মার্কিন নির্বাচনে বাইডেনের জয় ।
ট্রাম্পকে হারিয়ে ঐতিহাসিক বিজয় ছিনিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট বনে গেলেন জো বাইডেন। এর মধ্যে দিয়ে বিশ্ব রাজনীতিতে শুরু হয়েছে নানা হিসেব নিকাশ। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য ইস্যুতে ইসরাইলকে নানাভাবে সমর্থন দিয়ে আসছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু ট্রাম্পের পরাজয়ে তার ঘনিষ্ঠ ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বিনইয়ামিন নেতানিয়াহু’র কপালে ভাঁজ পড়েছে।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের নেতারা যখন বাইডেনকে বিজয়ের শুভেচ্ছা বার্তায় ভাসাচ্ছেন তখন তার পক্ষ থেকে কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। আর এতেই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নেতানিয়াহুর দিন ফুরিয়ে এলো।
এ বিষয়ে স্বয়ং ইসরাইলি বিশেষজ্ঞ সিমা কাদমন বলছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরাজয় ইসরাইলের উপর প্রভাব না ফেললেও, দেশটির প্রধানমন্ত্রী বিনইয়ামিন নেতানিয়াহুকে প্রবল সঙ্কটে ফেলতে পারে।
তিনি বলেন, ‘ট্রাম্পের লজ্জাজনক পরাজয় নেতানিয়াহুর গালে ’কষে চড় মারার মতো’, কিন্তু এই থাপ্পাড় ইসরাইল রাষ্ট্রের জন্য নয়’।
কাদমন উল্লেখ করেন, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা হোয়াইট হাউজ ত্যাগ করার আগে ওবামার সঙ্গে ট্রাম্পের বৈরিতা সৃষ্টি করেছিলেন এই নেতানিয়াহু। নেতানিয়াহু ফিলিস্তিনের দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান এবং ইরানের পারমাণবিক চুক্তির প্রতি ওবামার মতামতকে ডেমোক্র্যাটদের প্রতি বৈরিতার সরঞ্জাম হিসাবে ব্যবহার করেছিলেন। যা ট্রাম্পের উপর ব্যাপকভাবে প্রভাব পড়ে। এতে মধ্যপ্রাচ্যে বা ফিলিস্তিনে অশান্তির দাবানল ছড়িয়ে পড়তে সময় লাগেনি।
কাদমনের মতে, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী ট্রাম্পের পদতলে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছিলেন। ট্রাম্পকে ক্ষমতায় ধরে রাখতে জো বাইডেনের প্রতি নেতিবাচক বা কটুক্তি কথা ইসরাইলিদের কাছ তুলে ধরার চেষ্টা করেন নেতানিয়াহু। দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্পকে আবারো হোয়াইট হাউজে বসানোর চেষ্টায় মরিয়া ছিলেন ইহুদি প্রধানমন্ত্রী।
কিন্তু, প্রকৃতঅর্থে ট্রাম্পকে ক্ষমতায় বসাতে নেতানিয়াহু কোন সিদ্ধান্ত নেননি, এটা কিছুটা আশ্চর্য ঘটনা বলছেন তিনি।
‘যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসন এখন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর জন্য ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাইডেনের প্রশাসন ইসরাইলের জনমতকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করবে বলে আশঙ্কা করছেন নেতানিয়াহু- যা অতীতেও এরকম কিছু হয়েছিল’।
কাদমন জোর দিয়ে বলেন, ট্রাম্প নেতানিয়াহুকে যেভাবে ‘উপহার’ দিয়েছিলেন বাইডেনের প্রশাসন নেতানিয়াহুর জন্য সেরকম কিছু করবে না তা অনেকটাই নিশ্চিত। বিশেষত গুরুত্বপূর্ণ সময়ে যেমন, জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী এবং ২০১৯-এর এপ্রিলের নির্বাচনের আগে অধিকৃত গোলান হাইটসকে স্বীকৃতি দেয়া এবং ইসরাইল-আমিরাতের শান্তি চুক্তি। আরো নানা কিছু বিষয়ে অস্বস্তিতে পড়তে যাচ্ছেন বিনইয়ামিন নেতানিয়াহু।
তবে তিনি কিভাবে নতুন হোয়াইট হাউজের হাওয়া সামলাবেন সে পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে।
সূত্রঃ সময় নিউজ
বাঅ/এমএ
দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com
সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন