ফিরে চল খোকা ;
মা যে তোর পথ চেয়ে বসে আছে ;
সকল অভিমানী মেঘ আলপথ ছুঁয়ে গেছে ;
নীড়ে ফিরে গেছে ভোরের পাখি ;
কেবল তোর সঙ্গে দাঁড়িয়ে দিগন্ত রেখা ;
যে পথে এতো দিন দাউ দাউ করে আগুন জ্বলেছে ,
সে পথে আজ আবেগী শব্দের মিছিল ;
শব্দ গুলো সাদা সাদা পায়রা হয়ে ছুঁয়ে আসে মেঘের আলপনা ;
স্বামীর হাতে মার খাওয়া মেয়েটাও রুখে দাঁড়ায় ;
শিরদাঁড়াটা টান টান …
উঠান জুড়ে শুরু হয় ঝমঝম ঝমঝম বৃষ্টি ;
নাগরিক বাউল মাটির গান বাঁধতে চেষ্টা করে ;
আর লাল মাটিতে একতারায় সুর ওঠে ;
ঠিক তখনই আবার ফিরে আসে
লালন শাহ ;
তুই যে আমার সেই লালন ;
ফিরে চল খোকা ;
এ সময়টা যে তোর জন্য দাঁড়িয়ে আছে ;
সংবিধানের মৌলিক অধিকারের জন্য যারা চিৎকার শুরু করে ছিল ,
যারা ভাঙতে চেয়ে ছিল বিভেদের সূত্র ,
তারাই যেন হঠাৎ করে ভোঁ-কাট্টা চাদিয়াল হয়ে গেল ;
খসে খসে পড়ল সমাজের পলেস্তারা ;
নদী বাঁধ ছুঁয়ে উঠে আসা ভাটিয়ালি সুর
ভিজিয়ে দেয় দেহাতি মানুষ গুলোকে ;
তবুও , ভিনরাজ্যে কাজে যাওয়া মেয়েটি আজও
ফিরলো না ;
ফিরলো না চৈতন্য …
ধ্রুপদী শিল্পকলা ধূসর হতে হতে শিল্পীর অকাল মৃত্যু ঘটে যায় ;
বেঁচে থাকে কান্নার রোল …
মা জ্বেলে রাখে প্রদীপ বুকের ভিতর সন্তানের জন্য ;
ফিরে চল খোকা ;
দেশমাতা যে তোর পথ চেয়ে বসে আছে ।