প্রবাসের সংবাদ ফিচার্ড

বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার মধ্যে পর্যটনে নতুন সম্ভাবনার চুক্তি স্বাক্ষর

bangladesh-malaysia

মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে পর্যটন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবায় নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচনে একটি কৌশলগত চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। মঙ্গলবার কুয়ালালামপুরের মেরকিউর হোটেলে নিরব এসডিএন বিএইচডি আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়ার পর্যটন, শিল্প ও সংস্কৃতি উপমন্ত্রী দাতুক খাইরুল ফিরদাউস আকবর খান। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের হাইকমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি প্রণব কুমার ঘোষ, পাসপোর্ট ডিপার্টমেন্টের ইয়াসিন কবির। এছাড়া বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার ব্যবসায়িক প্রতিনিধি, পর্যটন উদ্যোক্তা এবং গণমাধ্যমের কর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।

উপমন্ত্রী খাইরুল ফিরদাউস বলেন, “আজকের এই সমঝোতা স্মারক আমাদের দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী সহযোগিতার নতুন অধ্যায় সূচনা করবে। বিশেষ করে পর্যটন, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা খাতে এই অংশীদারিত্ব উভয় দেশের জনগণের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে।”

তিনি তার বক্তব্যে বলেছেন, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত সময়ে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ থেকে আগত পর্যটকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ২ হাজার ৯২৯ জনে, যা গত বছরের তুলনায় ১২৭.৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নির্দেশ করেছে। উপমন্ত্রীর ভাষায়, “এই অর্জন আমাদের পারস্পরিক বন্ধুত্ব, আস্থা এবং সহযোগিতার দৃঢ়তার প্রতিফলন।”

দাতুক খাইরুল ফিরদাউস আরও বলেছেন, পর্যটন মালয়েশিয়া সক্রিয়ভাবে বাংলাদেশের বাজারে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। ঢাকায় অনুষ্ঠিত“ ঢাকা ট্রাভেল মার্ট” এবং আসন্ন “বাংলাদেশ ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ার”-এ অংশগ্রহণের পাশাপাশি ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রামে বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে, যা বাংলাদেশের পর্যটকদের মধ্যে মালয়েশিয়াকে আরও জনপ্রিয় করে তুলছে।

তিনি আরও বলেন, “মালয়েশিয়া এখন বিশ্বমানের চিকিৎসা, শিক্ষা ও পর্যটনের অন্যতম কেন্দ্র হিসেবে স্বীকৃত। জোহর মেডিকেল গ্রুপ (কেপিজে), কেএল ফার্টিলিটি, প্রিন্স কোর্ট মেডিকেল সেন্টার এবং হেল্প ইউনিভার্সিটি-এর মতো প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশের বাজারে দৃঢ়ভাবে কাজ করছে, যা দুই দেশের মধ্যে আস্থা ও সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করছে।”

উপমন্ত্রী আরও বলেন, “সরকারি ও বেসরকারি খাতের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও উচ্চতায় পৌঁছাবে। এই অংশীদারিত্ব আমাদের পারস্পরিক উন্নয়ন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং জনগণের কল্যাণে নতুন দিগন্ত খুলে দেবে।”

তিনি দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের স্থায়িত্ব কামনা করে বলেন, “আমরা এমন এক ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি যেখানে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া একে অপরের জন্য অগ্রগতির অংশীদার হবে।”

সূত্র: মানবজমিন

এফএইচ/বিডি


CBNA24  রকমারি সংবাদের সমাহার দেখতে হলে
আমাদের ফেসবুক পেজে ভিজিট করতে ক্লিক করুন।
আমাদের ইউটিউব চ্যানেল ভিজিট করতে পোস্ট করুন।

সংবাদটি শেয়ার করুন