ফের কানাডার প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন মার্ক কার্নি
কানাডায় নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টিকে হারিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো জয় পেয়েছে প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির লিবারেল পার্টি। এর মধ্য, দিয়ে আবারও দেশটির প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন মার্ক কার্নি। স্থানীয় সময় সোমবার (২৮ এপ্রিল) ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর সর্বশেষ এ তথ্য জানা গেছে।
গতকাল ২০২৫ সালের ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত কানাডার ফেডারেল নির্বাচনে লিবারেল পার্টি প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির নেতৃত্বে, একটি সংখ্যালঘু সরকার গঠন করতে হবে। তারা হাউস অফ কমন্সে ১৬৮টি আসন অর্জন করেছে, যা ১৭২টি আসনের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে কিছুটা কম। এই নির্বাচনটি মার্ক কার্নির জন্য একটি উল্লেখযোগ্য প্রত্যাবর্তন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যিনি মার্চ মাসে জাস্টিন ট্রুডোর পদত্যাগের পর লিবারেল পার্টির নেতৃত্ব গ্রহণ করেন।
নির্বাচনের মূল ফলাফল:
-
লিবারেল পার্টি (Mark Carney): ১৬৮ আসন, ৪৩.৫% ভোট।
-
কনজারভেটিভ পার্টি (Pierre Poilievre): ১৪৪ আসন, ৪১.৪% ভোট।
-
ব্লক কুইবেকোয়া (Yves-François Blanchet): ২৩ আসন, ৬.৪% ভোট।
-
এনডিপি (Jagmeet Singh): ৫ আসন, ৬.৩% ভোট।
-
গ্রীন পার্টি: ১ আসন, ১.৩% ভোট।
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা:
-
পিয়েরে পলিয়েভ্রে: কনজারভেটিভ পার্টির নেতা পিয়েরে পলিয়েভ্রে তার কার্লেটন আসনে পরাজিত হন।
-
জগমিত সিং: এনডিপির নেতা জগমিত সিং তার আসন হারানোর পর পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
-
মার্ক কার্নি: নেপিয়ান আসন থেকে নির্বাচিত হন, যা তাকে ১৮৮০-এর দশকের পর প্রথম প্রধানমন্ত্রী করে তোলে যিনি অটোয়া অঞ্চলের আসন প্রতিনিধিত্ব করেন। Wikipedia
নির্বাচনী প্রেক্ষাপট:
এই নির্বাচনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কানাডার প্রতি বাণিজ্য হুমকি এবং “৫১তম রাজ্য” হওয়ার প্রস্তাব কানাডিয়ানদের মধ্যে জাতীয়তাবাদী অনুভূতি জাগিয়ে তোলে। এটি লিবারেল পার্টির পক্ষে জনসমর্থন বাড়াতে সহায়ক হয়।
ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ:
সংখ্যালঘু সরকার হিসেবে, লিবারেল পার্টিকে অন্যান্য দলের সমর্থন ছাড়া আইন পাস করতে হবে। এছাড়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক চাপ মোকাবিলা করাও তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে।
