দেশের সংবাদ

কমলগঞ্জে শীতের তীব্রতায় জনজীবন বিপর্যস্থঃ রোগের প্রকোপ

শীতের তীব্রতায়

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
গত কয়েকদিন থেকে কনকনে হিমেল বাতাস ও শীতের তীব্রতায় কমলগঞ্জ উপজেলার মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন। শীতের কারনে সকল প্রকার কর্মে ব্যাঘাত ঘটছে। প্রয়োজন ছাড়া কেউই ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। পৌষের শুরু থেকেই শীতের প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে। দিনের বেলা সূর্যের তাপে তেমন শীত অনুভূত না হলেও সন্ধ্যা নামার সাথে সাথেই ঠান্ডর তীব্রতা বাড়তে শুরু করে। রাত যতই গভীর হয় ঠান্ডার প্রকোপ ততই বাড়তে থাকে। এ অবস্থা চলে পরের দিন সূর্যোদয় পর্যন্ত। এ অবস্থায় রাতে গরম কাপড়ের অভাবে শীত কষ্টে ভুগছেন ছিন্নমূল মানুষেরা। বিশেষ করে রাতের বেলা দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বৃদ্ধ ও শিশুদের। বিশেষ করে চা জনপদের মানুষ তীব্র শীতের কবলে। ফলে হাড় কাঁপানো শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছেন মানুষজন।
ছিন্নমুল ও খেটে খাওয়া মানুষেরা দূর্ভোগে পড়েছেন। যতই দিন যাচ্ছে তাপমাত্রার পারদ ততই নিচের দিকে নামছে। যেন হামলে পড়েছে শীত। ভোরের ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডায় কাবু হয়ে পড়েছেন ছিন্নমুল মানুষগুলো। তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে উপজেলার মানুষ। বিশেষ করে চা বাগান গুলোতে এবং গ্রামগুলোতে শীতের কাঁপুনি বেশি। গত ১৪ ডিসেম্বর শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিসে সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সবমিলিয়ে এখানকার নিম্ন আয়ের নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর সদস্য, চা শ্রমিক শীতে কাবু হয়ে গেছেন। শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় জনদুর্ভোগ বাড়তে শুরু করেছে। টাকা-পয়সার অভাবে শীতবস্ত্র কিনতে পারছেন না নিন্ম আয়ের ও বাগানের অসহায় শ্রমিকরা। শীতবস্ত্রের অভাবে প্রাত্যহিক ভোরে শীতের তীব্রতার জন্য কাজে যেতে কষ্ট পোহাতে হচ্ছে তাদের। চা বাগান এলাকার চা শ্রমিকেরা সকালের দিকে গাছের পাতা, লাকড়ি কুড়িয়ে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। এদিকে ঋতু পরিবর্তনের এসময়টাতে রোগব্যাধির প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। রোগব্যাধিতে বেশী আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধবয়সী পর্যন্ত সবাই। সর্দি-কাশিসহ ঠান্ডজনিত রোগ দেখা যাচ্ছে।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, ১৩ ডিসেম্বর সর্বনিন্ম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৪ ডিসেম্বর ১১ দশমিক ০ ডিগ্রি, ১৫ ডিসেম্বর ১১দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ১৯ ডিসেম্বর ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।  মেীলভীবাজার জেলার উপর দিয়ে গত কয়েক দিন থেকে বইছে মাঝারি ধরনের শৈত প্রবাহ। আগামী সপ্তাহে তাপমাত্রা আরও কমে গিয়ে শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অধিদপ্তরের অভজারবেশন অফিসার। সকাল ও রাতের বেলা খড়কুটা জ্বালিয়ে অনেকে শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন। ঘন কুয়াশার দিনের বেলায়ও যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। টানা কয়েকদিনের শীতের তীব্রতায় মধ্য ও নিন্মবৃত্তের মানুষ গরম কাপড়ের দোকানে ভীর করছেন। হাসপাতাল গুলোতে চিকিৎসা নিতে শিশু ও বয়স্কদের সংখ্যা বাড়ছে। যারা চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের মধ্যে সর্দি-কাশি, জ্বর ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগীর সংখ্যাই বেশী।looking-for-a-job

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × 4 =

দেশের সংবাদ

কমলগঞ্জে শীতের তীব্রতায় জনজীবন বিপর্যস্থঃ রোগের প্রকোপ

শীতের তীব্রতায়

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
গত কয়েকদিন থেকে কনকনে হিমেল বাতাস ও শীতের তীব্রতায় কমলগঞ্জ উপজেলার মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন। শীতের কারনে সকল প্রকার কর্মে ব্যাঘাত ঘটছে। প্রয়োজন ছাড়া কেউই ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। পৌষের শুরু থেকেই শীতের প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে। দিনের বেলা সূর্যের তাপে তেমন শীত অনুভূত না হলেও সন্ধ্যা নামার সাথে সাথেই ঠান্ডর তীব্রতা বাড়তে শুরু করে। রাত যতই গভীর হয় ঠান্ডার প্রকোপ ততই বাড়তে থাকে। এ অবস্থা চলে পরের দিন সূর্যোদয় পর্যন্ত। এ অবস্থায় রাতে গরম কাপড়ের অভাবে শীত কষ্টে ভুগছেন ছিন্নমূল মানুষেরা। বিশেষ করে রাতের বেলা দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বৃদ্ধ ও শিশুদের। বিশেষ করে চা জনপদের মানুষ তীব্র শীতের কবলে। ফলে হাড় কাঁপানো শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছেন মানুষজন।
ছিন্নমুল ও খেটে খাওয়া মানুষেরা দূর্ভোগে পড়েছেন। যতই দিন যাচ্ছে তাপমাত্রার পারদ ততই নিচের দিকে নামছে। যেন হামলে পড়েছে শীত। ভোরের ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডায় কাবু হয়ে পড়েছেন ছিন্নমুল মানুষগুলো। তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে উপজেলার মানুষ। বিশেষ করে চা বাগান গুলোতে এবং গ্রামগুলোতে শীতের কাঁপুনি বেশি। গত ১৪ ডিসেম্বর শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিসে সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সবমিলিয়ে এখানকার নিম্ন আয়ের নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর সদস্য, চা শ্রমিক শীতে কাবু হয়ে গেছেন। শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় জনদুর্ভোগ বাড়তে শুরু করেছে। টাকা-পয়সার অভাবে শীতবস্ত্র কিনতে পারছেন না নিন্ম আয়ের ও বাগানের অসহায় শ্রমিকরা। শীতবস্ত্রের অভাবে প্রাত্যহিক ভোরে শীতের তীব্রতার জন্য কাজে যেতে কষ্ট পোহাতে হচ্ছে তাদের। চা বাগান এলাকার চা শ্রমিকেরা সকালের দিকে গাছের পাতা, লাকড়ি কুড়িয়ে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। এদিকে ঋতু পরিবর্তনের এসময়টাতে রোগব্যাধির প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। রোগব্যাধিতে বেশী আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধবয়সী পর্যন্ত সবাই। সর্দি-কাশিসহ ঠান্ডজনিত রোগ দেখা যাচ্ছে।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, ১৩ ডিসেম্বর সর্বনিন্ম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৪ ডিসেম্বর ১১ দশমিক ০ ডিগ্রি, ১৫ ডিসেম্বর ১১দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ১৯ ডিসেম্বর ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।  মেীলভীবাজার জেলার উপর দিয়ে গত কয়েক দিন থেকে বইছে মাঝারি ধরনের শৈত প্রবাহ। আগামী সপ্তাহে তাপমাত্রা আরও কমে গিয়ে শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অধিদপ্তরের অভজারবেশন অফিসার। সকাল ও রাতের বেলা খড়কুটা জ্বালিয়ে অনেকে শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন। ঘন কুয়াশার দিনের বেলায়ও যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। টানা কয়েকদিনের শীতের তীব্রতায় মধ্য ও নিন্মবৃত্তের মানুষ গরম কাপড়ের দোকানে ভীর করছেন। হাসপাতাল গুলোতে চিকিৎসা নিতে শিশু ও বয়স্কদের সংখ্যা বাড়ছে। যারা চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের মধ্যে সর্দি-কাশি, জ্বর ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগীর সংখ্যাই বেশী।looking-for-a-job

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 − 1 =