প্রবাসের সংবাদ ফিচার্ড

সরস্বতী পূজার দিনটিকে ‘সুস্থ শিক্ষা ও সংস্কৃতির দিন’ হিসাবে ঘোষণা করলেন ড. মৃধা

সরস্বতী পূজার দিনটিকে ‘সুস্থ শিক্ষা ও সংস্কৃতির দিন’ হিসাবে ঘোষণা করলেন ড. মৃধা

ওয়ারেন, (মিশিগান) ০৬ ফেব্রুয়ারি : বিশিষ্ট চিকিৎসক এবং স্বনামধন্য দার্শনিক ড. দেবাশীষ মৃধা বলেছেন, বিদ্যাদেবী সরস্বতী হলেন, শুদ্ধ জ্ঞান, মুক্ত চিন্তা এবং বিশুদ্ধ সংস্কৃতির প্রতীক। সেই সাথে তিনি মানবিকতা, মনুষ্যত্ব, সত্য ও সুন্দরের প্রতীকও।

বাগদেবী প্রবাহিত নদীর প্রতীক, তাই আমাদের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও প্রবাহিত নদীর মত- সে কখনো থেমে থাকে না,  থেমে থাকতে পারেনা। তাকে বিরামহীন ভাবে ভবিষ্যৎ সুন্দরের দিকে এগিয়ে যেতে হয় । তিনি গতকাল শনিবার দুপুরে নগরীর শিব মন্দির- টেম্পল অব জয়ে সরস্বতী পূজা উপলক্ষে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির  বক্তব্য রাখছিলেন।মন্দিরের হলরুমে অয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মন্দিরের কো-অর্ডিনেটর রতন হাওলাদার, প্রিস্ট পূর্নেন্দু চক্রবর্তী অপু, রাখি রঞ্জন রায়, অজিত দাশ, মানবেন্দ্র দে, মৌসুমী কুন্ডু প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. মৃধা আরও বলেন, বিদ্যাদেবীর বাহন হলো রাজহাঁস। কারণ হাঁস বিষের মাঝেও অমৃতকে খুঁজে পায়। দেবীর সঙ্গে বাহন রূপে পূজিত হয়ে রাজহংস এই বার্তাই দেয় যে, যা অকল্যাণকর, খারাপ তা ত্যাগ করে ভালটুকু গ্রহণ কতে হবে। রাজহাঁসের থেকে শিক্ষার্থীরা এই শিক্ষাই পায় যে- সমাজে ভাল মন্দ থাকবে। এর মধ্যে ভালটুকুই বেছে নিতে হবে।
তিনি বলেন,  শ্রীপঞ্চমী একটি প্রতিজ্ঞার দিন, এই দিনে আমরা প্রতিজ্ঞা করি যে আমরা সুস্থ, সুন্দর শিক্ষায় শিক্ষিত হব, সুস্থ সংস্কৃতিকে ছড়িয়ে দেব। তাই আমি আজকের এই  দিনটিকে ‘সুস্থ শিক্ষা ও সংস্কৃতির দিন’  হিসাবে ঘোষণা করছি।  তিনি বলেন, আজকের দিনটিকে ‘আন্তর্জাতিক সুস্থ শিক্ষা ও সংস্কৃতি দিবস’ হিসেবে জাতিসংঘের স্বীকৃতি আদায়ে উদ্যোগ নেয়া হবে।
এদিকে সকালে শ্রীপঞ্চমী তিথিতে পূজা-অর্চনার মধ্য দিয়ে দিনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। সরস্বতী পূজা উপলক্ষে শিব মন্দিরে সকাল থেকেই বিদ্যার্থীসহ অসংখ্য ভক্তের আগমন ঘটে। পূজা শেষে তারা দেবীর পায়ে অঞ্জলি নিবেদন করেন। পুষ্পাঞ্জলি দেওয়ার পাশাপাশি নতুনদের দেওয়া হয় হাতেখড়ি। পূজা অর্চনার পাশাপাশি আনন্দে মেতে ওঠেন ভক্তরা। সারাদিন ধরে চলছে প্রসাদ বিতরণ। মন্দিরের পাশাপাশি বিভিন্ন বাসাবাড়িতেও আড়ম্বরপূর্ণ পরিবেশে সরস্বতী পূজার অনুষ্ঠানিকতা পালন করেছেন ভক্তরা।
চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় তিনটি গ্রুপে ৩০ জনেরও প্রতিযোগী অংশ নেন। প্রতিযোগিতায় এ গ্রুপে বিজয়ীরা হলেন ১ম প্রমিতা বিশ্বাস, ২য় স্বর্নিকা চৌধুরী, ৩য় অরুশ চৌধুরী। বি গ্রুপে ১ম শ্রুতি হাওলাদার, শ্রেয়সি পাল, ৩য় মৃতিকা সরকার, সি গ্রুপে ১ম অদিতি মৌমি, ২য় সুপ্তি শীল, ৩য় কৃষ্টি পাল। চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন অমিতা মৃধা, স্নেহা হাওলাদার, স্নেহা দে ও সামন্তা চৌধুরী। সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন অলক চৌধুরী ও সুপর্না চৌধুরী।
দুপুরে পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে মেডেল, সার্টিফিকেট এবং টোকেন মানি তুলে দেন। এছাড়াও প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণকারি সকলকে মেডেল ও সর্টিফিকেট দেয়া হয়েছে।
বিকেলে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন অমিতা মৃধা, শ্রুতি হাওলাদার, শ্রদ্ধা হাওলাদার, শ্রেয়সি পাল, কাবেরি দে, সুস্মিতা চৌধুরী, অতশি চৌধুরী, অদ্রিতা দাশ অতশি, হিমাদ্রি দাশ, রূপকথা দেব,  প্রজতা বিশ্বাস। তবলায় ছিলেন সৌরিক দাশ। নৃত্য পরিবেশন করেন নিবদিতা রায় রিয়া, কৃস্টি পাল, স্বর্নিকা চৌধুরী, মৃতিকা সরকার, মহিকা সরকার, নেহালি দে, স্তুতি, উৎসা, বেদা, শনভি। যন্ত্র সঙ্গীত পরিবেশন করে সামান্তা চৌধুরী ও  অরুশ চৌধুরী। সবশেষে নাচে গানে মাতালেন অতিথি শিল্পী মৌরাজ অঙ্কন। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মন্দিরের কো-অর্ডিনেটর রতন হাওলাদার। সার্বিক সহযোগিতা করেন সুপর্না চৌধুরী ও মৌসুমী দত্ত।

 


সর্বশেষ সংবাদ

দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com

সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

আমাদের ফেসবুক পেজ   https://www.facebook.com/deshdiganta.cbna24 লাইক দিন এবং অভিমত জানান

সংবাদটি শেয়ার করুন