হতভাগা নিখিল!
-বিশ্বজিৎ মানিক
গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ার – কৃষক ছিলো নিখিল
তার বাড়িটি এই ঠিকানার – গ্রামের নাম রামশীল।
ব্রিজের পাশে বসে বসে – খেলছিল সে তাস
এস আই শামীম এসেই – তার করলো সর্বনাশ।
খেলার সাথী ছিলো যারা – পালিয়ে গেলো সবাই
পুলিশেরা ধরলো শুধু – নিখিলটাকে একাই।
নামের সাথে তার পদবী – ছিলো তালুকদার
লাথি ঘুষি মেরে পুলিশ – ভেঙ্গে দিলো হাড়।
চিকিৎসার্থে ভর্তি হলো – শেরেবাংলা হাসপাতাল
খারাপ তার হতেই থাকে – শরীরটারই হাল।
উন্নত চিকিৎসার জন্য – রেফার করে ঢাকায়
মরণ তার হয়েই গেলো – ঢাকা যাবার রাস্তায়।
আইনে যদি লেখাই থাকে – তাস খেলার বিচার
তবে কেন লঙ্ঘিত হলো – আইনের অধিকার?
গ্রামের মানুষ করছে সবাই – প্রতিবাদ আন্দোলন
রামশীল বাজারে করে – মিছিল মানববন্ধন।
করছে তারা একযোগে – সকলেই বিক্ষোভ
হত্যাকারীর বিচার চেয়ে – প্রকাশ করে ক্ষোভ।
চাচ্ছে সবাই শামীমের – দৃষ্টান্ত মূলক বিচার
গণতান্ত্রিক প্রতিবাদের – এটা স্বীকৃত এক আচার।
পুলিশ ধরে থানায় নেবে – এটাই আইনের রীতি
তবে কেন নিখিলের আজ – জীবনের হলো ইতি?
আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজ – হলো পুলিশের
হাড় ভেঙ্গে হত্যা করা – পরিপন্থী আইনের।
দ্বায়িত্ববান আছে যারা – করবে না এই কাজ
এস আই শামীম পুলিশ নাকি – সত্যি জুলুমবাজ?
কতৃপক্ষের কাছে আজ – জনগণের আশা
শাস্তি যেন অবশ্যই পায় – শামীম কর্মনাশা।
আইনের দ্বারা শৃঙ্খলিত – দেশের জনগণ
প্রচলিত আছেই দেশে – আইনের শাসন।
এলাকার জনগণ সবাই – ঐক্যবদ্ধ হয়ে
বিচারের দাবীতে যায় – স্মারকলিপি লয়ে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর – করতে দৃষ্টি আকর্ষণ
রাজপথে শুরু করে – নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন।
গোপালগঞ্জ জেলাতে দেশের – প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি
আশা সবার, হবে বিচার – খুবই তাড়াতাড়ি।
১৩/০৬/২০২০ খ্রিস্টাব্দ।
সি/এসএস
সর্বশেষ সংবাদ
দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে cbna24.com
সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন