ধ্বংসস্তূপ থেকে ১০১ ঘণ্টা পর এক পরিবারের ৬ জন উদ্ধার
তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলের ইসকেনদেরুনে ভূমিকম্পের ১০১ ঘণ্টা পর বিধ্বস্ত একটি ভবনের নিচ থেকে ৬ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছেন উদ্ধারকর্মীরা।
মুরাত বেগুল নামে একজন উদ্ধারকর্মী সংবাদ সংস্থা এপিকে জানান, উদ্ধার হওয়া ৬ জন একই পরিবারের। ধসে পড়া একটি ভবনের অক্ষত সামান্য জায়গায় গাদাগাদি করে দীর্ঘ এই সময় অবস্থান করেছেন তারা।
উদ্ধারকর্মীরা বলেছেন, অত্যন্ত ঠাণ্ডা আবহাওয়ার কারণে ধ্বংসস্তূপের নিচে বেঁচে থাকা অনেককেই উদ্ধার করতে ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে।
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত তুরস্ক ও সিরিয়ায় ধ্বংসস্তূপ থেকে বেশ কয়েকটি দুঃসাহসিক উদ্ধারের কথা শোনা গেছে। তুরস্কের হাতায় প্রদেশের একটি বিধ্বস্ত বাড়ি থেকে ভূমিকম্পের ৯০ ঘণ্টা পর ১০ দিনের এক ছেলেশিশু ও তার মাকে উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগে, সিরিয়ায় একটি ছবি ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যায়, ছোটভাইকে আগলে রেখেছেন তার ৭ বছরের বড় বোন। ১৭ ঘণ্টা পর তাদের উদ্ধার করা হয়েছিল।
এছাড়া সিরিয়ার আলেপ্পো অঞ্চলের জেন্দেরেস শহরে ধ্বংসস্তূপের মধ্যেই এক মেয়ে শিশুর জন্ম হয়েছিল। দুর্যোগময় পরিস্থিতির মধ্যেও চিকিৎসকরা শিশুটিকে বাঁচাতে পেরেছেন। তবে শিশুটির মাকে রক্ষা করতে পারেননি তারা।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি ভোরে তুরস্কের মধ্য-দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ গাজিয়ানতেপের শহর নুরদায়ির ২৬ কিলোমিটার পূর্বে একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। ভূমিকম্পটি যখন আঘাত হানে তখন বেশির ভাগ মানুষ ঘুমিয়ে ছিলেন। এই ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত এলাকায় উদ্ধার তৎপরতার মধ্যে দুপুর দেড়টার দিকে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প আঘাত হনে। এতে হাজার হাজার ভবন ধসে পড়ে তুরস্কে। ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে পাশের দেশ সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলকেও।
সবশেষ খবর পর্যন্ত, ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা ২১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তুরস্কে মৃত্যু হয়েছে ১৭ হাজার ৬৭৪ জনের এবং সিরিয়ায় প্রাণ গেছে ৩ হাজার ৩৭৭ জনের। -সূত্র: দৈনিক বাংলা