বডি শেমিংকে না বলুন || মন কথন ||| আলিফ আলম
একবার এক পরিচিত ভাবির বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলাম। ভাবির আপ্যায়ন আর আন্তরিকতায় কোন রকম কমতি ছিল না। সন্ধ্যায় টেবিলে যখন খাবার পরিবেশন করা হল, ঠিক তখন ছেলেকে ডাকতে ভাবির শোবার ঘরের ভেজানো দরজা ঠেলে ভিতরে ঢুকতেই দেখি, অন্য বাচ্চাদের সাথে আমার ছেলে খুব খুশী মনে খেলছে । পাশে দাঁড়ানো এক ভাবি ওনার ছেলের মুখে খাবার তুলে খাইয়ে দিচ্ছেন আর অন্য এক অপিরিচিত ভাবি খাটের উপর বসা, যিনি আমাকে দেখেই সঙ্গে সঙ্গে প্রশ্ন ছুঁড়ে মারলেন। এটা আপানার ছেলে? আমি মাথা নেড়ে খুব সহজভাবে উত্তর দিলাম, হ্যাঁ। আমার ছেলে। তারপর আমাকে একদম সরাসরি প্রশ্ন, আপনার ছেলে এতো চিকনা কেন ? ডাক্তার দেখান নি? আমি তখন খুব অপ্রস্তত বোধ করে বললাম, কেন? কি হয়েছে?
ওমা ! কি বলেন ! আপনাকে দেখে তো মনে হচ্ছে ,আপনার ছেলেকে নিয়ে আপনার তেমন কোন ভাবনাই নেই। আমি হলে তো চিন্তায় মরে যেতাম। পাশের দাঁড়িয়ে থাকা ভাবি ছেলের মুখে খাবার তুলে দিচ্ছেন আর সমর্থন ভঙ্গিমায় মাথা নাড়াচ্ছেন । এসব দেখে মনে মনে তখন বলছিলাম, কী আশ্চর্য! আমাকে চিনে না, জানে না অথচ কি স্বাভাবিক ভঙ্গিতে এত সবকথা মুখের উপর কী সাবলীলভাবে ওনি বলে ফেললেন ! বিদেশে থেকেও তো দেখি, ভদ্রমহিলা কোন শিষ্টাচারই শিখেনি! আমি বুঝতে পারছিলাম, আমার রক্ত গরম হয়ে আমার মাথার দিকে খুব দ্রুতবেগে ছুটে আসছে। তবুও নিজেকে সামলে নিয়ে বললাম, আসলে আমার ছেলে ছোটবেলা থেকেই খাবার নিয়ে খুব বিরক্ত করে । তাছাড়া ডাক্তার তো কোন সমস্যা আছে এমন কিছু তো কখনও বলেনি। ওনি একটু গা নড়িয়ে সঙ্গে সঙ্গে বললেন , ডাক্তাররা এমন কথাই বলে, আমার ছেলেকেও এমন বলেছিল। পরে তো আমার ছেলের অনেক বড় সমস্যা ধরা পড়ল।
আমি তখন কি বলব ঠিক বুঝতে পারছিলাম না। খুব অস্থির লাগছিল আমার। অসহায়ের মত দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ চুপ করে রইলাম। এমন পরিস্থিতে আগেও পড়েছি কিন্তু এইবারের বিষয় খুব বিব্রতকর। পাশে তাকিয়ে দেখি ছেলে মেঝেতে বসে আপনমনে অন্য বাচ্চাদের সাথে খেলছে। তার ধারণারও নেই তাকে নিয়ে কি কথা চলছে এই ঘর-জুড়ে।
আচমকা আমার মাথায় একটা কথা খেলে গেল। আমি সঙ্গে সঙ্গে বলে বসলাম, আচ্ছা আমাদের যে আফ্রিকানদের মত এমন বড়সড় শরীর নেই, তার মানে কি আমরা সবাই অসুস্থ? আপনার আর আমারও কি তাহলে কোন সমস্যা আছে ? আমার কথা শুনে ভদ্রমহিলা একদম চুপ মেরে গেলেন, এবার কি বলবে ঠিক বুঝে উঠতে পারছে না। কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলে উঠল, না মানে, আপনার ভালর জন্য বলেছি। এরপর আমার আর ওনার সাথে বেশি কথা বলতে ইচ্ছে হয়নি তাই ঠোঁটে মেকি হাসি ফুটিয়ে বললাম, আমার ভাল চাইবার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ, এ বলে একটু বিষণ্ণ হেসে সেদিন সে ঘর থেকে বের হয়ে এসেছিলাম।
সত্যি বলতে এমন ঘটনায় আমার মত অনেক মাকেই পড়তে হয়। এ ধরণের কথা একজন মায়ের মনে আর শিশুর মনে কি প্রভাব ফেলতে পারে তা হয়ত তাদের ধারণাও নেই।
ছোটবেলা থেকেই সব শিশুদের শারীরিক গঠনের পাশাপাশি মানসিক গঠনও শুরু হয়। একটা শিশু চিকন হবে নাকি মোটা হবে, এ তো বাবা-মায়ের হাতের বিষয় নয়। কোন শিশু যখন তার পরিবেশ থেকে সর্বনাম হিসেবে ‘কানা, কালো, মোটা, ল্যাংড়া, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, চিকনা’ এইসব কথা শুনে বড় হতে থাকে তখন তার মাঝে এক ধরণের হীনমন্যতা তৈরি হয় যা তার আত্মবিশ্বাসকে ছোটবেলায় একেবারে নষ্ট করে দেয়। ফলে এই আত্মবিশ্বাসের অভাব তার সারা জীবনের উপর প্রভাব ফেলে।
প্রথমত, বুলিং বলতে আমরা সাধারণত পচানোকে বুঝি। এটা বন্ধুদের মাঝে বেশি দেখা যায়। তবে তা যদি উভয়কে আনন্দ দেয় তাহলে ঠিক আছে। তা না হলে এই পচানোর কারণে আমাদের শিশু-কিশোর এমনকি বড়দেরও মানসিক অবস্থার ভীষণ ক্ষতি হতে পারে। প্রতিদিন সমাজে আমাদের দ্বারা অনেকে নানাভাবে বুলিঙের শিকার হচ্ছে। যেমন, পরিবারে, বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে, অফিস-আদালতে, স্কুল -কলেজে এমনকি রাস্তা-ঘাটে।
দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, আমাদের সমাজে বিয়ের পর মেয়েদের আসল বুলিং শুরু হয়। এছাড়া গর্ভবস্থায় আর প্রসবের পর মেয়েরা হরমোনের তারতম্যের কারণে নানারকম সমস্যায় ভুগে। এ সময় তাদেরকে বুলিং করা হলে, সে অনেক সময় এর সাথে খাপ খাওয়াতে পারে না। ফলে তাদের মানসিক সমস্যা প্রকট হয়ে, অনেক সময় তাদের আত্মহত্যা করতেও দেখা যায়।
তবে প্রতিটি বাচ্চা পরিবার আর সামজিক ভিন্নতার কারণে ভিন্নভাবে বড় হয়ে থাকে। তেমনি তাদের প্রত্যেকের মানসিক গঠনও ভিন্ন হয়। যেমন, কোন বাচ্চা হয়ত খুব নাজুক বা সংবেদনশীল। অন্য একটা বাচ্চা হয়ত মানসিক ভাবে অনেক শক্ত যে কিনা যে কোন পরিস্থিতে নিজেকে সামলে নিতে পারে, আর অন্য একটা বাচ্চা হয়ত এত দুর্বল যে, সে কোন বাজে কথা বা খারাপ পরিস্থিতির সাথে তেমন করে লড়াই করতে পারে না। ফলে দেখা যায় সবল বাচ্চারা সব সামলে উঠে আর দুর্বল বাচ্চারা বিষণ্ণতায় ভুগে মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়ে।
তবে বয়ঃসন্ধিকালে বাচ্চাদের মাঝে হরমোনের তারতম্যের কারণে শারীরিক আর মানসিক যে পরিবর্তন দেখা দেয়, সেই সময় তাদের বুলিং করা হলে সমস্যা আরও প্রকট হয়ে দেখা দিতে পারে, যা শিশু কিশোরদের অনেক সময় আত্মাহত্যার দিকে নিয়ে যায়। তাছাড়া আমাদের সংস্কৃতিতে ছোটবেলা থেকেই আমরা এক ধরণের প্রতিযোগিতার মনোভাব নিয়ে বড় হই। আমরা শিশুদের অন্য শিশুর সাথে তুলনা করতে ভালবাসি। ফলে দেখা যায় এতে শিশুর মাঝে যেমন আত্মবিশ্বাস কমে, তেমনি অন্য শিশুকে সে তার প্রতিযোগী মনে করে বড় হতে থাকে আর পরবর্তীতে অন্যদের প্রতিও তার হিংসাত্মক মনোভাব গড়ে উঠে। এতে তার মানসিক বিকাশ যেমন ব্যাহত হয়, তেমনি সে বড় হলেও তার মাঝে এই মনোভাব থেকে যায়। আর এই অসুস্থ মানসিকতা নিয়েও আমরা কেবল পড়াশুনা দিয়ে সমাজের নানা ভাল জায়গায় পৌঁছে যাই, যা পরে আমাদের সমাজে ভীষণ নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
