বিশ্ব মা দিবসে সকল মায়েদের প্রীতি, শুভেচ্ছা, শ্রদ্ধা ও অভিনন্দন
প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার বিশ্বব্যাপী শ্রদ্ধা ও ভালবাসার সাথে পালিত হয় বিশ্ব মা দিবস। এ বছর ১৪মে রোববার বিশ্ব মা দিবস পালিত হচ্ছে। মা, মাম্মী, আম্মা আমরা যে নামেই আমাদের মাকে ডাকিনা কেন- মা নাম্নী হুদয়স্পর্শী শব্দটির সাথে আমরা হুদয় ও নাড়ির ষ্পন্দন বা টান সব সময় অনুভব করি।
মা শব্দটি পৃথিবীর একটি অতি প্রিয় শব্দ। মাতৃ স্নেহ অপার ও অতুলনীয়। দশ মাস দশ দিন গর্ভে ধারণ করা সন্তানের জন্য কত যে ত্যাগ স্বীকার করতে হয় একজন মাকে ! প্রত্যেক মা-ই তার সন্তানকে প্রাণ দিয়ে ভালবাসে। সন্তানকে মানুষ করতে একজন মা যেন তার জীবনের পুরোটাই দিয়ে যান ভালোবাসা ও আত্মত্যাগের গৌরবউজ্জল আদর্শ ও মহিমায়। শত দুঃখ, যন্ত্রণা ও বেদনা সহ্য করেও সন্তানের সামনে মলিন হয় না মা জননীর স্নেহমাখা মুখখানি। মায়ের স্নেহমাখা মুখখানি সবসময় আমাদের প্রেরণা যোগায় ও আবেগ তাড়িত করে। সুখে-দুঃখে সর্বদায়ই একজন মা তার সন্তানের মঙ্গল, কল্যাণ ও উন্নতি কামনা করে থাকেন। মায়ের মতন এমন পবিত্র জিনিস আমরা কোথাও খুঁজে পাবোনা । পবিত্র হিন্দুধর্মে মার অবদান ও গুরুত্ব সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘জননী জন্মভূমিচ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী।’ মা এবং মাতৃভূমি স্বর্গ থেকেও শ্রেষ্ঠ। পবিত্র ইসলামধর্মে মার অবদান ও গুরুত্ব সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘মায়ের পদতলে সন্তানের বেহেশত বিরাজিত’। মায়ের যেমন বিকল্প হয় না, ঠিক তেমনি মায়ের কোন তুলনা হয় না। গত ২৫ নভেম্বর ২০২১ খ্রী: আমাদের শোকের অনন্ত সাগরে ভাসিয়ে আমাদের স্নেহ মমতাময়ী মা মন্ট্রিয়লে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। মা যেখানেই থাক ভাল থেকো। আমাদের ক্ষমা করো এবং আমাদের আশীর্বাদ করো। ভুলুন্ঠিত প্রনাম ও বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করছি। অকৃত্রিম স্নেহ-মমতা আর গভীর ভালোবাসার আশ্রয়স্থল হলেন মা। আমি ও আমার ভাই উভয়েই মাকে প্রতিদিন প্রনাম না করে বের হলে মনে হতো যাত্রাটা শুভ হবেনা। প্রতিদিনই মাকে Miss করি। একটি সবিনয় অনুরোধ করবো, আপনারা কখনো কোনভাবেই মাকে অবহেলা করবেননা।
এতএব মার প্রতি আমরা যাতে কোনও অবহেলা না করি এটা অবশ্যই আমাদের স্মরণ রাখা উচিৎ হবে, মায়ের আশীর্বাদ ও শুভ কামনা আমাদের সকল কাজে ও চলার পথেই উৎসাহব্যঞ্জক ও আশীর্ববাদ স্বরুপ। শুধু বিশ্ব মা দিবসেই নয় সারা বছরেই যেন আমরা মাকে স্মরণ করি, মার দেখভাল / খোঁজ খবর রাখি ও মাকে শ্রদ্ধা করি । প্রতিটি দিনই যেন মা দিবস মনে করে মাকে ভালোবাসি,স্মরণ করি এবং মাতাপিতার সুখেদুঃখে সহায়তার হস্ত প্রসারিত করি । মাতাপিতা বটবৃক্ষের মতই সুশীতল ছায়া, বাতাস, ও ভালোবাসা দিয়ে সন্তানদের আগলিয়ে রাখে । মাতৃস্নেহ অপার, সীমাহীন ও অতুলনীয় ।
যাঁর অনুপম জীবনদর্শণ ও স্নেহ আমার চেতনায় ও মননে লালিত হয়ে থাকবে চিরায়ত কাল ধরে—তিনি আমার অতি পবিত্র মা, আমার পরম শ্রদ্ধেয়া মহীয়সী জননী । বিশ্ব মা দিবসে আমার মা সহ সকল মায়েদের প্রীতি, শুভেচ্ছা, শ্রদ্ধা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।
– বিদ্যুৎ ভৌমিক-লেখক, কলামিষ্ট ও সিবিএনএ-এর উপদেষ্টা। মন্ট্রিয়ল, ক্যানাডা, ১৩ মে, ২০২৩