নবম মাসের নয় তারিখ – রোজ বুধবার
পরিসংখ্যান যেমন করুণ – তেমন হতাশার।
করোনার শুরু ছিল – চীন দেশের উহান
পৃত্থি মাঝে বলি হলো – নয় লাখ প্রাণ।
চীন দেশে থেমে গেছে – সংক্রমণের হার
বিশ্বব্যাপী চলছে হতে – এ রোগের বিস্তার।
নয়টি দেশের মৃত্যু হার – ত্রিশ হাজারের বেশি
যুদ্ধ করতে তৈরী করে – তারা শুধু অসি।
রোগীর সংখ্যা পাঁচ লাখ উর্দ্ধ – নয়টি দেশের
প্রতিরোধের ঔষধ নেই – বড়াই তাদের কিসের?
মতানৈক্য হলেই তারা – করে যুদ্ধের সাজ
বড়ো বড়ো বিশ্বনেতা – গেলো কোথা আজ?
বিনা যুদ্ধে কেউ দেবে না – সূচাগ্র মেদিনী
ধ্বংসস্তূপ দিচ্ছে করে – করোনায় ধরণী।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নামে – আছে প্রতিষ্ঠান
ঔষধ তৈরী কল্পে বসে – করছে শুধু ধ্যান।
সুপার পাওয়ার যুক্তরাষ্ট্র – অস্ত্র ভাণ্ডার আছে
সে দেশেরও মৃত্যু সংখ্যা – দুই লাখের কাছে।
হতবিহ্বল হয়ে পরি – বাঁচবো কেমন করে?
আমার দেশেও কতো মানুষ – প্রতিদিনই মরে।
হতাশায় জীবনযাত্রা – করছে জনগণ
আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠায় – চলছে প্রতিক্ষণ।
নিয়মের মাঝেই ছিল – প্রথম দিকে সবাই
দেখছি এখন চলাচলে – আগের নিয়ম নাই।
প্রতিদিনই চলছে বেড়ে – সংক্রমণের হার
প্রতিষেধক হবে কবে – দেশে আবিস্কার?
চাষির ঘরের ধানের ভাড়ার – ভরবে আবার কবে?
আবার কখন সংক্রমণ আর – মৃত্যু ঝুঁকি যাবে?
কবে আবার সবার মুখে – উঠবে ফুটে হাসি?
রাখাল কবে বাজাবে আর – প্রাণ জুড়ানো বাঁশি?
ছেলে মেয়ের স্কুল কলেজ – খুলবে কবে আবার?
এসব প্রশ্ন জাগছে মনে – উঁকি দিয়ে সবার।
বিশ্বের নেতাদের – করছি অনুরোধ
অস্ত্র আর বানিয়ো না – জীবন করতে রোধ।
সৃষ্টির সেরা জীব – মানুষদের জন্য
প্রতিষেধক তৈরী করে – হয়ে যাও ধন্য।