বাংলাদেশী-কানাডিয়ানদের নো-ভিসা প্রাপ্তি সহজ করার দাবী
কানাডাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে– অভিবাসীরা পাসপোর্ট, ভিসা, নো ভিসা পেতে অনেক জটিলতা ও ভোগান্তির সম্মুখিন হচ্ছেন। এর প্রতিবাদে ‘বাংলাদেশী কানাডিয়ান নাগরিক অধিকার ফোরাম’ এর আহ্বানে কানাডার স্থানীয় সময় রবিবার, সন্ধা ৭টায় ইঞ্জিনিয়ার রেজাউল রহমানের সভাপতিত্বে টরন্টোতে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বাংলাদেশী কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় উপস্থিত সম্মানিত অনেক প্রবাসী নাগরিক নো-ভিসা প্রাপ্তি ও অপ্রাপ্তিতে তাদের দূর্ভোগ ও হয়রানির কথা প্রচন্ড ক্ষোভের সাথে তুলে ধরেন। কেউ কেউ অনলাইন আবেদনে সার্ভারে সমস্যা, ভিসা প্রাপ্তিতে দীর্ঘ সূত্রতার কথা উল্লেখ করেন। নতুন পাসপোর্ট ও পাসপোর্ট নবায়নে ফেসবুক আইডি ও ইউটিউব লিংক প্রদান বাধ্যতামুলক করার তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা বলেন, এটা মানবাধিকার ও ব্যক্তিস্বাধীনতার পরিপন্থী।
অনেকে বলেন আমরা বাংলাদেশে রেমিটেন্স পাঠাই। বাংলাদেশ ভ্রমনে আমাদের অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা দেশের অর্থনীতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বাংলাদেশ সরকারও প্রবাসীদর জন্য নানা ধরনের কল্যানমুলক ও প্রণোদনামুলক কর্মসূচী গ্রহন করছেন। শুধুমাত্র কানাডার বাংলাদেশ দূতাবাস কর্মকর্তার করা নিয়মে নো-ভিসা প্রদানে জটিলতার কারণে অনেক ব্যক্তি-পরিবার দেশ যেতে পারছেন না। মৃত্যুপথযাত্রী অসুস্থ বাবা-মা আত্মীয়-স্বজদের পাশে থাকতে পারছেন না। বাংলাদেশও প্রবাসীদের মূল্যবান বৈদেশিক মূদ্রা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
সভায় বক্তারা বলেন, কানাডাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের সেবায় পূর্বের যে ধারা-মান বজায় ছিল তা অবিলম্বে পুনরায় চালু করতে হবে। নো ভিসা প্রদানে, পাসপোর্ট করণ, নবায়নে ও অন্যান্য সুবিধা প্রদানে কোন ধরণের জটিলতা, আমলাতান্ত্রিকতা ও দূর্ভোগ গ্রহনযোগ্য নয়। বিশ্বব্যাপী প্রবাসী নাগরিকদের জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরারাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যে সিদ্ধান্ত, আইন ও নীতিমালা আছে, তার বাইরে কোন সিদ্ধান্ত প্রবাসীরা মানবে না/গ্রহন করবে না। বাংলাদেশ সরকারের সিদ্ধান্তকেই কানাডার বাংলাদেশ দূতাবাসকে অনুসরণ করতে হবে।
সভায় সর্বসম্মতভাবে সম্মানিত হাইকমিশনারকে নিম্নলিখিত বিষয়ে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনের আহ্বান জানানো হয়।
১। প্রবাসী বাংলাদেশী কানাডিয়ানদের নো ভিসা প্রাপ্তি পূর্বের ন্যায় অবিলম্বে সহজ করা হোক
২। পূর্বের কানাডিয়ান পাসপোর্টে নো-ভিসা সিল থাকলে পুনরায় তাদের নতুন পাসপোর্টে ভিসা দিতে হবে।
৩। দূতাবাসের সেবা অনলাইন সহজিকরণ করা, সার্ভারে সার্বক্ষনিক একসেস এবং অফিসের সময়সূচীতে ফোন সার্ভিস সেবা রাখতে হবে। ম্যানুয়াল পদ্ধতিতেও আবেদনের ব্যবস্থা রাখা হোক
৪। পাসপোর্ট নবায়ন ও নতুন পাসপোর্ট আবেদন/প্রাপ্তি সহজ করা হোক
৫। বাধ্যতামুলক ফেসবুক আইডি ও ইউটিউব লিংক নিয়ম বাতিল করা হোক।
সভায় আলোচনায় অংশ নেন ও গুরুত্বপূর্ণ মতামত প্রদান করেন, আহাদ খন্দকার, শওগাত আলী সাগর, এম আর জাহাঙ্গীর, লিটন মাসুদ, নওশের আলী, আহমেদ হোসেন, ড. মঞ্জুরে খোদা, মাহবুব চৌধুরী রনি, সাদ চৌধুরী, ফারজানা চৌধুরী বিন্দু, হাজি সেলিম, সুমন জাফর, আপন কাজি, শেখ আশফাক দুলাল, রেজা সাত্তার, ড. হানিফ, মিসবাউল কাদের ফাহিম, রিফাত চৌধুরী, হুমায়ুন কবীর, দীন ইসলাম, বাবলু চৌধুরী, হাবিব চৌধুরী মারুফ, মকবুল হোসেন মঞ্জু, আহমেদ হোসেন লনি, আমিনুর চৌধুরী বাবু, রাফি চৌধুরী, সাকিল আহমেদ, ইউসুফ তালুকদার, সৈয়দ মাহবুব, একেএম সেলিম, ফরহাদ নাঈম, আজমল মিয়া, দেওয়ান হক, রফিক প্রমুখ।