যে শিশু পড়াশুনায় ভাল তাকে মা-বাবা একটু বেশী পছন্দ করে। আর যারা তেমন ভাল না, তারা এটা শুনে আর জেনেই বড় হয় যে, সে পড়াশুনায় তেমন ভাল না । তাই তার আর কোন দিন ভাল ছাত্র কিংবা ছাত্রী হয়ে উঠা হয় না। কারণ আত্মবিশ্বাস একবার কমে গেলে তা আর পরে সহজে জ্বলতে চায় না। অনেক বাবা-মায়েরা এভাবেই ছোটবেলায় শিশুদের আত্মবিশ্বাস নষ্ট করে দেয়।
আমাদের চারপাশে প্রতিদিন আমাদের দ্বারা ঘটে যায় বডি-শেমিং এর মতো নানা ঘটনা! কার শারীরিক গঠন আসলে ঠিক কেমন হবে তা তো নিশ্চয় আমাদের হাতে নেই। কারো গায়ের রং সাদা হবে নাকি কালো হবে, তা তো একজন মানুষ চাইলেও নির্ধারণ করতে পারবে না। আমাদের দেশে যে বাচ্চা দেখতে ফর্সা না তাদের সুন্দর বাচ্চা বলে ধরা হয় না। আর বড় হবার পর তাদের নানাভাবে বুলিং করা হয়। অনেক সময় তাদের আড়ালে তাদের ‘কালি’ বলে ডাকা হয় আবার কালো বলে অনেকে তাদের বিয়েও করতে চায় না। কখনও কখনও তাদের কালো রং এর জন্য তাদের যোগ্যতাও ফিকে হতে দেখা যায়।
আমাদের এশিয়া মহাদেশে এই বুলিং এর চর্চা হয় সবচেয়ে বেশি । আমরা প্রায়েই শুনি এ ধরণের কথা যে, এই মেয়েটা দেখতে এতো ভাল না, ওর নাক বোঁচা, মেয়েটা বেঁটে, ছেলেটা মোটা, লম্বাটে ইত্যাদি। কিন্ত আমরা ভেবে দেখি না সবার নিজের মতো করে একটা গল্প থাকে, একটা যুদ্ধ থাকে। বিষয়টা এমন নয় যে, কেউ ইচ্ছে করে বেশি খেয়ে মোটা হচ্ছে বরং তার হরমোনের কোন সমস্যা থাকতে পারে। আমরা তা জানি না। তাদের কোন কিছুই না জেনেই আমরা তাদের দিকে মন্তব্য ছুঁড়ে দেই। এটা দুঃখজনক।
স্বাভাবিকভাবে আমাদের শরীরে সবসময় পরিবর্তন হয়, নানা কারণে, নানা সময়ে। একজন শিশুকে যখন আমরা ‘ মোটা’ কিংবা ‘চিকন ‘বলি, আমাদের হয়ত মনেই হয় না এটা বলা উচিৎ নয়। আমরা বরং ভাবি এটা তো কথার কথা। এটা তো সবাই বলে, এ আর এমন কি কথা। কিন্তু আমরা জানিও না এ ধরণের মন্তব্যের জন্য একটা শিশুর মনে কী খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। বাস্তবিক অর্থে কেউ যখন আপনাকে কোন কিছুর জন্য হেয় করে, তখন আপনি ঠিক কেমন অনুভব করেন? বস্তুত, অন্যরাও আপনার মতো একেই রকম অনুভব করে।
আর আপনি যাকে কালো বলছেন, এই রং সৃষ্টিকর্তা ভালবেসে তাকে দিয়েছেন। কারণ ‘কালো’ রং সৃষ্টিকর্তার কাছে অন্যসব রং এর মতোই একটা রং! ব্যক্তিগতভাবে কালো রঙকে আমার কখনও অসুন্দর রং বলে মনে হয় না। আপনি যে কথা অন্যকে খুব সহজে বলে দিচ্ছেন, এই কথাগুলো নিয়ে তার মনের ভিতর কত তোলপাড় হচ্ছে, তা হয়ত আপনার কোনদিন জানাই হবে না। তবে এটা নিশ্চিত বলা যায়, আপনি সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি নিয়ে কটাক্ষ করে আনন্দ পাচ্ছেন!
