প্রবাসের সংবাদ

মুুক্তিযোদ্ধা মেহেদী সাত্তারের মৃত্যু


বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা মেহেদী সাত্তার (৬৪) হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ইন্তেকাল করেছেন। ৭ জুন রাজশাহীর সন্তান মেহেদী শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটার মিনিয়াপলিস সিটির নিজ বাসভবনে। পরদিন তার কফিন জাতীয় পতাকায় আচ্ছাদিত করে স্থানীয় বাঙালিরা শেষ শ্রদ্ধা জানান। মেহেদী সাত্তার তার দেহ মিনিয়াপলিস চিকিৎসা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান গবেষণায় দান করে গেছেন।

১৬ বছর বয়সে মেহেদী সাত্তার মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গিরের নেতৃত্বে। যুদ্ধ শেষে তিনি বিশেষ কৃতিত্বের সাথে এসএসসি ও এইচএসসি পাশের পর ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৮২ সালে তিনি বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটে যোগদান করেছিলেন। এর ১০ বছর পর ফুলব্রাইট স্কলার হিসেবে নর্থ ডাকোটা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে পিএইচডি করতে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন। পরের বছরই এক সড়ক দুর্ঘটনায় স্পাইনাল কর্ড ইনজুরির কারণে তাকে প্রায় পঙ্গুত্ব বরণ করতে হয়। এজন্যে তার পক্ষে কীটতত্বেও পিএইচডি শেষ করা সম্ভব হয়নি। তবে তিনি হাল ছাড়েননি। পঙ্গু অবস্থায়ই অদম্য সাহসী এই মুক্তিযোদ্ধা যুক্তরাষ্ট্রেই কম্পিউটার সায়েন্সে মাস্টার্স করেছিলেন।

মেহেদী সাত্তারের শরীরের অধিকাংশই প্যারালাইজড হয়ে পড়েছিল। এক হাতের ৩টি আঙ্গুল সচল ছিল গত ক’বছর। সেই তিন আঙ্গুলেই তিনি ফেসবুকে সরব ছিলেন। বন্ধুদের উৎসাহ দিতেন সব সময়। নিজের এই কঠিন পরিস্থিতিকে সহজে কারও কাছে উপস্থাপন করতেন না।

মেহেদী সাত্তারের ঘনিষ্ঠজনেরা জানান, সব ধরনের অন্ধ বিশ্বাসের ঊর্ধ্বে তিনি বিজ্ঞানের একনিষ্ঠ বিশ্বাসী হিসেবে তার বন্ধু, সহকর্মী আর সুহৃদের মধ্য সুপরিচিত ছিলেন।

আরও জানা গেছে, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জীবনে প্রগতিশীল ছাত্র রাজনীতির এই নেতা পরবর্তীতে বিভিন্ন আন্দোলনে ও স্বৈরশাসক এরশাদ সরকারের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক অধিকার অর্জনের আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন।

 

সি/এসএস


সর্বশেষ সংবাদ

দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে cbna24.com

সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

 

সংবাদটি শেয়ার করুন