ফিচার্ড বিশ্ব

রুশ আগ্রাসন মোকাবিলায় ব্রাসেলসে ন্যাটো, জি-সেভেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের তিনটি শীর্ষ ও জরুরী বৈঠক 

রুশ আগ্রাসন মোকাবিলায় ব্রাসেলসে ন্যাটো, জি-সেভেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের তিনটি শীর্ষ ও জরুরী বৈঠক 

অবৈধ রুশ আগ্রাসন মোকাবিলায় গনতান্ত্রিক ইউক্রেনকে আরো সামরিক ও মানবিক সহায়তা দিয়ে পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানী, ইতালী, স্পেন সহ ইউরোপের শক্তিধর দেশগুলো। ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন এক মাস পেরিয়েছে। ২৪ ফেব্রুয়ারী রাশিয়া  ইউক্রেনে বিনা প্ররোচনায় সামরিক অভিযান শুরু করেছে।

স্থল পথে রুশ বাহিনীর হামলার গতি কমলেও বিমান থেকে বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা রাশিয়া অব্যাহত রেখেছে । রাশিয়ার ওপর আরো নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা করলেও কিয়েভের আহ্বান অনুযায়ী ইউক্রেনের আকাশ নো-ফ্লাই জোন করা  ও রাশিয়ার তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার ব্যাপারে কোনো অঙ্গীকার করেনি NATO। বৃহস্পতিবার ২৪ মার্চ বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে ৩০ সদস্য বিশিষ্ট বিশ্বের শক্তিশালী NATO (ন্যাটো) সামরিক জোটের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানরা, ৭ সদস্য বিশিষ্ট  শিল্পোন্নত দেশগুলোর জি-সেভেনের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানরা এবং দু’দিন ব্যাপী ২৭ সদস্য বিশিষ্ট ইউরোপীয় ইউনিয়নের তিনটি শীর্ষ ও জরুরী বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত এসেছে। এসব বৈঠকে যোগ দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাষ্টিন ট্রুডো, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রো, জার্মানীর চেন্সেলার ওলফ শুলাজ, ইতালীর প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাগি, বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। ন্যাটোর বৈঠকের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দাবি করেন, আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় ন্যাটো অনেক বেশি ঐক্যবদ্ধ। রাশিয়াকে সহযোগিতা না দেওয়ার জন্য চীনের প্রতি তিনি আহ্বান জানান। সম্মেলন শেষে পুতিনকে ইঙ্গিত করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘তিনি (পুতিন) যদি এটি (রাসায়নিক অস্ত্র) ব্যবহার করেন, তাহলে আমরা জবাব দেব। রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের ধরনের ওপর নির্ভর করবে আমাদের জবাব কেমন হবে।’ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি পশ্চিমা নেতাদের এই বৈঠকে কিয়েভ থেকে ভিডিও লিংকে বক্তব্য দিয়েছেন যেখানে তিনি নেটোর কাছ থেকে ‘অবাধ সামরিক সাহায্য’ দাবি করেন। আবারো ইউক্রেনে ‘নো ফ্লাই জোন’ ঘোষণার দাবি না করলেও মি. জেলেনস্কি যুদ্ধ বিমান এবং ট্যাংক চেয়েছেন।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বৈঠক শেষে দেওয়া এক বিবৃতিতে ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন বন্ধের দাবি জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে বেসামরিক মানুষ ও অবকাঠামোর ওপর হামলার নিন্দা জানানো হয়েছে। ইইউ নেতারা বলেছেন, এ ধরনের যুদ্ধাপরাধ দ্রুত বন্ধ করতে হবে। আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় দায়ীদের জবাবদিহির মুখোমুখি করা হবে। ইইউ ইউক্রেনের পাশে আছে এবং সমন্বিতভাবে রাজনৈতিক, আর্থিক, বস্তুগত ও মানবিক সহায়তা দেওয়া অব্যাহত রাখবে।

ইইউর সম্মেলনে দেওয়া এক ভার্চুয়াল ভাষণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন থামাকে ইইউ দেরি করে ফেলেছে। আগেই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলে হয়তো এই আগ্রাসন হতো না। তিনি ভাষণে ইউক্রেনে রুশ সেনাবাহিনীর তাণ্ডব ও ক্ষয়ক্ষতির চিত্র তুলে ধরেন। এ সময় তিনি সহায়তার জন্য ইউরোপের দেশগুলোর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ইউক্রেনকে দ্রুত ইইউর সদস্যপদ দেওয়ার আহ্বান জানান।

জি৭-এর বৈঠকেও নেতারা দাবি করেন ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধ করছে রাশিয়া। ন্যাটো ও ইইউর মতো শিল্পোন্নত দেশগুলোও ইউক্রেনকে সহায়তা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ঐ সম্মেলনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট রাশিয়ার ওপর পূর্ণ বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আহ্বান জানান। দীর্ঘমেয়াদী সংঘাতের জন্য নেটো জোট প্রস্তুত- বলেন ন্যাটোজোটের মহাসচিব ইয়েন স্টলটেনবার্গ

রাশিয়ার কাছ থেকে সাইবার হামলা এবং সম্ভাব্য রাসায়নিক-জীবাণু এবং পারমানবিক হামলার বিরুদ্ধেও ইউক্রেনকে সাহায্যের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে নেটোর বৈঠকে।

সূত্র : বিভিন্ন সংবাদপত্র

 

 




সর্বশেষ সংবাদ

দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com

সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

আমাদের ফেসবুক পেজ   https://www.facebook.com/deshdiganta.cbna24 লাইক দিন এবং অভিমত জানান

সংবাদটি শেয়ার করুন