বজ্রকন্ঠের হুংকার |||| বিশ্বজিৎ মানিক
হে তরুণ, তুমি কি শুনেছ কখনো – বজ্র কণ্ঠের হুংকার
কখনো কি তোমায়, আলোড়িত করেছে – প্রণোদনা দাড়াবার
তর্জনী তুলে যে হুংকার ছিল – সিংহনাদের মতো
আইয়ুব, আগা ইয়াহিয়ার দেহ মন ভরে – সৃষ্টি হয়েছিল ক্ষত?
কেঁপে উঠেছিল ঘাতকের কৃপাণ – শাসকের সিংহাসন
ঝড় এসেছিল, মহা বেগে ধেয়ে – পারাবার উত্তাল বিষণ
যে হুংকার শুনে, কিশোর যুবা মিলে – রক্তে তুলেছিল ঢেউ
তিনিই আমাদের স্বপ্নের সারথি – বিনে নহে আর কেউ।
দেখেছি অপলক কতো না পিশাচ – রক্ত খাদক প্রভু
হয়নি কখনো নত শীর জানু – আমাদের বজ্র কভু
অবিচার অনাচার করেছিল যতো – তেইশটি বছর ধরে
বজ্র কণ্ঠের তর্জনী হেলানে – ভূপাতিত হয়েছিল ঝড়ে।
দিয়েছিল ডাক তুলে নাও হাতিয়ার – যার আছে যতো কিছু
দূর্গ গড়ে তুলো, ঘরে ঘরে সবে – হবেনা মাথা কারো নীচু
রক্তের হোলি খেলা শিখে গেছি আমরা – কুণ্ঠিত হবো না পথে
কৌশল করে বুদ্ধির বলে – যেতে হবে বহুদূর মেতে।
অবশেষে দেখি মিলে একাকার – কৃষক মজুর কুলি
ছাত্র জনতা পুলিশ ইপিআর – ধরেছিল একই বুলি
স্বাধীনতা ছাড়া আর নয় কিছু – ফিরব না খালি হাতে
দিয়েছিল সায় প্রতিবেশী দেশ – যোগান বেড়েছিল তাতে।
০৮/০৩/২০২১ খ্রিস্টাব্দ।
এস এস/সিএ