সিদ্ধি সাধন সহস্রার্ধেক ||| বিশ্বজিৎ মানিক
————————
কবিতা আমার – হৃদয় স্পন্দন – কবিতা জীবনানন্দ
কবিতা লিখে – প্রফুল্ল হই – আরোপিত হলে ছন্দ
কবিতার আগে – গল্প লেখার – কদাচিত ছিল ঝোঁক
কবিতা লিখে – হয়ে গেছি কিছু – বিশেষণে ডাকে লোক।
ক্রমিক গণনায় – সহস্রার্ধেক – লেখা হলো পরিশেষ
সূচনা লগ্নে – গুণিজন মুখে – বাক্য শুনেছি শ্লেষ
বলেছেন কেহ – ‘কচু’ হলো এটা – ছাতা পাতা নিয়ে লেখা
বাঁধা কপি বলে – উপহাস করে – বলেছেন কেহ বোকা।
বাহবা পেয়েছি – অনেকের কাছে – মন্তব্যে হয়েছি প্রীত
অনেকেই আবার – কুঁচকিয়ে ভুরু – নাসিকা করেন স্ফীত
কেহ বলেছেন – কবি নয় সে – নিছক ছড়াকার
কবিতা পড়েছেন – অবলীলাক্রমে – অভিমত নেই তাঁর।
পাঁচশত কবিতা – হয়ে গেছে লেখা – এতেই হৃষ্ট খোকা
একশত বাষট্টি – সিবিএনএ বাংলা – প্রচারে করেছে ছাপা
সুহৃদ সজ্জন – আছে যতো জন – ছাপা করো বলে বই
আসেনি সময় – বাকি ক’টা দিন – অবসর প্রাপ্ত হই।
বাক্য গঠনের – শব্দ চয়নে – অভিধান করে পাঠ
উত্তম চিন্তনে – লেখেছি পদ্য – পরিহারে ঝঞ্ঝাট
তা-ও যদি লেখা – পড়ে কারো মন – হয়ে যায় বিক্ষত
নির্ধিধায় অপরাধ – করবো স্বীকার – শির করে অবনত।
২৭.০৬.২০২২ খ্রিস্টাব্দ।