বহুস্থানে মনু নদী – পাড় ভেঙ্গে ফেলে |||| বিশ্বজিৎ মানিক
চোখে চোখেই চলে গেলো – দু’টি বছর
বন্যায় ডুবিয়েছিল – মৌলভীবাজার শহর।
বহুস্থানে মনু নদী – পাড় ভেঙ্গে ফেলে
কৃষিক্ষেত্র, জনপদ – ডুবে যায় জলে।
বড়হাটের ভাঙ্গন ছিলো – অতীব প্রকট
চলে নাই রাস্তায় – কয়েকদিন শকট।
ভাই আমার আটকা পড়ে – ভারতের কৈলাশহর
আমাকে যেতেই হবে – তাকে আনতে ঘর।
সফরসঙ্গী ছিলো তার – স্ত্রী ও পুত্রগণ
ঘরে তাদের আনতেই হবে – দ্রুত বিলক্ষণ।
পাশের বাড়ির ছালামত – সিএনজি চালক
তাকে নিয়েই যেতে হবে – সিদ্ধান্ত অপলক।
পনেরো জুন শুক্রবার – সকাল বেলা
সিএনজি সাথে নিয়ে – শুরু হলো চলা।
রাস্তার যেখানেতে – জল ছিলো কিছু
সিএনজি পাড় করি – ঠেলে পিছু পিছু।
চাতলাপুর বাগানের পাশে – ব্রিজ দেখি ভাঙ্গা
রাগে ক্ষোভে উত্তেজনায় – মুখ হলো রাঙ্গা।
সিএনজি এখানেই রেখে – পাড়ি দেই হেঁটে
হেঁটে হেঁটে যেতে যেতে – ক্ষুধা লাগে পেটে।
আমতলা বাজারে গিয়ে – বিপদ হলো ভারী
জলস্রোতে রাস্তা ভেঙ্গে – যেন দুই ‘খাড়ি’।
সেখানেই দেখা হয় – মুক্তার মিয়ার সাথে
পাঁচটি ছেলে রাজি হয় – সহায়তা দিতে ।
ধরাধরি করে সবাই – হেঁটে হেঁটে যাই
শুল্ক স্টেশনের কাছে – ভাইয়ের দেখা পাই।
চাঁদপুর গায়ে এক – বুড়ী মায়ের বাড়ি
মুক্তারের জামিনে দিলেন – ধান সিদ্ধের হাড়ি।
ছোট ভাতিজাকে তুলা হয় – হাড়িটির ভিতর
বড় ভাতিজা চড়ে – একজনের কাঁধের উপর।
ভাইয়ের বউকে, আনি ধরে – দুই ভাই মিলে
হাড়ি ঠেলে দুই কিলো – আসি ভেসে জলে।
জলে ছিলো, কতো স্রোত – ঝুঁকি ছিলো কতো?
মহাবিপদে ইষ্টনাম – জপি অবিরত।
বাড়ি পৌঁছাতে যারা – বাড়িয়ে ছিলেন হাত
প্রত্যেকের করকমলে আমি – জানাই প্রণিপাত।
সি/এসএস
সর্বশেষ সংবাদ
দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে cbna24.com
সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন