দেশের সংবাদ ফিচার্ড

‘মাইরের ওপর ওষুধ নাই’ বক্তব্য দেওয়া ছাত্রলীগ নেতা কারাগারে

মাইরের-ওপর-ওষুধ-নাই

নরসিংদীতে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর মতবিনিময় সভায় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আহসানুল ইসলাম রিমন স্বতন্ত্র প্রার্থীকে পেটানোর হুমকি দেওয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছেন। আজ শুক্রবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে গ্রেপ্তার রিমনকে নরসিংদী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মাহমুদুল হাসানের আদালতে হাজির করা হয়। আগামী রবিবার আদালতে শুনানির দিন ঠিক করে কারাগারে পাঠান বিচারক।

আদালত পুলিশের পরিদর্শক সাফায়েত আহম্মেদ পলাশ এসব তথ্য জানিয়েছেন।

এদিকে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আহসানুল ইসলাম রিমনকে আদালতে নিয়ে আসা হলে তাঁর মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। সেখানে তাঁরা আদালতের সামনে সড়কে বসে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে অবস্থান নেন। পরে নরসিংদী মডেল থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

পুলিশ জানায়, গত বুধবার দুপুরে নরসিংদী ক্লাব লিমিটেডের মিলনায়তনে নরসিংদী- ১ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য নজরুল ইসলামকে বিজয়ের লক্ষ্যে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আহসানুল ইসলাম রিমনের দেয়া বক্তব্যে স্বতন্ত্র প্রার্থীকে পেটানোর হুমকি দেয়া হয়। তিনি বক্তব্যে বলেন, ‘কোনো স্বতন্ত্র-মতন্ত্র আমরা চিনি না, মাইরের ওপরে কোনো ওষুধ নাই। ছাত্রলীগের কোনো পোলাপান স্বতন্ত্ররে মানতো না, নরসিংদী শহরে ও সদরের কোনো এলাকায় তাকে জায়গা দেয়া হবে না।’ ছাত্রলীগ সভাপতি আহসানুল ইসলাম রিমনের দেওয়া এমন বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।

এ ঘটনায় শুক্রবার দুপুর ১২ টা ৫০ মিনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হল গেট থেকে ডিবি পুলিশ রিমনকে গ্রেপ্তার করে।

নরসিংদী জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ড. বদিউল আলম বলেন, আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন উপহার দিতে চাই। এতে কেউ বাধা দিলে বা নির্বাচনী আচরণ ভঙ্গ করলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নরসিংদীর যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ এবং নরসিংদী-১ নির্বাচনী এলাকার নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির সদস্য নাহিদুর রহমান নাহিদ ছাত্রলীগের সভাপতি আহসানুল ইসলাম রিমনকে শোকজ করেন। এছাড়া আইন ভঙ্গের কারণে কেন তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তাঁর কারণ জানতে চেয়ে শোকজ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লিখিত ব্যাখ্যা চেয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়।

সূত্র: কালের কন্ঠ

অনলাইন ডেস্ক (এফএইচ/বিডি)
সংবাদটি শেয়ার করুন