নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কসের জনপ্রিয় খলিল বিরিয়ানী মিলনায়তনে গত ২২ ডিসেম্বর রোববার সন্ধ্যায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে কমিউনিটির সর্বস্তরের মানুষের সমাগম ঘটে। ব্রঙ্কস বাংলাদেশী কমিউনিটির ব্যনারে আয়োজন করা হয় এই ফান্ড রেইজিং অনুষ্ঠানের। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফান্ড রেইজিং অনুষ্ঠানের আহবায়ক আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দীন।
অনুষ্ঠানে মেরী জোবাইদার সাফল্য কামনা করে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সাপ্তাহিক পরিচয় সম্পাদক নাজমুল আহসান, বাংলা পত্রিকার বার্তা সম্পাদক হাবিবুর রহমান, অনুষ্ঠান আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব আব্দুল হাশিম হাসনু, চীফ কো-অর্ডিনেটর আব্দুস শহীদ, এডভোকেট এন মজুমদার, এ ইসলাম মামুন, খলিলুর রহমান, ফরিদা ইয়াসমীন, রেক্সোনা মজুমদার, শামীম, মিয়া, ডা. নাহিদ খান, তৌফিকুল ইসলাম ফারুক, জালাল চৌধুরী, আহবাব হোসেন খোকন, মনজুর চৌধুরী, শাহেদ আহমদ, শামীম আহমদ, মোজাফফর হোসেইন, মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন, শেখ আল মামুন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে মেরী জোবাইদা বলেন, আমাদের প্রবীন প্রবাসের দীর্ঘদিনের ত্যাগ তিতিক্ষার পথ ধরেই আজ বাংলাদেশী কমিউনিটি হাটি হাটি পা পা করে এই পর্যায়ে এসেছে। এজন্য প্রবীন প্রবাসীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। তিনি বলেন, সময় এসেছে এখন বাংলাদেশী কমিউনিটির সরাসরি প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার। আমরা আমাদের কমিউনিটি ছাড়াও নিউ ইয়র্কের অবহেলিত উপেক্ষিত ও বঞ্চিত মানুষের কন্ঠস্বর হিসেবে কাজ করতে চাই। এজন্য তিনি সকল বাংলাদেশীর সহযোগিতা কামনা করেন।
মেরী জোবাইদা বলেন, এদেশ আমাকে অনেক দিয়েছে। আমি মনে করি এখন সময় এসেছে কিছু দেয়ার। এই মানসিকতা থেকেই আমি নির্বাচন করছি। ইমিগ্র্যান্ট কমিউনিটির মুখকে উজ্জল করা এবং তাদের স্বার্থে কাজ করতে আমি সকলের সাহায্য সহযোগিতা ও দোয়া প্রার্থনা করছি।
অনুষ্ঠানের বক্তারা মেরী জোবাইদাকে এই সময়ের একজন সাহসী ব্যক্তিত্ব হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, আসন্ন এই নির্বাচনে মেরী জোবাইদাকে বিজয়ী করতে আমাদের সকলকে এক সাথে কাজ করতে হবে। মনে রাখবেন মেরী হেরে যাওয়া মানে বাংলাদেশী কমিউনিটি হেরে যাওয়া। এজন্য তারা ডিস্ট্রিক্ট ৩৭ এ মধ্যে লং আইল্যান্ড সিটি, এস্টোরিয়া, সানি সাইড, উডসাইড, মাসপ্যাথ ও রিজউডে বসবাসরত বাংলাদেশীদের মেরীর সমর্থনে এগিয়ে আাসার আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট রাজনৈতিক কুশলী ডা, রায়হান উল্লাহ মেরীর নির্বাচনী সাফল্যের সম্ভাবনা নিয়ে তার একটি গবেষণা সবার সামনে তুলে ধরেন।
