১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস বা হ্যাপি ভ্যালেন্টাইন’স ডে স্মরণে
বিশ্ব ভালোবাসা দিবস বা ভ্যালেন্টাইন’স ডে একটি অতি আনন্দময় পার্বনযুক্ত দিবস- যা সত্যিকার অর্থে হৃদয়ের ভালোবাসাকেই গৌরবান্বিত করে। বিশেষ করে এ প্রজন্মের তরুণ সমাজের কাছে এই উৎসবের ঘনঘটা বেশী।
পাশ্চাত্য সংস্কৃতি ও বাংলাদেশের নিজস্ব সংস্কৃতির মিশ্রণে ভিন্নভাবে “বিশ্ব ভালোবাসা দিবস” বা “Happy Valentine’s Day” নামে এ দিবসটি পালিত হয় প্রতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি। এই দিনটিতে কোন সরকারি ছুটি নেই কোথাও,তবু এ দিবসটির জন্য সবাই অধীর আগ্রহ প্রতিক্ষায় থাকে প্রিয়জনকে কাছে পেতে এবং মনের আবেগঘন অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে। ভ্যালেন্টাইন-ডে, অনেকটাই তারুণ্যের বসন্ত উৎসবের মতো। হৃদয়ের বা মনের মানুষটিকে না বলা কথাটি, এই ভালবাসা দিবসে বলে দেওয়া, মনে করিয়ে দেওয়া হয়।
প্রতি বৎসরই ১৪ ফেব্রুয়ারির এ দিনটিকে নানা রঙঢঙ এ সাজানো হয়। কেউ বলে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস,কেউ বলে ডে অব রোমান্স,বা হ্যাপি ভ্যালেন্টাইন’স ডে-যেদিন প্রেমিকযুগলের মধ্যে অঙ্গীকার হবে,প্রতিজ্ঞা থাকবে এবং একএে এগিয়ে চলার পথ মসৃন হবে । প্রতিটি রেষ্টুরেন্ট, কফি হাউস ভরে থাকবে মুখোমুখি দুজন দুজনায় এবং উপহারের দেয়ানেয়ায় পরস্পরের মাঝে মধুর স্বপ্ন ও সম্পর্কজেগে উঠবে । যান্ত্রিক সভ্যতার যুগে ব্যস্ততম জীবন হলেও এই বিশেষ দিনটিতে সবাই প্রাণবন্ত থাকে এবং মনের ডাকে সাড়া দেয়। এই বিশেষদিনটি কোন এক কালে পশ্চিমা দেশগুলোতেই পালন করা হতো। তবে বর্তমানে এই দিনটি বিশ্বের সব দেশেই ভালবাসার বর্ণিল রুপে পালিত হয় বিশ্ব ভালোবাসা দিবস হিসাবে। একদা ভ্যালেন্টাইন নামের এক ধর্মজাযকের স্মরণে খৃস্টান ধর্মাবলম্বীগন ওয়েস্টার্ন খৃষ্টীয় ফিস্ট ডে পালন করতো। আবার ২৬৯ খ্রী: রোমান সম্রাট দ্বিতীয় ক্লডিয়াসের শাসনকালে ভ্যালেন্টাইন নামের একজন চার্চের বিশপ, খ্রীষ্টধর্ম প্রচারসহ যুদ্ধরত সৈনিকদের বিবাহ করাতে সহায়তা করেছিল বলে তার মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়,কারণ রোমান সম্রাজ্যে সৈনিকদের বিয়ে নিষিদ্ধ ছিল। সম্রাট মনে করতো বিবাহিত সৈন্য দ্বারা যুদ্ধবিগ্রহ হবে না। ভ্যালেন্টাইন তার জেলবাসের সময়ই জেলারকণ্যা অন্ধ জুলিয়ার প্রেমে পড়েছিল। বন্দী অবস্থায় তিনি জনৈক কারারক্ষীর দৃষ্টিহীন মেয়েকে চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করে তোলেন। মর্মান্তিক ভাবে ভ্যালেন্টাইনের মৃত্যুদন্ডের দিন সে প্রেমিকাকে ভালবাসার প্রেমময় অম্লান বানীগুলি লিখে যায়। তোমার ভ্যালেন্টাইন বলে ইতি টানেন। তাই আজো বিশ্বজগৎ এ ভালবাসার শক্তির পাল্লাই ভারী বলে প্রতি বছরই ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস বা ভ্যালেন্টাইন’স ডে বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই পালিত হয়।মানুষ ভালবাসার দ্বারা মানুষের হৃদয়,মন জয় করবে,সংঘাত-সংহারকে মুছে দেবে, হিংসা-দ্বেষকে ভুলিয়ে দেবে, সাম্প্রদায়িক বিষ-বাস্পকে মিঠাবে ,আর প্রেয়সীর মন হরণ করবে, তেমনিভাবে বিশ্বজগতে এ ভ্যালেন্টাইন দিবসটি নিঃশ্বার্থ প্রেমের স্বাক্ষর হয়ে থাকবে। এ বছর পহেলা ফাল্গুন পড়েছে ১৪ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ ভালোবাসা দিবসে। দখিনা সমীরণে ফাল্গুনী হাওয়া উদাস করে প্রেমিকের কোমল হৃদয়ে ভালোবাসার ঢেউ তুলবে ঋতুরাজ। একই সঙ্গে আজ বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে ফাল্গুনী হাওয়ায় ভালোবাসার উত্তাপে প্রেমিক-প্রেমিকা যেন একাকার সারা দেশে। তাই ফাল্গুনে ঋৃতুরাজ বসন্তের প্রথম দিনটি ও ভালোবাসার বিশেষ দিনটা এবার একটু বেশিই রঙিন। ফাল্গুনের রঙে, ভালোবাসার আবিরে সবার চেয়ে আলাদা করে সেজে ওঠার সময় তো এখনই। তবে বৈশ্বিক মহামারী করোনার প্রভাব এখনো শেষ না হওয়ায় বাইরে বের হলে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা উচিত হবে। বিশ্ব ভালোবাসা দিবস বা হ্যাপি ভ্যালেন্টাইন’স ডে এর অনিন্দসুন্দর ও আনন্দঘন দিনে আপনাদের সবাইকে প্রীতি, শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছ
লেখক, কলামিষ্ট ও CBNAএর উপদেষ্টা, মন্ট্রিয়ল,ক্যানাডা
এস এস/সিএ
দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com
সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
আমাদের ফেসবুক পেজ https://www.facebook.com/deshdiganta.cbna24 লাইক দিন এবং অভিমত জানান