ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, নেপাল বাংলাদেশকে বিনা মূল্যে ৬ একর জায়গা দিয়েছে। আপনারা সেখানে যেতে পারবেন এবং ধর্মীয় কালচার সম্পন্ন করতে পারবেন। নেপাল সরকার আমাদেরকে বলেছিল যেখানে বৌদ্ধদের অধিবাস বুদ্ধিস্ট কালচার আছে ইচ্ছে করলেই আমরা তাদেরকে জায়গা দেবো। আপনারা কালচারাল সেন্টার প্যাগোডা করতে পারবেন।
আজ শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় রাজধানীর উত্তরা ১৬ নম্বর সেক্টর বৌদ্ধ মন্দিরে ‘বোধিচারা’ প্রতিস্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি কথা বলেন। তিনি জানান, বাংলাদেশ ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বৌদ্ধ কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় নেপালের রুমবিনি জায়গায় প্যাগোডা বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের জন্য কালচারার সেন্টার প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে সরকার। একনেকে মিটিংয়ে ৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে দৃষ্টিনন্দন কালচার সেন্টার এবং প্যাগোডা অনুমোদন দিয়েছে।
আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের একটা শ্মশান ব্যবস্থা হয়ে গেল।
এটা এতদিন হয়নি। অনেক সরকার এসেছে, চলেও গেছে কিন্তু প্রফেসর ডক্টর ইউনূস সাহেবের সরকারের হাতে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মহা শ্মশান উদ্বোধন হলো এটা আমাদের বিরাট সাফল্য। এর সঙ্গে আমি আরো বলতে চাই- আপনাদের কি কি প্রয়োজন এ নিয়ে একটি প্রজেক্ট তৈরি করে আমাদের কাছে দিন। ধর্ম, ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় আমরা সবাই মিলে তা ব্যবস্থা করে দেবো।
তিনি আরো বলেন, ‘আপনারা জানেন আমাদের এই বাংলাদেশ বহু বছর যাবৎ বৌদ্ধদের শাসনাধীন ছিল। শুধু বাংলাদেশ নয় অস্ট্রেলিয়ার কিনারা থেকে শুরু করে আফগানিস্তানের পশ্চিম পাস পর্যন্ত কেবল কিছু সংখ্যক জায়গা ছাড়া পুরো জায়গা জুড়েই বৌদ্ধদের শাসনাধীন ছিল। বিশেষ করে মৌর্য বংশের শাসক সম্রাট আশোকের সময়।’
আমরা বহুমাত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় বিশ্বাসী তাই নেপালে বৌদ্ধ সেন্টার ও তার কার্যক্রম তা প্রমাণ করে উল্লেখ করে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘আসুন আমরা একে অপরের হাত ধরি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সৌহার্দ ভ্রাতৃত্ববোধের দেশ বাংলাদেশ। এটা বিশ্বাস করি এবং নিজের দেশকে ভালোবাসি।
এ দেশ আমাদের সবার। একে অপরের হাত ধরে এই মাতৃভূমিকে অগ্রগতি উন্নতির পথে নিয়ে যাব এবং প্রফেসর ডক্টর ইউনূস সাহেবের হাতকে শক্তিশালী করে সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মাণ করব।’
সূত্র : কালের কন্ঠ