর্মে লিপ্ত হতে পারে বলে ধারণা করা হয়।
কাঁধে তিল থাকলে কি হয় : যাদের কাঁধে তিল থাকে তারা হয় পরিশ্রমী। আবার কাঁধে তিল থাকার অর্থ জীবনে স্বামী বা স্ত্রী উভয় পক্ষই ভালবাসা ও সমর্থনে সমান। ডান কাঁধে তিল থাকলে সেই ব্যক্তি দৃঢ়চেতা হয়, আবার যাদের বাঁ কাঁধে তিল থাকে তারা অল্পতেই রেগে যান।
পেটে তিল থাকলে কি হয় : যাদের পেটে তিল থাকে তারা হয় ভোজনবিলাসী ও পেটুক।
পায়ের তালুতে তিল থাকলে কি হয় : যাদের ডান পায়ের তলায় তিল থাকে তারা খুব ভ্রমণপ্রিয় হয়। বাম পায়ে তিল থাকলে সে আবার অলস প্রকৃতির হয়।
কানে তিল থাকলে কি হয় : কানে তিল থাকলে ঐ ব্যাক্তি বিদ্বান ও সৌভাগ্যশালী হয়।
উরুতে তিল থাকলে কি হয় : ডান উরুতে তিল থাকলে স্বাস্থ্যবান হয় আর বাম উরুতে তিল থাকলে শ্রমের দ্বারা তার জীবনে উন্নতি আসে।
ছেলেদের কোথায় তিল থাকলে কি হয় :
ছেলেদের স্তনে তিল থাকলে কি হয় : ছেলেদের স্তনের ডান দিকের তিল ধন ও বুদ্ধির চিহ্ন আর বাঁ দিকের তিল নিরাশাপূর্ণ জীবনের সূচক।
ছেলেদের নিতম্বে তিল থাকলে কি হয় : পুরুষের নিতম্বে তিল কামুক ও আবেদনময় স্বভাবের পরিচায়ক।
ছেলেদের যৌনাঙ্গে তিল থাকলে কি হয় : ছেলেদের যৌনাঙ্গে তিল থাকার অর্থ সেই ব্যক্তি উদার ও সৎ, ভালো প্রেমিক ও দাম্পত্য জীবনে যৌনতা পছন্দ করেন।
মেয়েদের কোথায় তিল থাকলে কি হয় :
মেয়েদের স্তনে তিল থাকলে কি হয় : কোন মেয়ের ডান স্তনে লাল রঙের তিল থাকলে তিনি একাধিক পুত্রসন্তানের মা হবেন আবার কালো রঙের তিল থাকলে সে মেয়ে হবেন খুব চঞ্চলমতি, অস্থিরচিত্ত ও যৌনকাতর স্বভাবের।
মেয়েদের নিতম্বে তিল থাকলে কি হয় : মেয়েদের নিতম্বে তিল থাকলে বেশি সন্তান প্রজননের ইঙ্গিত দেয়। এরা তাদের পুরুষ সঙ্গীর চাইতেও বেশি কামুক হন।
মেয়েদের যৌনাঙ্গে তিল থাকলে কি হয় : মেয়েদের যৌনাঙ্গে তিল থাকলে সেই মেয়ের প্রবল যৌনক্ষুধা থাকে। এরা বিবাহিত ও সম্পদশালী পুরুষদের প্রতি আকৃষ্ট হন।
উপোরোক্ত তথ্যগুলো ইন্টারনেটে পাওয়া বিভিন্ন জ্যোতিষদের গবেষণা বা ধারণা মাত্র। এসব তথ্যে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ রইলো। আগের যুগের মানুষ জ্যোতিষ শাস্ত্রে বিশ্বাস রাখলেও বর্তমান আধুনিক ও বৈজ্ঞানিক যুগে মানুষ এসব কুসংকার হিসেবেই মনে করে। একজন মানুষ কেমন হবেন এটা তার পারিবারিক শিক্ষা, সামাজিক শিক্ষা, সংস্কৃতি, ধর্মীও বিশ্বাস, প্রাতিষ্টানিক শিক্ষা ইত্যাদির উপরেই নির্ভর করে বলে মনে করা হয়। আর মানুষের ভবিষ্যত তার বর্তমান কর্মের উপর নির্ভর করে আমরা এটাই বিশ্বাস করি।