বৃহস্পতিবার ওই রিপোর্টের ভিত্তিতে আমেরিকার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের দাবি, করোনার আলফা রূপের থেকেও দশগুণ বেশি সংক্রামক ডেল্টা। এমনকি, করোনার আদি রূপের থেকে হাজার গুণ ছোঁয়াচে এটি। শুক্রবার এ নিয়ে অতিরিক্ত তথ্য প্রকাশ করতে পারে সিডিসি।
প্রসঙ্গত, ভারতে প্রথম বার এই (বি.১.৬১৭.২ ডেল্টা) রূপের সংক্রমণ ধরা পড়ায় অনেকের কছে এটি করোনার ‘ভারতীয় রূপ’ বলেই পরিচিত। তবে ভারতের গণ্ডি ছাড়িয়ে তা ইতিমধ্যেই বিশ্বের ১০০রও বেশি দেশে ত্রাস ছড়াচ্ছে।
সিডিসি-র ডিরেক্টর রোশেল পি ওয়ালেনস্কি ইতিমধ্যেই স্বীকার করেছেন যে, টিকাবিহীনদের মতোই নাকে ও গলায় ডেল্টার ভাইরাস বহন করতে পারেন টিকাপ্রাপ্তরা। সেই সঙ্গে তা অতি সহজেই দ্রুতগতিতে ছড়িয়েও দিতে পারেন তাঁরা। সম্প্রতি আমেরিকার ৪ জুলাইয়ের সমাবেশের পর সে দেশে সংক্রমণ বেড়েছিল। সেই তথ্য ছাড়াও ম্যাসাচুসেট্সের প্রভিন্সটাউনে সাম্প্রতিক কালে আক্রান্তদের তথ্যও সংগ্রহ করা হয়েছে। পাশাপাশি, দেশ জুড়ে নানা সমীক্ষার ভিত্তিতে এই রিপোর্ট তৈরি করেছে সিডিসি।
সিডিসি-র এই রিপোর্টে আরও আশঙ্কার বিষয় দেখা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, মার্স, সার্স, ইবোলা, সাধারণ সর্দি, মরসুমি জ্বর, স্মল পক্স বা চিকেন পক্সের থেকেও এটি অতিমাত্রায় ছোঁয়াচে। ২৪ জুলাই সিডিসি-র সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী, আমেরিকার ১৬ কোটি ২ লক্ষ টিকাপ্রাপ্তদের মধ্যে প্রতি সপ্তাহে প্রায় ৩৫ হাজার জনের মধ্যে ডেল্টা রূপের উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। অবশ্য সামান্য উপসর্গযুক্ত রোগীদের এতে ধরা হয়নি। ফলে সে দেশে সংক্রমিতদের আসল সংখ্যাটা হয়তো আরও অনেক বেশি হতে পারে বলেই আশঙ্কা।
তবে কি টিকা নেওয়ায় কোনও কাজই হচ্ছে না? এই প্রশ্নের উত্তরে ইমোরি ভ্যাকসিন সেন্টারের প্রধান ওয়াল্টার ওরেনস্টাইন বলেন, ‘‘টিকার সাহায্যে ৯০ শতাংশের বেশি মারাত্মক রোগ প্রতিরোধ করা যায়। তবে সংক্রমণ ছড়ানোর ক্ষেত্রে তা তেমন কার্যকরী নয়। মোদ্দা কথা হল, টিকাপ্রাপ্তরা সংক্রমিত হতে পারেন। তাতে নিজেরা অসুস্থ না হলেও টিকাবিহীনদের মতোই সংক্রমণ ছড়াতেও পারেন।’’ ফলে টিকা নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
-আনন্দবাজার ( Delta Variant: ডেল্টা ছোঁয়াচে চিকেন পক্সের থেকেও, রেহাই নেই হয়তো টিকাপ্রাপ্তদের: দাবি রিপোর্টে )