জানা অজানা জীবন ও স্বাস্থ্য ফিচার্ড

যৌবন ধরে রাখতে রসুন

যৌবন ধরে রাখতে রসুন

রান্নাতে রসুনের গুণাবলি সম্পর্কে আমরা সকলেই অবগত। কিন্তু রান্না ছাড়াও রসুনের বিবিধ গুণ রয়েছে। সে বিষয়ে অনেকেই জানি না। বিশেষ করে চুল আর ত্বকের পরিচর্যায় রসুন অব্যর্থ দাওয়াই। রসুন খাওয়া এমনিতেই খুব উপকারী। কিন্তু রসুনের জল যে নানা রোগের উপশম করতে পারে তা হয়তো অনেকেরই অজানা। বিশেষ করে শীতের মরশুমে রসুনের জল খুবই উপকারী। সকালে খালি পেটে এক গ্লাস রসুনের জল পান করলে ৬-৭টি রোগ দূর হতে পারে অনায়াসে। শুধু তাই নয়, শীতের সময় অধিকাংশই সর্দি-কাশির মতো সমস্যায় ভোগেন সেক্ষেত্রে রসুন জল খুবই উপকারী।

এই বিষয়ে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ভি কে পান্ডে জানান, রসুনের জল নানা ভাবে শরীরের উপকার করে। সারারাত কয়েক কোয়া রসুন পানিতে ভিজিয়ে রেখে জল পান করতে হবে। তাঁর মতে একেবারে সকালে খালি পেটে রসুনের জল পান করা উচিত। এতে সর্দি, কাশি, বদহজম দূর হতে পারে। শুধু তাই নয়, মুখের বলিরেখার মতো সমস্যাও চলে যায়। কিন্তু জানেন শুধু ত্বকের সমস্যাই নয়, হারানো যৌবনকে ফিরিয়ে দিতে পারে এক কোয়া রসুন৷ মধু এবং লেবুর রসের সঙ্গে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে এক কোয়া করে রসুন খান৷ দেখবেন, বয়সের কোঠা ৪০ পেরোলও, আপনাকে দেখলে মনে হবে বছর কুড়ির তন্বী৷

ডা. ভি কে পান্ডের মতে, রসুনের জল অনেক পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়। এতে ভিটামিন এ, বি এবং ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিডের মতো উপাদান রয়েছে, যা মস্তিষ্কের কোষগুলির বিকাশে সহায়তা করে। এছাড়াও, এটি বিশেষ করে শীতকালীন আবহাওয়ায় শরীরকে উষ্ণ রাখতে সাহায্য করে। ফলে যাঁরা সর্দি-কাশিতে ভোগেন তাঁদের জন্য উপকারী। ফুসফুসে প্রচুর কফ জমে থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করতে কাজ করে।

তিনি আরও বলেন, যাঁরা হাঁটুতে ব্যথা বা হাড়ের কোনও ব্যথায় ভুগছেন, তাঁরাও উপকার পেতে পারেন রসুনের সাহায্যে। এই কন্দে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। তাই বাতের মতো জটিল রোগের চিকিৎসায়ও রসুনের জল সহায়ক হতে পারে।

রসুনের জল পান করার পর অবশিষ্ট রসুন ফেলে দেওয়ার দরকার নেই। এটিকে অনায়াসে রান্নার কাজে ব্যবহার করা যায়। প্রতিদিন একটি বা দুটি কোয়া রসুন চিবিয়ে খেলেও শরীরের জন্য তা উপকারী হতে পারে। রসুন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে।

মনে রাখতে হবে, রসুনের মাত্র দুই-তিন কোয়া জলে মেশাতে হবে, তার বেশি নয়। ডা. ভি কে পান্ডে বলেছেন যে সবাই এটি পান করতে পারেন। কিডনি বা ডায়াবেটিসের সমস্যা থাকলেও পান করা যায়। এর কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এমনকী শিশুরাও পান করতে পারবে।-বাংলাদেশ জার্নাল

সংবাদটি শেয়ার করুন