দেশের সংবাদ ফিচার্ড

মেস থেকে এনসিপি নেত্রীর মরদেহ উদ্ধার, স্যোশাল মিডিয়ায় প্রকৃতির বিচার বলে দাবি

জান্নাতারা রুমী
মেস থেকে এনসিপি নেত্রীর মরদেহ উদ্ধার, স্যোশাল মিডিয়ায় প্রকৃতির বিচার বলে দাবি
রাজধানীর জিগাতলায় মেস থেকে উদ্ধার হওয়া এনসিপি নেত্রী জান্নাতারা রুমীর (৩০) মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে এই মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা আলোচনা ও মন্তব্য ছড়িয়ে পড়েছে। ‘প্রকৃতির বিচার’ বলে দাবি করছেন, এটার কারণ কিছুদিন পূর্বে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে শ্রদ্ধা জানাতে এক বৃদ্ধা গেলে এই নেত্রি প্রকাশ্যে মারপিট করেন যা বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষই এই অমানবিক হিংস্র বর্বর আচরণ মেনে নিতে পারেননি। ফলে তার মৃত্যুর পর পুরো সোশ্যাল মিডিয়া ঘিরে শোকের পরিবর্তে প্রকৃতির বিচার বলে দাবি করছেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ডিসেম্বর) লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন হাজারীবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমা বেগম।
একই থানার উপ-পরিদর্শক মো. কামরুজ্জামান জানান, রুমীর বাড়ি নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর বাসস্ট্যান্ডে। বাবার জাকির হোসেন। রুমী ধানমন্ডি গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে নার্সিংয়ে পড়ালেখা শেষ করেছেন। এরপর বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চাকরি করছিলেন। তবে বর্তমানে কোথায় চাকরি করতেন, নাকি বেকার ছিলেন তা জানাতে পারেননি তিনি।
এদিকে, মৃত রুমীর চাচাতো ভাই মেহেদী হাসান জানান, জিগাতলার ওই বাসায় একটি মেসে থাকতেন রুমী। তার ২টি বিয়ে হয়েছিল। দুই সংসারই ভেঙে গেছে। দুই সংসারে দুটি সন্তানও রয়েছে তার। বাচ্চারা তাদের বাবার কাছে থাকে।
তিনি আরও বলেন, শুনেছি রুমীর রুমমেট বাড়িতে গিয়েছে। বুধবার রাতে একাই ছিলেন রুমী। তবে একই ফ্ল্যাটে পাশের রুমে অন্য রুমমেটরা ছিলেন। রাতে কাজের বুয়া ৫ম তলায় তাদের ফ্ল্যাটের সামনে গেলে দরজা খোলা দেখতে পান এবং ভিতরে বাতি জ্বলতে দেখেন। এরপর ভিতরে উঁকি দিলে রুমীকে ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে তিনিই সবাইকে ডেকে তুলেন বলে শুনেছি।
কি কারণে তিনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বজনরা বলেন, সাংসারিক বা পারিবারিক বিষয়ে হতাশা থেকে এমন ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারেন রুমী। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিস্তারিত তদন্ত করে দেখার আহ্বান জানান তারা।
সংবাদটি শেয়ার করুন