সভাপতির বক্তব্যে আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দীন বলেন, ব্রঙ্কসের স্টারলিং এভিন্যুতে একটি মিনি বাংলাদেশ গঠনে আমরা সক্ষম হয়েছি। একইভাবে ঐক্যবদ্ধ থাকলে মেরী জোবাইদাকেও বিজয়ী করা অসম্ভব কিছু নয়। এজন্য তিনি সকলকে সহযোগিতার হাত সম্প্রসারিত করার আহবান জানান।
এদিকে নিউইয়র্ক ষ্টেট অ্যাসেম্বলী ডিষ্ট্রিক্ট-৩৭ থেকে আগামী প্রাইমারী নির্বাচনে প্রার্থীতা ঘোষণাকারী বাংলাদেশী-আমেরিকান মেরী জোবাইদার জন্য আয়োজিত ফান্ড রেইজিং অনুষ্ঠানে বক্তারা দলমত নির্বশেষে তাকে বিজয়ী করতে কমিউনিটির সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন। গত ২০ ডিসেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় সিটির এস্টোরিয়াস্থ (এলআইসি) টাইম টেলিভিশন ও বাংলা পত্রিকা’র বার্তা কক্ষে মিডিয়া দুটি’র পক্ষ থেকে এই ফান্ড রেইজিং অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, নিউইয়র্ক তথা যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশী কমিউনটির সংখ্যা বাড়ছে। এখন সময় আসছে মূলধারার রাজনীতি সহ প্রশাসনে বাংাদেশী-আমেরিকানদের নেতৃত্ব দেয়ার। এজন্য কমিউনিটির ঐক্যের বিকল্প নেই।
মেরী জোবাইদা তার বক্তব্যে তার প্রার্থীতা হওয়ার কারণ ও নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি তুলে ধরে বলেন, কমিউনিটির সেবা বিশেষ করে নিউইয়র্ক সিটির হাউজিং, স্থাস্থ্য, শিক্ষা প্রভৃতি সমস্যার সমাধানে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন এবং সবার সহযোগিতা কামনা করেন। টাইম টেলিভিশন-এর হেড অব এডিমন ড. বিলকিস রহমান দোলার সঞ্চালনায় ব্যতিক্রমী এই অনুষ্ঠানে কমিউনটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মধ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কলামিস্ট হাসান ফেরদৌস, বাংলা পত্রিকা’র সম্পাদক ও টাইম টেলিভিশন-এর সিইও আবু তাহের, ফার্মাসিস্ট মোস্তাক আহমেদ, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সভাপতি নার্গিস আহমেদ, বাংলা পত্রিকা’র বিশেষ প্রতিনিধি শেখ সিরাজুল ইসলাম, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিষ্ট রানু ফেরদৌস, রাজিয়া নাজনী, আনোয়ার হোসেন, সায়েদা ইয়াসমীন সোহেলী, নতুন প্রজন্মের হুমায়রা নওশীন নূর প্রমুখ।
উল্লেখ্য, বিগত ৩৫ বছর ধরে নিউইয়র্ক-এর অ্যাসেম্বলী ডিস্ট্রিক্ট-৩৭ থেকে নির্বাচিত হয়ে আসছেন ক্যাথরিন নোলান। এমনকি গত এক দশকে কেউ প্রাইমারী নির্বাচনে তাকে চ্যালেঞ্জটুকুও জানায়নি। দীর্ঘ বছরের পর এবারই প্রথম ক্যাথরিন নোলান প্রাইমারীতে মেরী জোবাইদার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে যাচ্ছেন। নিউইয়র্ক সিটির কুইন্স ব্রীজ, লং আইল্যান্ড সিটি, সানি সাইড, উডসাইড, ম্যাসপাথ ও রিজউড নিয়ে অ্যাসেম্বলী ডিস্ট্রিক্ট-৩৭ আসন। ২০১০ সালের আদমশুমারীর হিসেবে এই আসনে ১,২৯,১৮৭ মানুষের বসবাস।