বিদেশে বুলিং করাকে খুব বাজে চোখে দেখা হয় কারণ এটা করার কারোও অধিকার নেই। আর কেউ চাইলেও এটা করতে পারবে না। বিদেশে সম্মানকে খুব বেশি প্রাধান্য দেয়া হয় আর এর চর্চাও করা হয়। ওখানে নানা রঙের, নানা দেশের, নানা ধর্মের মানুষ এক সাথে বাস করে। কে দেখতে কেমন তা নিয়ে সাধারণত কাউকে কখনও কথা বলতে দেখা যায় না। বিশেষ করে সাদাবর্ণের মানুষদের আমি তা কখনও করতে দেখিনি। তাছাড়া স্কুলে কোন বাচ্চাকে বুলিং করা হয়েছে এমন কিছু রেকর্ড করা হলে,পুলিশ স্কুলে এসে তা তদন্ত করে। কারণ বুলিং এর কারণে একটা শিশুর মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে পড়াশুনায় পিছিয়ে পড়তে পারে। তবে আমাদের দেশে বুলিং যে একটা খারাপ বিষয় এটাই অনেকে মনে করেন না।
আপনি যদি বিশ্বাসী হন তবে আপনি নিশ্চয় মানবেন যে, প্রতিটা মানুষ এই পৃথিবীতে আসে সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছেতে। আর আপনার বিশ্বাস যদি তা না হয়, তবে আপনার নিয়ম ভিন্ন হতে পারে। খুব সহজ কথায় বলতে গেলে একজন মানুষ দেখতে কেমন হবে, তার গায়ের রং কেমন হবে, তা তো উপরওয়ালার সৃষ্টির ইচ্ছে। নয় কি? উনার সৃষ্টি নিয়ে কথা বলার কোন অধিকারই কি আমাদের আছে? তাহলে? আসলে এই বিষয়গুলোকে আমরা খুব ভুল কিছু মনেই করি না।
তবে পৃথিবীর সবাই ‘আশরাফুল মাখলুকাত’। সবাই অনন্য। কারো শারীরিক গঠন কিংবা গায়ের রং যাই হোক, সবাই আলাদাভাবে সবার মতো সুন্দর। সমস্যা শুধু অনেকের দেখার ভুলে। যেমন, রবি ঠাকুরের চোখে সবাইকে সুন্দর লাগত। আপনার আর আমার কাছে এমনটা মনে হয় না। কারণ, আমরা মানুষকে বিচার করতে ভালবাসি। আমরা মানুষকে তার মানবিক গুণাবলী কিংবা তার আচরণ দেখে বিচার না করে বরং তার শারীরিক আকৃতি বা গায়ের রং দিয়ে বিচার করি। যার ফলে কোন সৃষ্টির গভীর রুপ অনেক সময় আমাদের চোখ এড়ায়। মানুষকে যখন মানুষ বিচার করে তখন যাকে বিচার করা হয়, সেই মানুষেরা তাদের সৌন্দর্যতা হারায়।
আর কেউ আপনাকে বুলিং করলে আপনি নিজেকে গুটিয়ে ফেলবেন না বরং সুন্দরভাবে তার প্রতিবাদ করুণ, নিজেকে ভালবাসুন আর নিজের চোখে নিজেকে দেখুন। নিজের সবকিছুর জন্য কৃতজ্ঞ থাকুন। আর খেয়াল রাখুন আপনার সন্তানকে কেউ তার শরীর বা তার রং নিয়ে কোন কথা বলছে কিনা। স্কুলে -কলেজে তাকে কেউ ‘নোংরা’ নামে ডাকছে না তো? কেউ আপনার সন্তানকে হেয় করে তার আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দিচ্ছে কি? যদি তাদের সাথে এমনটা হয় তবে আপনার সন্তানের মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিন।
অন্য দিকে কাউকে যে কোন মন্তব্য ছুঁড়ে মারার আগে একবার ভাবুন। আপনার কথা কাউকে কষ্ট দিচ্ছে কিনা। তবে আমি বিশ্বাস করি, মানুষকে ‘সৃষ্টির সেরা’ মেনে সম্মান করলে তাদের কখনও হেয় করা যায় না। এই ভাবনাটুকু ও চর্চার বিষয় যা একদিনে হবে না। তবে এটা ভীষণ সত্যি যে, পৃথিবীর যে কোন পরিবর্তন ভাল কিংবা মন্দ তা সবাইকে মিলেই করতে হয়। তাই সবাই মিলেই বডি-শেমিং কে ‘ না ‘ বলুন।
আলিফ আলম ঃ কথা সাহিত্যিক, মন্ট্রিয়ল।
এস এস/সিএ
দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com
সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
আমাদের ফেসবুক পেজ https://www.facebook.com/deshdiganta.cbna24 লাইক দিন এবং অভিমত জানান