বাংলাদেশ দূতাবাস মেক্সিকোতে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত
বাংলাদেশ দূতাবাস, মেক্সিকো সিটিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’ পালন
মেক্সিকো শহরস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’-এর ৫০তম বার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করা হয়।
অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে পূর্বাহ্ণে দিবসটি উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয় এবং জাতির পিতার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের উপর নির্মিত একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়। দূতাবাসে কর্মরত সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উক্ত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় ভাগে অপরাহ্ণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে একটি অনলাইন আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় যা ইংরেজি এবং স্পেনিশ ভাষায় একযোগে প্রচার করা হয়। । দূতাবাসের কাউন্সিলর এবং দূতালয় প্রধানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই আলোচনা অনুষ্ঠানে উনাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ দূতাবাসে কর্মরত সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণও অংশগ্রহণ করেন। উল্লেখ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওয়েবিনারটি লাইভ প্রচার করা হয়। উক্ত ওয়েবিনারে মূখ্য আলোচক হিসেবে অংশ নেন উনাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাউথ এশিয়ান স্টাডিজের সমন্বয়ক জনাব যোগেন্দ্র শর্মা। তিনি তাঁর বক্তব্যে সদ্য স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনে জাতির পিতার সক্রিয় ভূমিকা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন। সেই সাথে তাঁর রাজনৈতিক জীবনের সংগ্রাম ও ত্যাগ তিতিক্ষার কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতায় তাঁর অবিস্মরণীয় ভূমিকার প্রতিও আলোকপাত করেন।
রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম তাঁর বক্তব্যে জাতির পিতার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদ ও সকল মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের প্রেক্ষাপট আলোচনাকালে তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সাথে বঙ্গবন্ধুর সাক্ষাতের বিষয়টি উল্লেখপূর্বক সদ্য স্বাধীন এবং যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশের পূনর্গঠনে জাতির পিতার অবদানের কথা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন। এছাড়া, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিযাত্রা যথা আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, নারী ক্ষমতায়ন, দারিদ্র্য দূরীকরণ, মানব উন্নয়ন সূচক ইত্যাদি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব সাফল্যের কথা তার বক্তব্যে বর্ণনা করেন। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারের অভিন্ন কার্যক্রমের কথাও তিনি তার আলোচনায় উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য ওয়েবিনারটি আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে দূতাবাসের কাউন্সিলর এবং দূতালয় প্রধান অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘোষনা করেন।
এস এস/সিএ
দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com
সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
আমাদের ফেসবুক পেজ https://www.facebook.com/deshdiganta.cbna24 লাইক দিন এবং অভিমত জানান