রঞ্জনা রায়-এর কবিতাগুলো
———————————————————————————-
নীরবে
বাগানে একটি গোলাপ নীরবে ফুটেছিল
সুগন্ধের বৃত্ত বলয়ে অসংখ্য প্রজাপতি
সোনালি রোদ্দুর মেখে ঝলমল করে ।
রোজ সকালে বাগানের দক্ষিনকোণে
একটি অসহায় প্রজাপতির মৃতদেহ –
ফুলের রঙে রসে রূপে ডুবে থাকা জীবন
যেন মায়াময় তামাশার প্রত্নস্মারক
ক্লোরোফিল হয়ে নীরবতা আসে জীবনের সবুজ পাতায়
এক শুদ্ধতর মানবিক আকর –
নীরবতার এভারেস্ট চুড়ায় চার্বাক সংহিতা কতটা গ্রহণীয় ?
—————————————————————————–
গভীরতা
অনুভবে মাপতে চেয়েছি নদীর গভীরতা
অনুভবে পরিমাপ !
অজানা বিস্ময় –
নদীর বুকে জলজ শ্যাওলার স্পন্দন
রূপকথা হয়ে যায়
ইতিহাসের নাগরদোলায় ।
ঢেউ ওঠে তরঙ্গের আদি অন্ত ভেঙে যায়
কৃষ্ণা চতুর্দশীর চাঁদ নিজেকে দেখে –
অবগাহনে – কোজাগরী বিন্যাসে ।
ঋতুমতী গান্ধারীর চোখে সেদিন ছিল না
কোন গহন অন্ধকারের কঠিন বাঁধন ।
নদী সত্তার গভীরে ডুবে যেতে যেতে
দেখেছিল রাতের সূর্য আরাধনা ।
যদু বংশ ধ্বংসের শানিত তীরখানি ছিল
হৃদয়ের চোরাকুঠুরির গোপন রঙ্গঘরে ।
নদীর গভীরতা –
জলপরীর শুভ্র স্নিগ্ধ ডানায় ভোরের কবিতা
গান্ধারীর আত্মনিবেদনের অন্ধকারে
আশ্রয়
পথ হারানোর বিপথে পথের খোঁজে
ডানায় রোদ্দুরের খেলা ,
তখনো মেঘের আঁচলে স্বপ্নযাপন –
ঝড়ের ধাঁধায় হারিয়ে যেতে যেতে
ছোট্ট নৌকা খানি আমার
———————————————————————-
নিজস্ব
একটি নিঃসঙ্গ মাঠের কিনারায়
একটি গাছের ছায়ায়
পেয়েছিলাম একমুঠো অবকাশ ।
নারী হবার চূড়ান্ত তপস্যায় কেটে যায়
দিন,মাস ,বছর –
ঝরে অনেক ব্যাথার জুঁইফুল ।
নিজের জন্য চাই এখন নিজস্ব উঠান
কিছু অমূল্য বিস্ময়, সন্ধ্যাপ্রদীপের ছায়া –
সেই সবুজ মাঠে সবুজ মায়াঘর ।
এস এস/সিএ
দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com
সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
আমাদের ফেসবুক পেজ https://www.facebook.com/deshdiganta.cbna24 লাইক দিন এবং অভিমত জানান