পর্যটকদের পদভারে মুখরিত লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান
টানা ২২০ দিন বন্ধ থাকার পর গত রোববার খুলে দেওয়া হয়েছে অপরূপ সৌন্দর্য্যের লীলাভূমি মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত জীব বৈচিত্র্যে ভরপুর লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে চলিত বছরের ২৬ মার্চ থেকে লাউয়াছড়াসহ মৌলভীবাজার জেলার পর্যটন স্পটগুলোতে পর্যটক প্রবেশ বন্ধ করে দেয় সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গত শুক্রবার বন বিভাগ গণমাধ্যমকে জানায় রোববার থেকে বন বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন লাউয়াছড়াসহ জেলার সব পর্যটন স্পট খুলে দেওয়া হচ্ছে। এনিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। রোববার সকালে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যাান খুলে দেওয়ার পর দুপুর থেকে সবুজ এ বন পর্যটকদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠে।
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান খোলার খবর পেয়ে ঢাকা থেকে ঘুরতে আসা দ্বীন ইসলাম, সুমী আক্তার, রাজশাহী থেকে আসা ইকলাব হোসেন এবং ওহিদুর রহমান ও সিলেটের সুনামগঞ্জ থেকে আসা তাওফিয়া জান্নাত ঐশী বলেন, সবুজ এ বন ঘুরে সত্যিই ভালো লেগেছে। পরিবেশবাদী চৌধুরী ভাস্কর হোম বলেন, এই উদ্যানটি খুলে দেওয়া যেমন আনন্দের সংবাদ তেমনি সচেতনতার বিষয়টি মাথায় রাখা প্রয়োজন। সামনে শীত মৌওসুম। এই এলাকাটি শীতের জন্য খ্যাত। তাই আমাদের সর্বশেষ করোনা মোকাবেলায় এই শীত মৌওসুমেকে প্রাধান্য দিয়ে সামাজিক দ‚রত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্য বিধি মেনে এখানে ভ্রমবকরা নিরাপদ হবে। লাউয়াছড়া উদ্যানে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত পর্যটন পুলিশের এস আই নাসীর উদ্দিন বলেন, স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার জন্য আগত পর্যটকদের বলা হচ্ছে। যাদের মাস্ক নেই তাদেরকে টিকেট কাউন্টার থেকে মাস্ক সংগ্রহ করে ভেতরে প্রবেশ করতে দিচ্ছি। পাশাপাশি পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় কাজ করছে পুলিশ।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, রোববার থেকে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান দর্শনার্থীর জন্য উন্মুক্ত করা করা হয়েছে। শুধু লাউয়াছড়া নয়, জেলার বন বিভাগের সব পর্যটন স্পট খুলে দেওয়া হয়েছে।
কমলগঞ্জে সন্ত্রাসী হামলায় সাবেক ইউপি সদস্য আহত
প্রতিবাদে হামলাকারীকে গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে পূর্ব বিরোধের জের ধরে সন্ত্রাসী হামলায় সাবেক ইউপি সদস্যা, আওয়ামীলীগ নেত্রী নুরজাহান ইসলাম গুরুতর আহত হওয়ার প্রতিবাদে ও হামলাকারীকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবীতে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) বিকাল ৪টায় শহীদনগর বাজারে পতনউষার ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সম্মুখে ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা হয়। মানবন্ধনে বক্তারা হামলাকারীকে অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তার করে বিচারের আহতায় আনতে হবে। ৭২ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার না করলে বৃহত্তর আন্দোলনের কথাও বলেন বক্তারা।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড এর সভাপতি আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও ইউপি সদস্য নারায়ণ মল্লিক সাগরের পরিচালনায় মানবন্ধনে বক্তব্য রাখেন কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিলকিস বেগম, ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য কমরেড সিকন্দর আলী, অধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম, পতনউষার ইউপি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী তওফিক আহমদ বাবু, বীর মুক্তিযোদ্ধা নির্মল দাস, প্রভাষক মো: আব্দুল আহাদ, প্রভাষক শাহাজান মানিক, বিএনপি নেতা অলি আহমদ খান, ওমর মাহমুদ আনসারী, মাওলানা আব্দুল মুহিত হাসানী, ইউপি সদস্য আশিক মিয়া, ফটিকুল ইসলাম রাজু, শাহাজান আহমদ, আহত আওয়ামীলীগ নেত্রীর ছেলে যুবলীগ নেতা বদরুল ইসলাম রুবেল প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ২০ অক্টোবর বিকালে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে পতনঊষার ইউনিয়নের ধুপাটিলা গ্রামের করামত উল্যার ছেলে প্রবাস ফেরত জসিম মিয়া (৪২) লোহার রড দিয়ে উপর্যুপোরি আঘাত করে প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলামের স্ত্রী, সাবেক মহিলা ইউপি সদস্য, আওয়ামীলীগ নেত্রী নুরজাহান ইসলাম (৫৮)কে রক্তাক্ত জখম করে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ও পরে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় কমলগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হলে ১৪দিনেও হামলাকারীকে গ্রেফতার হয়নি।
কমলগঞ্জ থানার ওসি আরিফুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে হামলাকারী পলাতক রয়েছে। তাকে ধরতে সর্ব্বোচ্চ চেষ্ঠা চালানো হচ্ছে।
এসএস/সিএ
দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com
সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন