জয়িতা চট্টোপাধ্যায়-এর তিনটি কবিতা
ভোরবেলার উপহার:
আমার নতুন ঘরের জানলা দরজা একটু অন্যরকম,
রান্নাঘর, বাথরুম সবই আলাদা আলাদা বারান্দাটাও,দক্ষিণের জানলার কাছে একডাল সবুজ পাতা, শুধু অনেক দিন দেখিনি বৃষ্টি ভেজা ভোরবেলা, আলো আধারের ঘুমের ভেতর পাতাভরা গাছটা ফিরে আসে আমার জানলার নীচে
আমি জানলা খোলার আগেই চলে যায় রোদ্দুরের থেকে।।
বৃষ্টি=তুমি
বৃষ্টির মতোই তুমি আসো, কখনো বুঝতে পারি তোমার আসা, আবার কখনো নীরবে চলে আসো কিছুই টের পাওয়া যায় না,
হঠাৎ জানলার দিকে তাকিয়ে দেখি বৃষ্টি, নাকি তুমি দাঁড়িয়ে আছো, আবার হঠাৎ রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে ঝমঝম করে নেমে আসো
আমি ভিজে যাই আপাদমস্তক, বৃষ্টি আসার মতোই জটিল তোমার আসা, আবার কখনও ঝিরিঝিরি হয়ে আসো, ভিজে যায় আমার দালান চৌকাঠ,
কখনো আবার ঝপঝপ করে নামো, মাতাল হাওয়ায় সোঁ সোঁ শব্দ করে, আমার নৌকা তখন ভেসে যায়, ভেসে যায় আমার ছই, আমার আগুন রাঙা শরীর ভেজে, ভেজে তোমার নামের বই।।
প্রথম পাখি:
ভোরবেলার প্রথম পাখি ডাকার আগে
একফোঁটা শিশির টুপ করে
যেভাবে পড়ে নীচের পাতায়
আর পাতাটি শিউরে ওঠে
শিশিরের ছোঁয়া পেয়ে
সেভাবেই তোমার প্রতিটি স্পর্শ
ভিজিয়ে রাখে আমায়
আর ভোরের বেলা তখনই ডেকে ওঠে
প্রথম পাখি।।