গুচ্ছ কবিতা |||| অমিত কুমার রায়
যদি একবার
মৃত্যুকে যদি একবার দেখে যেতে পারতাম।
ঘুমোবার আগে বৃষ্টি দেখার মতো!
তারপর যদি দেখতে পেতাম
কে কাঁদছে স্বার্থের দহনে,
কেউ কেউ মনে মনে হাসছে,
ঈর্ষান্বিত হয়ে ভাবছে
বেশ হয়েছে ঠিক হয়েছে
কেউ হয়তো বা কিছুই বলছেনা মুখে,
হৃদয়ে বর্ষা বর্ষণ শ্রাবণ!
চোখের বৃষ্টিকে বাষ্প করে রাখে।
হয় তো বা সে দূর থেকে
বড্ড ভালোবেসেছিল,
অন্য বাগানে ফোটা
গোলাপের মতো,
কষ্টকে যেমন আঁকড়ে বাঁচে
না গোনা বসন্ত পার করে করে!
তেমনি নির্জনে আজও সে
বুকের আগুন চেপে রেখে
কাউকেই কিছু বলছেনা!
একমুঠো তাজা গাঁদা
সবার ফুল দানের মাঝে
মিশিয়ে গেল চোখের অন্তরালে!
আরো এমন কিছু কাহিনী কিম্বা
এমনি কিছু কবিতা যদি
মৃত্যুর পরে দাঁড়িয়ে লিখতাম!
সে ভুতের ভবিষ্যত বতর্মান অতীত!!
তোমরা পড়ছো
যদি দেখতে পেতাম
বড়ই খুশি হতাম।
_______________________________________
মান
শান্তি চুক্তি লিখে দিতে চাই,
বড্ড মানে বাজে তোমাদের!
ওটা যদি জেঠু লিখে দিয়ে যেতো
মানা যেতো তবে,
তবেই নাকি মান থাকতো!
পিতৃ- অনুজ সহোদর ভাইকে দানপত্র লিখছে
মানা যায়?বড্ড লজ্জার!
মান, অহঙ্কারে মত্তরা তাই
মৃত্যুর পরে শ্মশানে যায়নি,
জেঠু জেঠিমার অন্তেষ্টিতে অনুপস্থিত
স্বার্থের সম্পর্কে তিক্ততার তুষের আগুন!!
সেই মহাভারতের যুগে
অতি মানে কৌরব রব হারা! মনে পড়ে ?
নাহ্ অত কি বলে কি লাভ!
শান্তি কেউ দিতে চায়,
কেউ কেউ তা নিতে পারেনা,
কারণ
অশান্তি মদ না হলে
ওরা বাঁচেনা।
________________________________
বহুরূপীর মৃত্যু
বহুরূপী দেখতে পেলেই
ওরা ঢিল ছুঁড়ে মারে,
মৃত্যু হয় পথের ধারে!
গাছের রঙে যখন রঙ খেলে
রঙ লাগে আমার মনে!
ওরা ধর্মগ্রন্থের সার বোঝেনা
ধর্ম কি তাই জানা নেই,
পড়তেই পারে না ধর্ম গ্রন্থ
মানে অর্থ বোধের অগম্য।
অথচ
গুজবে কান দিয়ে
ইট পাটকেল মেরে
একটা নিরীহ প্রজাতির
ক্ষতি চায়!
ক্ষতি করে!
হয় তো একদিন পৃথিবীর বুক থেকে
মুছে যাবে বহুরূপী নাম!!
ওদের বোঝাতে হবে।
বহুরূপী ঘাড় নাড়ে
ঘেটুবুড়োর মতো,
নিজস্ব স্বভাবে।
শত্রু কে যে কার,নেই তার চেনা জানা ;
কাকতলীয় ঘাড় কে কবে দুলিয়ে ছিল
জানিনা,
তবে ওর জাতি দায়ী নয়
Oriental garden lizard ;
কেউ মেরোনা বন্ধু
পরিবেশ প্রাণী বন্ধুদের।
পশ্চিমবঙ্গ ভারত 711401