জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে বঙ্গবন্ধুর ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন
নিউইয়র্ক, ২৬ মে ২০২৩, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বিশ্ব শান্তি পরিষদ কর্তৃক ‘জুলিও কুরি শান্তি পদক’ প্রদানের সুবর্ণজয়ন্তী যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন উপলক্ষে আজ নিউইয়র্কস্থ জাতিসংঘ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্থায়ী প্রতিনিধির নেতৃত্বে মিশনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারি জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয় এবং বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবিসংবাদিত নেতৃত্ব ও বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় তাঁর অসামান্য অবদান নিয়ে উন্মুক্ত আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
আলোচনা পর্বে রাষ্ট্রদূত মুহিত তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, আমাদের স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং তাঁর জীবনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকে তাঁর বিশ্ব শান্তির দূত হয়ে ওঠার বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু নিপীড়িত বাঙালি জাতিকে শোষণের শৃঙ্খল মুক্ত করে ক্ষান্ত হননি, দেশ বা বিদেশে যেখানেই মানবাধিকার লঙ্ঘন দেখেছেন, সেখানেই তিনি প্রতিবাদের ঝড় তুলেছেন। এ কারণেই বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ তাঁকে অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ জুলিও কুরি আন্তর্জাতিক শান্তি পদকে ভূষিত করা হয়। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি পদক প্রাপ্তি আন্তর্জাতিক অঙ্গণে বাংলাদেশের জন্য একটি অত্যন্ত শক্তিশালী সফ্ট পাওয়ার প্রতিষ্ঠা করেছে। একটি শান্তিকামী জাতি হিসেবে সারা বিশ্বে আমাদের গ্রহণযোগ্যতা সুদৃঢ় করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিপীড়িত মানুষের শান্তি প্রতিষ্ঠায় নিবেদিতভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর ‘পিস ডক্টিরিন’ অনুসরণ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে জাতিসংঘের বহুপাক্ষিক কূটনীতিতে বাংলাদেশ শান্তি প্রতিষ্ঠা কার্যক্রমে নেতৃত্বশীল ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
অবশেষে রাষ্ট্রদূত মুহিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাইকে জাতির পিতার আদর্শে মানবতা ও শান্তির পক্ষে কাজ করার জন্য আহ্বান জানান।