‘খড়কুটো’ ধারাবাহিকের বাবিনের উপর ক্ষুব্ধ নেটাগরিকরা, কী বলল পটকা
অফিস-কাছারি শিকেয় তুলে মহা আনন্দে ছুটি কাটাচ্ছিল পটকা। উপলক্ষ আদরের বাবিনের বিয়ে। তবে দলবল নিয়ে হানিমুনে শান্তিনিকেতন যেতেই বাধল গোল।
গুনগুনের শরীর খারাপের অছিলায় বাবিনকে বোলপুরে টেনে এনেছিল পটকা এবং তার দলবল। রেগে গিয়ে ছোট বড় জ্ঞান হারিয়ে দলের পাণ্ডা পটকাকে যা নয় তাই শুনিয়ে দিল বাবিন। অন্য সময় তার বকাবকি গায়ে মাখে না পটকা। কিন্তু মিথ্যে বলে ভাইপোকে জরুরি কাজ থেকে টেনে আনার ভুল বুঝতে পেরেই গায়েব পটকার মুখের চেনা হাসি। অভিমান করে শুধু একটা চিঠি লিখেই উধাও সে।
এই বদলে যাওয়া পটকাকে কোনও ভাবেই মেনে নিতে পারছেন না ‘খড়কুটো’প্রেমীরা। বাবিনের বকাবকিতে মনমরা মানুষটাকে দেখে রাগ-অভিমান-দুঃখ উপচে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কেউ লিখছেন, ‘পটকা খড়কুটোর অক্সিজেন। আর অক্সিজেন ছাড়া আমরা বাঁচব না।’ আবার কেউ লিখলেন, ‘পটকা এবং বাবিন দু’জনেই ভুল করেছে। নিজেদের দোষগুলি তাঁদের বুঝে নেওয়া উচিত।’ একজন তো রেগে গিয়ে একটি গ্রুপে লিখে বসলেন, “বাবিনের উচিত পটকার পায়ে ধরে ক্ষমা চাওয়া!’ তবে নেটাগরিকদের একাংশ মনে করছে, পটকার এই হঠাৎ চলে যাওয়া আরও কাছাকাছি নিয়ে আসবে সৌজন্য এবং গুনগুনকে। সব মত পার্থক্যের ঊর্ধ্বে মুখোপাধ্যায় পরিবারের ‘এভারগ্রীন’কে ফিরে পেতে চাইছেন দর্শকরা।
বাবিনের উপর ক্ষুব্ধ নেটাগরিকরা।
এত ভালবাসা পেয়ে আপ্লুত খোদ পটকা অর্থাৎ অম্বরীশ ভট্টাচার্য । তাঁর কথায়, “সব কৃতিত্ব লীনাদির (গঙ্গোপাধ্যায়)। একটা চরিত্রকে মানুষ সব সময় এক রকম ভাবে দেখে এলে, তার মধ্যে কোনও রকম পরিবর্তন আনার সাহস পাননা লেখকরা। তবে লীনাদি কিন্তু সেটাই করে দেখিয়েছেন।”
‘রাজা-গজা’র প্রায় ১৫ বছর পর ‘খড়কুটো’ ফের অম্বরীশকে পৌছে দিয়েছে বাংলার প্রত্যেক ড্রয়িং রুমে।৮ থেকে ৮০ , এখন সকলের ভালবাসার ‘পটকা’ তিনি। সে দুঃখ পেলে মন খারাপ হবে বৈকি! তবে অম্বরীশ আশ্বস্ত করলেন, ধারাবাহিক ছেড়ে আপাতত কোত্থাও যাচ্ছেন না তিনি। রিল লাইফের দুষ্টুমির সুর ভেসে এল রিয়েল লাইফেও, “আমি এ টুকু বলতে পারি পটকা আবারও হাসবে। কিন্তু বাবিনকে তার মান ভাঙাতে হবে। সেটা সে কী ভাবে করে এখন সেটাই দেখার।”
তবে মানভঞ্জনের পালাও অত সহজ হবে না। সংসারের জন্য মনপ্রান দেওয়া মানুষটা এ বার বদলি নিয়ে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে। তা হলেই ভাবুন কতটা কষ্ট পেয়েছে সে!
হাসিখুশি পটকাকে ফিরে পেতে চায় দর্শক।
উত্তরে শুধু একগাল হাসি । অম্বরীশ মনে করেন, ধারাবাহিকটির প্রত্যেকটি চরিত্র এক-একটি স্তম্ভের মতো। একজন সরে গেলেই, ওলটপালট হয়ে যাবে সবটা। “খড়কুটো ছেড়ে, মানুষের ভালবাসা ছেড়ে পটকা আর কোথায় যাবে!”, দর্শকের আবেগের কাছে অম্বরীশের আত্মসমর্পণ।
সুতরাং, এ বার কিছুটা হাফ ছেড়ে বাঁচতে পারেন ‘খড়কুটো’ প্রেমীরা। কারণ স্বয়ং পটকা জানিয়ে দিলেন তিনি থাকছেন। মুখোপাধ্যায় পরিবারের আকাশে মন খারাপের মেঘ সরিয়ে ফের উঠবে হাসির রোল। পটকা এন্ড গ্যাংয়ের খুনসুটিতে ফের নাস্তানাবুদ হবে ‘ক্রেজি’ বাবিন।
-আনন্দবাজার থেকে
এস এস/সিএ
দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com
সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন