এনডিটিভির দাবি
ভারতে আটক বঙ্গবন্ধুর আরেক খুনি মোসলেহকে হস্তান্তর
ভারতে আটক বঙ্গবন্ধুর আরেক খুনি মোসলেহকে হস্তান্তর ।। মাত্র এক মাসের ব্যবধানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আরেক খুনি রিসালদার মোসলেহ উদ্দিনকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে আটকের পর বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে খবর দিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। গতকাল বুধবার ভারতের এই সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, শেখ মুজিবুর রহমানের আরেক ঘাতক মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামি রিসালদার মোসলেহ উদ্দিনকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় গোয়েন্দারা।
এর আগে, গত ফেব্রুয়ারিতে বঙ্গবন্ধুর আরেক খুনি মাজেদকে ঢাকার কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক ক্যাপ্টেন আবদুল মাজেদের (৭৩) মৃত্যুদ- কার্যকর করা হয়।
স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে এনডিটিভি বলছে, সোমবার সন্ধ্যায় অজ্ঞাত একটি সীমান্ত সংযোগ দিয়ে রিসালদার মোসলেহ উদ্দিনকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পলাতক এই আসামি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গুলি চালিয়ে হত্যা করেন।
পলাতক এ দুই ঘাতক দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশে বসবাস করে আসছিলেন। গত ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে দক্ষিণ কলকাতা থেকে আবদুল মাজেদকে আটক করা হয়। মাজেদের
বাসা থেকে মাত্র ৭০ কিলোমিটার দূরে বনগাঁও এলাকায় থাকতেন খুনি রিসালদার মোসলেহ উদ্দিন।
আবদুল মাজেদ দক্ষিণ কলকাতায় শিক্ষক হিসেবে প্রাইভেট পড়াতেন। অন্যদিকে, খুনি রিসালদার সেখানে একটি ছোট হারবাল ওষুধের দোকান দিয়েছিলেন। মৃত্যুদ- কার্যকরের আগে পশ্চিমবঙ্গে খুনি রিসালদারের আত্মগোপনে থাকার তথ্য নিরাপত্তাবাহিনীকে দিয়েছিলেন আবদুল মাজেদ।
সূত্রের বরাত দিয়ে এনডিটিভি বলছে, রিসালদার মোসলেহ উদ্দিনকে অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে অভিযান চালিয়ে আটক করে ভারতের শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। পশ্চিমবঙ্গে এ অভিযান চালানো হলেও রাজ্য পুলিশও তা জানত না।
সন্দেহভাজন হিসেবে মোসলেহ উদ্দিনকে আটক অভিযানের ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করে ভারতের গোয়েন্দারা। তখন ছবি এবং ভিডিও নিয়ে প্রচুর সংশয় দেখা দেয়। কারণ কিছু সূত্র সে সময় জানায়, ছবির ব্যক্তি; যাকে মোসলেহ উদ্দিন বলে দাবি করা হচ্ছে, তিনি কয়েক বছর আগে মারা গেছেন।
পরে তাকে শনাক্ত করার জন্য উচ্চমাত্রার সফিসটিকেটেড ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুুক্তি ব্যবহার করে বাংলাদেশ। পলাতক এই খুনিকে মোসলেহ উদ্দিন হিসেবে শনাক্ত করার পর বাংলাদেশের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়। তবে বাংলাদেশ এবং ভারত এই খুনিকে আটক এবং হস্তান্তরের ব্যাপারে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো তথ্য জানায়নি।
সূত্রঃ আমাদের সময়
সিবিএনএ/এসএস
দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে cbna24.com
সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন