বঙ্গবন্ধুর খুনি নুর চৌধুরীকে দেশে ফেরতের দাবিতে কানাডায় মানববন্ধন
কানাডায় অন্টারিও আওয়ামী লীগের উদ্যোগে প্রচন্ড বৈরী আবহাওয়া কে উপেক্ষা করে কানাডার স্থানীয় সময় শনিবার (১১ই ফেব্রুয়ারি) টরেন্টোর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে বঙ্গবন্ধুর খুনি নুর চৌধুরীকে দেশে ফেরতের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়।
ব্যানার ফেস্টুন সম্বলিত পোষ্টার নিয়ে এ সময় কানাডা সরকারের কাছে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্মিকৃত খুনি নূর চৌধুরীকে দেশে ফেরত পাঠানোর জোর দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জামালপুর জেলা পরিষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান জননেতা এ্যাডভোকেট বাকি বিল্লাহ, অন্টারিও আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও বাকসুর সাবেক ভিপি ফায়জুল করিম, সাধারণ সম্পাদক লিটন মাসুদ, সহ সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার নওশের আলী, আবু হেনা কৌরাইশী, মহিউদ্দিন বিন্দু, দপ্তর সম্পাদক খালেদ শামীম, প্রচার সম্পাদক আকরামুল ইসলাম খান, নির্বাহী সদস্য জিয়াউল আহসান চৌধুরী, যুব সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, নির্বাহী সদস্য রিয়াজুল হক, ইলিয়াস মোল্লা, শরিফুল ইসলাম, আতাউর, তপন, আনোয়ারুল কামাল, বিপ্পব চৌধুরী, সুদিব সোম রিংকু ও জাকিউল। কানাডা স্বেচ্ছাসেবক লীগের তাজুল ইসলাম।
এছাড়া মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি ড: হুমায়ূন কবির, সহ সভাপতি এমম তোহা, কানাডা আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল্লাহ বাকী গাজী, দপ্তর সম্পাদক ও বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক শেখ জসিম উদ্দিন, শিল্প বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম, নির্বাহী সদস্য আব্দুল মান্নান ও ঝোটন তরফদার। কানাডা ছাত্রলীগের সভাপতি ওবায়দুর রহমান, তৌহিদুর রহমান দুর্জয়, মোহাম্মদ সাকিব, তৌহিদুর রহমান আশিক, তারেক সহ আরো অনেকেই।
উল্লেখ্য বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি নুর চৌধুরী ১৯৯৬ সালে কানাডা আসার পর শরণার্থী হিসেবে আশ্রয়ের আবেদন করেন খুনি ও তাঁর স্ত্রী। এর দুই বছরের মাথায় বাংলাদেশের নিম্ন আদালতে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায়ে নূর চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ডের আদেশ হয়।
গুরুতর অপরাধে সংশ্লিষ্টতার তথ্য থাকায় ২০০২ সালে কানাডা নূর চৌধুরী দম্পতির আশ্রয়ের আবেদন প্রত্যাখ্যান করে। আপিল করেও ২০০৬ সালে তাঁরা হেরে যান। কিন্তু তাঁদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়নি। এরপরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি নূর চৌধুরীর বিষয়ে কানাডায় আইনি লড়াইয়ের একটি ধাপের জয় পেল বাংলাদেশ। কানাডার অটোয়া প্রশাসন এই লড়াইয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হেরে গেছে।