বৈরুত বিস্ফোরণে ৫ বাংলাদেশি নিহত, আহত ৭৮ | বৈরুতের বিস্ফোরণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আরেক তরুণের মৃত্যু
লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচজন বাংলাদেশি নিহত এবং ৭৮ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাছাড়া এ ঘটনায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ২১ সদস্য আহত হয়েছেন।
বুধবার (৫ আগস্ট) লেবাননে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আল মুস্তাহিদুর রহমান, পিএসসি দূতাবাসের ফেসবুক পেজে এক ভিডিও বার্তায় এ তথ্য জানান।
নিহতদের মধ্যে দুই জনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রদূত। এদের একজনের নাম মেহেদী হাসান, অপরজন মিজানুর রহমান। তবে বাকি দুইজনের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তাছাড়া, গতকালের বিস্ফোরণে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একটি জাহাজের ২১ সদস্য আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে পাঁচজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৈরুতের এ বিস্ফোরণে ৭৮ জন বাংলাদেশি নাগরিক আহত হয়েছেন। তাদের বিষয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছে বাংলাদেশ দূতাবাস। লেবাননে প্রায় দেড় লাখ বাংলাদেশি বসবাস করেন।
এদিকে ভয়াবহ এ বিস্ফোরণের ঘটনায় হেল্পলাইন চালু করেছে লেবাননের বাংলাদেশ দূতাবাস। বাংলাদেশিদের হতাহতের খবর জানাতে হেল্পলাইনে যোগাযোগের অনুরোধ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় মারাত্মক বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে গোটা বৈরুত। এ ঘটনায় প্রায় শতাধিক নিহত এবং ৪ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। আহতদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ফলে মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ।
বৈরুতের বিস্ফোরণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আরেক তরুণের মৃত্যু
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত লেবাননের বৈরুতে বিস্ফোরণের ঘটনায় মো. রাসেল (২২) নামে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আরো এক তরুণ নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তিনি হলেন, জেলার কসবা উপজেলার কাইমপুর ইউনিয়নের জাজিসার গ্রামের মোর্শেদ মিয়ার ছেলে। কাইমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইয়াকুব মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বিস্ফোরণে রাসেলের বড় ভাই সাদেক মিয়া গুরুতর আহত হয়ে বৈরুতের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে বিস্ফোরণের ঘটনায় উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের গাববাড়ি গ্রামের মৃত জহুর আলীর ছেলে মো. সুমন ভূঁইয়া, তাঁর স্ত্রী শিরিনা আক্তার, তিন বছরের মেয়ে সামিরা, ভাগিনা শাওন ভূঁইয়া আহত হয়েছেন। তারা সেখানকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সুমনের বড় ভাই আওয়ামী লীগ নেতা কবির আহমেদ ভূঁইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত রাসেলের পরিবার ও স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে রাসেল সবার ছোট। প্রায় চার বছর আগে রাসেল লেবাননে পাড়ি জমান। তার বড় ভাই সাদেকও লেবাননেই থাকেন। রাসেল বৈরুতে একটি তেলের পাম্পে চাকরি করতেন। রাসেলের লাশ দেশে আনার দাবি জানিয়েছেন স্বজনরা।
উল্লেখ্য, বৈরুতের জোড়া বিস্ফোরণের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের ভাদেশ্বরা গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে মেহেদী হাসান রনির (২৫) মৃত্যু হয়েছে। তিনি ২০১৪ সালের মার্চ মাসে লেবাননে যান।
-সূত্রঃ কালের কন্ঠ
সিএ/এসএস
দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে cbna24.com
সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন