প্রবাসের সংবাদ ফিচার্ড

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: গ্রিসে উদ্‌যাপিত হলো বঙ্গবন্ধুর “জুলিও কুরি” শান্তি পদক প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: গ্রিসে উদ্‌যাপিত হলো বঙ্গবন্ধুর “জুলিও কুরি” শান্তি পদক প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী

 গ্রিসের এথেন্সস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর “জুলিও কুরি” শান্তি পদক প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপন করেছে।  এই উপলক্ষ্যে দূতাবাস প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কমিউনিটির বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ব্যবসায়ী এবং আঞ্চলিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারি অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত এবং পবিত্র গীতা থেকে পাঠ করা হয়।  এরপর, “জুলিও কুরি শান্তি পদক” প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।  বাণী পাঠের পর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

বিশেষ আলোচনা সভার শুরুতেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রদূত আসুদ আহ্‌মদ বলেন, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর অসামান্য অবদানের প্রথম আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি হলো “জুলিও কুরি শান্তি পদক”, যা আমাদের জন্য অত্যন্ত সম্মানের।  এই পদক অর্জন বিশ্বদরবারে বাঙালি জাতিকে গৌরবান্বিত করেছে।  শান্তি পদকের গুরত্ব ও ইতিহাস তুলে ধরে তিনি প্রথম নারী নোবেল বিজয়ী মাদাম কুরি পরিবারের উপর আলোকপাত করেন।  উল্লেখ্য, মাদাম কুরি এবং তার স্বামী পিয়ারে কুরি এবং তাদের মেয়ে আইরিন কুরি ও তার স্বামী ফ্রেডেরিক জুলিও কুরি নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।  নোবেল পুরস্কারের ইতিহাসে এপর্যন্ত এই রেকর্ড অটুট রয়েছে।

ফ্রেডেরিক জুলিও কুরি ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ব শান্তি পরিষদের(World Peace Council) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নিযুক্ত হন এবং তার নামেই পরবর্তীতে “জুলিও কুরি” পদকের প্রবর্তন করা হয়েছে।  উল্লেখ্য, WPC-এর সদর দপ্তর বর্তমানে গ্রিসে অবস্থিত যার সেক্রেটারী জেনারেল ২০২১ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ঢাকায় অনুষ্ঠিত “বিশ্ব শান্তি সম্মেলন”(World Peace Conference)-এ যোগ দিয়েছিলেন।  রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করা যেখানে থাকবে না ক্ষুধা ও দারিদ্র্য।  মহান স্বাধীনতা অর্জনের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু বাংলার মানুষের জন্য শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছেন। পরবর্তীতে বিশ্বব্যাপী শান্তির স্বপক্ষে তিনি পূর্বাপর আপোসহীন থেকেছেন এবং দেশ-বিদেশে শান্তিকামী জনগণকে অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়ে গেছেন।  তিনি আরো বলেন, ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়’ বঙ্গবন্ধুর এই নীতিবাক্যের উপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে  আমাদের পররাষ্ট্রনীতি।  বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে সোনার বাংলাদেশে রুপান্তরিত করতে নিরলস কাজ করে চলেছেন।  প্রতিবেশীদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি আঞ্চলিক ও বিশ্ব শান্তি স্থাপনে তাঁর অনন্য ভূমিকা ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করেছে।

বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অতুলনীয় নেতৃত্ব এবং বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় তাঁর অসামান্য অবদানকে স্মরণ করে আলোচনা সভায় অন্যান্য বক্তারাও বক্তব্য রাখেন।

 



এসএস/সিএ
সংবাদটি শেয়ার করুন