১৪৯ দেশ ঘুরে বাংলাদেশি নাহারের রেকর্ড
ঘুরে বেড়ানোই নাজমুনের নেশা। বিশ্বের সব দেশে বাংলাদেশের পতাকা উড়াতে চান তিনি। সেভাবেই এগিয়ে চলছে তার পথচলা। রেকর্ড গড়েছেন। এ মুহূর্তে অবস্থান করছেন আফ্রিকান দেশ অ্যাঙ্গোলাতে। অ্যাঙ্গোলা ভ্রমণের মধ্যে দিয়ে ১৪৯ দেশ ভ্রমণের রেকর্ড হলো তার। নাজমুন এখন বিশ্বে সর্বাধিক দেশ ভ্রমণকারী বাংলাদেশি।
আর মাত্র একটি দেশ ভ্রমণ করা দরকার নাজমুন নাহারের। তাহলে ১৫০টি দেশে লাল-সবুজের পতাকা উড়ানোর রেকর্ড সম্পন্ন হবে।
নাজমুন বলেন, স্বপ্ন দেখতাম এক সময়। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছি। সব কিছু এত সহজ ছিল না। অনেক কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করে আজকের অবস্থানে। যাত্রাটা ছিল অনেক কঠিন। কিন্তু পেরেছি শেষ পর্যন্ত।
নাজমুন আরও জানান, ১৩ সেপ্টেম্বর অ্যাঙ্গোলার মাটিতে পৌঁছেছেন। ওনদিবা, হুমবে, বালানগানগা, মনগুয়া, চাহামা, লুবানগো, বেনগুয়েলা, লবিতো, পোর্তো এমবোইম, কালামবা, বারা ডো কুয়ানজা হয়ে সড়ক-মহাসড়ক বন জঙ্গল সমুদ্র পার হয়ে পৌঁছেন রাজধানী লুয়ান্ডার শহরে। এই অভিজ্ঞতা নতুন নয়। এভাবে বিশ্বের অনেক দেশ তাকে ভ্রমণ করতে হয়েছে।
২৪শে সেপ্টেম্বর অ্যাঙ্গোলান সরকারের ডেপুটি মিনিস্টার এলসা বারবের নাজমুন নাহারকে অভিনন্দন জানান। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে তিনি নাজমুন নাহারকে শান্তির ব্যাজ পরিয়ে দেন।
মন্ত্রী তার বিশেষ বার্তায় একজন নারী হিসেবে সারা বিশ্বে নাজমুন নাহারের এই অবদানকে আগামী প্রজন্মের উৎসাহের ধারক বলে উল্লেখ করেন।
২৩শে সেপ্টেম্বর অ্যাঙ্গোলার সবচেয়ে জনপ্রিয় জাতীয় পত্রিকা ‘জার্নাল দ্য অ্যাঙ্গোলা’য় নাজমুনের জীবন ও বিশ্ব ভ্রমণের ওপর এক বিশেষ সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়।
২৫শে সেপ্টেম্বর ন্যাশনাল রেডিও দ্য অ্যাঙ্গোলায় নাজমুন নাহারের বিশ্ব ভ্রমণের ওপর এক প্রতিবেদন সম্প্রচার হয়। ২৬শে সেপ্টেম্বর অ্যাঙ্গোলা প্রবাসী বাংলাদেশিরা নাজমুন নাহারকে সংবর্ধনা দেন।
নাজমুন নাহার জানান, গত ৬ই আগস্ট এবারের অভিযাত্রা শুরু করেছেন। তিনি বুরুন্ডি, ডি আর কঙ্গো, সাউথ সুদান, নামিবিয়া, অ্যাঙ্গোলা সফর করেন। এখান থেকেই তিনি ১৫০ দেশ ভ্রমণের মাইলফলক করবেন।
এরপর কী করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে নাজমুন নাহার জানান, সবুজের বুকে লাল সে তো উড়বেই চিরকাল। পৃথিবীতে এই লাল সবুজের পতাকা উড়িয়ে দিতে চাই। বিশ্বের সবগুলো দেশে উড়াতে চাই বাংলাদেশের পতাকা।
তিনি বলেন, অনেক দেশে ঘুরেছি, অনেক দেশের মানুষ বাংলাদেশের নাম শোনেনি। আমার কাছেই প্রথম বাংলাদেশ সম্পর্কে জেনেছে। আমি ম্যাপ ধরে তাদের বুঝিয়েছি বাংলাদেশ। আমাদের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য সম্পর্কে ধারণা দিয়েছি। সবাই মন দিয়ে শুনেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মিডিয়ার সামনে বাংলাদেশ সম্পর্কে বলেছি। ভালো লেগেছে, যখন দেখেছি আমার কথা সবাই শুনছে। আমার কথা মিডিয়াতে তুলে ধরছে। মনে হয়েছে নিজের দেশের জন্য কিছু করতে পেরেছি। এভাবে কাজের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চাই।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের লক্ষ্মীপুর জেলার মেয়ে নাজমুন পড়াশোনা শেষ করে কিছুদিন মিডিয়ায় কাজ করেন। তারপর চলে যান ইউরোপ। সেখান থেকেই হুট করে বেরিয়ে পড়েন বিশ্ব সফরে। সূত্র-ভিওএ
দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com
সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
আমাদের ফেসবুক পেজ https://www.facebook.com/deshdiganta.cbna24 লাইক দিন এবং অভিমত জানান