রক্তাক্ত একুশ আগষ্ট |||| বিশ্বজিৎ মানিক
একুশ আগষ্ট গ্রেনেড হামলার – ষোলোটি বছর হলো
এতো এতো প্রাণ কেড়ে নিয়ে -লাভ কি হয়েছিল বলো?
চেয়েছিলে তোমরা নিঃশেষ করতে- বাঙালির অহংকার
হয়ে যাবে বুঝি গ্রেনেড হামলায় – বুঝেছিলে মেচাকার।
অশুভ ধান্দায় এঁটেছিলে ফন্দি – বিশ্বাস ঘাতকের দল
নিজেদের পায়ে কুঠার মেরে -ডেকে এনেছিলে অমঙ্গল।
মুজিব তনয়া শেখ হাসিনা – বিরোধী দলের নেতা
করতে নিঃশেষ খেলছিলে খেলা – হয়েছিলে তোমরা হোতা।
প্রতিবাদের ডাক দিয়েছিলেন তিনি – হয়ে সংকল্পবদ্ধ
চিরতরে তোমরা চেয়েছিলে করতে – সেই পথটাকে রুদ্ধ।
বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে সমাবেশে যখন – ভাষণ হয়েছিল শেষ
হায়েনার দল গর্জে উঠেছিলে – চেয়েছিলে করতে নিঃশেষ।
ছুঁড়ে মেরেছিলে মঞ্চের দিকে – একযোগে আর্জেস গ্রেনেড
মানববর্ম তৈরি করে নেতারা – দিয়েছিলেন ব্যারিকেড।
আহতের আর্তনাদে হয়েছিল – ভয়ানক এক বিভীষিকা
মঞ্চের সামনে বসে দেখেন আইভি – জীবনের শেষ দেখা।
বিবিসি সাংবাদিক তুলছিলেন ছবি – স্তুপাকারে পড়েছে লাশ
বিস্ফোরণ আঘাতে মঞ্চের পাশে – পারেনি নিতে কেউ শ্বাস।
রক্তের প্রবাহে দিয়েছিলে ভাসিয়ে – সমাবেশস্থল খানি
মিডিয়ার কল্যাণে মূহুর্তেই খবর – হয়ে গিয়েছিল জানাজানি।
চব্বিশ তাজা প্রাণ নিয়েছিলে কেঁড়ে – সভা মঞ্চের পাশে
শত শত জন আহত হয়েছিল – সেদিন চোখের নিমেষে।
পারোনি করতে খতম তোমরা – হাসিনা নয়নের মনি
রক্তাক্ত বাংলা হয়েই গিয়েছিল – ঘাতকে আবৃত খনি।
ব্যর্থ হয়েছিল একাত্তর পচাত্তরের – কল্পিত সে মিশন
সফল করতে চেয়েছিলে এবার – স্থির করেছিলে ভিষণ।
জজ মিয়া নাটক সাজিয়েছিলে তোমরা – দ্বার রুদ্ধ ঘরে বসে
গরীবের ছেলে খেটেছিল জেল – ঘাতকেরা ছিল আয়েশে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসে – দেশের ক্রান্তি কালে
চুরি করে যারা ফুলে উঠেছিল – ঢুকেছিল তারা জেলে।
গ্রেনেড হামলার তদন্তের আদেশ – দিয়েছিল তারা পুনরায়
জঙ্গিপনায় ছিল য়ারা সেদিন – অনেকেই তাতে ধরা খায়।
হাসিনা’র সরকার নয় সালে এসে – বিচার করলো শুরু
ধরা খেলো তাতে রাঘব বোয়াল – ছিল যারা নাটের গুরু।
প্রার্থনা করি দেশে যেন আর – এমন ঘটনা নাঘটে
সুস্থ রাজনীতি করে চল তোমরা – শান্তিতে অকপটে।
২১/০৮/২০২০ খ্রিস্টাব্দ।