গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে আজ রেকর্ড সংখ্যক করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে
বাংলাদেশে আজ করোনায় আক্রান্ত হাজার ছাড়িয়ে আরও ১১৬২ জন আক্রান্ত হয়েছেন, আর এ সময়ে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ১৯ জন। আজ সুস্থ্য হয়েছেন ২৫২ জন।
এ নিয়ে বাংলাদেশে মোট আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১৭,৮২২ জন। আর এখন পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা ২৬৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছেন ২১৪ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৩,৩৬১ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় মোট নমুনা পরিক্ষা করা হয়েছে ৭৯০০ টি।
আজ বুধবার নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানিয়েছেন।
দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার কথা জানানো হয় গত ৮ মার্চ।
এর আগে গত ডিসেম্বরে চীনের উহানে করোনাভাইরাসের আঘাত আসে। এরপর এটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। এ পর্যন্ত বিশ্বে দুই লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
সূত্রঃ অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিন
বাংলাদেশে করোনাভাইরাস: কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশন নিয়ে যত প্রশ্ন
বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর নতুন করে দুটি শব্দ সামনে এসেছে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে ‘কোয়ারেন্টিন’; আর আরেকটি হচ্ছে ‘আইসোলেশন’।
এখনো পর্যন্ত ১১৮টি দেশে ভাইরাসটির সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে লাখেরও বেশি মানুষ।
দ্রুত ছড়িয়ে পড়া এই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বিভিন্ন দেশ কোয়ারেন্টিনের আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়া চীনের হুবেই প্রদেশসহ দক্ষিণ কোরিয়ার বিভিন্ন শহরে জনগোষ্ঠী এমনকি পুরো ইতালিকে কোয়ারেন্টিন বা অবরুদ্ধ করার ঘোষণার খবরও এসেছে।
কোয়ারেন্টিন শব্দটি কীভাবে এলো?
১৪শ শতকে ইউরোপে ব্ল্যাক ডেথ মহামারি আকার নিলে, ভেনিস কর্তৃপক্ষ একটি নিয়ম জারি করে।
আর তা হলো, বন্দরে কোন জাহাজ ভিড়িয়ে যাত্রীদের নামানোর আগে সেটাকে সমুদ্রে ৪০ দিন নোঙর করে রাখতে হবে।
এই ৪০ সংখ্যাটিকে ইতালির ভাষায় কোয়ারানতা বলা হয়। এই অপেক্ষার সময়টিকে তারা বলতো কোয়ারান-তিনো। সেই থেকে এসেছে কোয়ারেন্টিন।
কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশন কী?
এ বিষয়ে নিজস্ব সংজ্ঞার কথা জানাচ্ছে বাংলাদেশের জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান-আইইডিসিআর। সংস্থাটির একজন সাবেক পরিচালক ডা. মাহমুদুর রহমান ব্যাখ্যা দিচ্ছেন, আপাতভাবে সুস্থ মনে হওয়া মানুষদের জন্য কোয়ারেন্টিন।
তার মতে, যেসব ব্যক্তিকে আপাত দৃষ্টিতে সুস্থ মনে হয়, কিন্তু সে সুস্থ হতে আবার নাও পারে, তার মধ্যে হয়তো জীবাণু আছে কিন্তু তার মধ্যে কোন ধরণের উপসর্গ দেখা দেয়নি- এমন ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়।
অর্থাৎ যারা এখনো অসুস্থ না এবং যাদের মধ্যে উপসর্গ দেখা দেয়নি, তাদেরকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়।
আইসোলেশন হচ্ছে, কারো মধ্যে যখন জীবাণুর উপস্থিতি ধরা পড়বে বা ধরা না পড়লেও তার মধ্যে উপসর্গ থাকবে তখন তাকে আলাদা করে যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে তাকে বলা হয় আইসোলেশন।
সংক্ষেপে বলতে গেলে বলা যায়, আইসোলেশন হচ্ছে অসুস্থ ব্যক্তিদের জন্য আর কোয়ারেন্টিন হচ্ছে সুস্থ বা আপাত সুস্থ ব্যক্তিদের জন্য।
অবশ্য সারা পৃথিবীতেই কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশনকে এভাবে সংজ্ঞায়িত করা হচ্ছে কী না সেটা স্পষ্ট নয়।
সূত্রঃ বিবিসি বাংলা
বাঅ/এমএ
দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে cbna24.com
সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন