ফিচার্ড বিশ্ব

জানলা দিয়ে নোটের বান্ডিল পড়ছে একটার পর একটা!

ছবি সংগৃহিত

জানলা দিয়ে নোটের বান্ডিল পড়ছে একটার পর একটা! সরকারি ইঞ্জিনিয়ারের ফ্ল্যাটের নীচে হতবাক প্রতিবেশীরা

এক প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি, সকালে হঠাৎ টিনের চালার উপর জোরে জোরে কিছু পড়ার শব্দ পাচ্ছিলেন। কী পড়ছিল সেটা দেখার জন্য বেরিয়ে আসতেই দেখেন পাশের ফ্ল্যাট থেকে টাকার বান্ডিল ফেলছেন কেউ।

জানলা খুলে হাত গলিয়ে ৫০০ টাকার বান্ডিল নীচে ফেলছেন। সেই টাকার বান্ডিল পড়ছে ফ্ল্যাটলাগোয়া একটি টিনের চালার উপর। শুক্রবার সকালে এমনই দৃশ্যের সাক্ষী থাকল ওড়িশার ভুবনেশ্বর। সেখানে এক সরকারি ইঞ্জিনিয়ারের বাড়িতে ভিজিল্যান্স হানা দেয়। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি অভিযান হতে পারে, আগেই আঁচ পেয়ে গিয়েছিলেন ইঞ্জিনিয়ার বৈকুণ্ঠনাথ ষড়ঙ্গী। ভিজিল্যান্স দফতরের আধিকারিকেরা তাই ফ্ল্যাটে পৌঁছোতেই ঘরের মধ্যে থরে থরে সাজিয়ে রাখা ৫০০, ২০০ এবং ১০০ টাকার বান্ডিল জানলা দিয়ে হাত গলিয়ে নীচে ফেলতে শুরু করেন বৈকুণ্ঠনাথ।

এক প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি, সকালে হঠাৎ টিনের চালার উপর জোরে জোরে কিছু পড়ার ক্রমাগত শব্দ পাচ্ছিলেন। কী পড়ছিল সেটা দেখার জন্য বেরিয়ে আসতেই দেখেন পাশের ফ্ল্যাটের তিনতলা থেকে হাত গলিয়ে টাকার বান্ডিল ফেলছেন কেউ। এবং সেটি খুব দ্রুততার সঙ্গে। টাকার বান্ডিলগুলি ওই টিনের চালায় পড়েই আওয়াজ হচ্ছিল। কিন্তু এ সব করেও বিশেষ সুবিধা করতে পারেননি ইঞ্জিনিয়ার। পুরো টাকাটা বাইরে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তার আগেই ভিজিল্যান্স আধিকারিকেরা ফ্ল্যাটে পৌঁছে যান। তল্লাশি চালাতেই ফ্ল্যাটের একটি ঘর থেকে থরে থরে সাজানো টাকার বান্ডিল উদ্ধার হয়। বিপুল পরিমাণ টাকা দেখে স্তম্ভিত হয়ে যান তদন্তকারী আধিকারিকেরাও। আরও যে বিষয়টি তাঁদের অবাক করেছে সেটি হল, জানলার কাছেও ছড়িয়ে পড়েছিল কিছু বান্ডিল। তা দেখেই তাঁদের সন্দেহ হয়।

সূত্রের খবর, জানলা খুলে নীচের দিকে তাকাতেই তদন্তকারীরা দেখাতে পান টিনের চালার উপর টাকার বহু বান্ডিল পড়ে রয়েছে। তার পর সেখান থেকেও টাকা উদ্ধার করা হয়। কোথা থেকে কী ভাবে এই টাকা ইঞ্জিনিয়ারের কাছে এল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে ভিজিল্যান্স সূত্রে খবর। টাকা গুনতে নিয়ে আসা হয় যন্ত্রও। তদন্তকারী এক আধিকারিক বলেন, ‘‘তল্লাশি অভিযানে যেতেই ইঞ্জিনিয়ার তাঁর বাড়ির জানলা দিয়ে রাস্তায় টাকা ফেলতে শুরু করেন। তাঁর বাড়ি থেকে আপাতত দু’কোটি টাকা নগদ উদ্ধার হয়েছে।’’ স্থানীয়দের দাবি, এমন দৃশ্য আগে কখনও দেখেছেন বলে মনে পড়ছে না। দেশের নানা প্রান্ত থেকে টাকা উদ্ধারের খবর তাঁরা সংবাদমাধ্যমে দেখেছেন। কিন্তু বাড়ির কাছে বিষয়টি এই প্রথম চাক্ষুষ করলেন।
-সূত্রঃ আনন্দবাজার

এসএস/সিএ
সংবাদটি শেয়ার করুন