ফিচার্ড শিক্ষাঙ্গন

ব্রিটিশ কাউন্সিল ও এইচএসবিসি’র আয়োজনে ‘ইংলিশ অ্যান্ড ডিজিটাল ফর গার্লস এডুকেশন’

ব্রিটিশ কাউন্সিল ও এইচএসবিসি’র আয়োজনে ‘ইংলিশ অ্যান্ড ডিজিটাল ফর গার্লস এডুকেশন’ প্রোগ্রাম সম্পন্নকারী ১শ’ কিশোরীকে স্বীকৃতি

[ঢাকা, ১৪ মার্চ, ২০২৪] রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত ফুলার রোড মিলনায়তনে সম্প্রতি এজ (ইংলিশ অ্যান্ড ডিজিটাল ফর গার্লস এডুকেশন) প্রোগ্রাম সম্পন্নকারীদের নিয়ে একটি গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ব্রিটিশ কাউন্সিল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এজ প্রোগ্রাম সফলভাবে শেষ করা ১শ’ জন কিশোরী

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান, এমপি। এছাড়া, অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার ও ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর ম্যাট ক্যানেল, এইচএসবিসি বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী মো. মাহবুব উর রহমান, বাংলাদেশ ব্রিটিশ কাউন্সিলের প্রোগ্রামস ডিরেক্টর ডেভিড নক্স এবং স্পৃহা বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ও ডিনেট সহ অন্যান্য বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) প্রতিনিধিরা।

বাংলাদেশের শিক্ষাখাতে, বিশেষ করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে আশঙ্কাজনকভাবে লিঙ্গ-অসমতার বিষয়টি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মানসম্মত শিক্ষা অর্জনের ক্ষেত্রে এসব জনগোষ্ঠীর মেয়েরা নানান বাধার শিকার হচ্ছেন; ইংরেজি বা ডিজিটাল স্বাক্ষরতার মতো প্রয়োজনীয় দক্ষতা উন্নয়নের ক্ষেত্রেও অপ্রতুল সুযোগ পাচ্ছেন তারা। শিক্ষাখাতে লিঙ্গবৈষম্যের এই বিষয়টিকে চিহ্নিত করে ব্রিটিশ কাউন্সিল বিভিন্ন অংশীদারের সহযোগিতায় ১২ বছর ধরে বাংলাদেশে এজ প্রোগ্রামটি বাস্তবায়ন করে আসছে।

এইচএসবিসি এবং স্থানীয় বেসরকারি সংস্থা স্পৃহা বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ও ডিনেটের সহযোগিতায় এজ প্রোগ্রামের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ২৬’শ চল্লিশ জন কিশোরীর কাছে পৌঁছায় ব্রিটিশ কাউন্সিল। গত দুই বছরে ২২০ জন পিয়ার গ্রুপ লিডারকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, যারা ১১০টি গার্লস ক্লাবের ২,৪২০ জন কিশোরী মেয়েকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন।

এজ প্রোগ্রাম শেষ করা কিশোরীদের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান, এমপি বলেন, “আপনাদের আত্মবিশ্বাস আমাকে উদ্দীপিত করেছে; আমি আপনাদের জন্য গর্বিত। আমার পরামর্শ হচ্ছে, আপনারা আপনাদের শিকড় ও সমৃদ্ধ সংস্কৃতিকে ভুলে যাবেন না।” প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর তরুণীদের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে এজের মতো কর্মসূচি নিয়ে কাজ করার জন্য তিনি ব্রিটিশ কাউন্সিল ও এইচএসবিসি -কে ধন্যবাদ জানান।

এ বিষয়ে বাংলাদেশস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার ও ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর ম্যাট ক্যানেল বলেন, “সকল মেয়েদের জন্য ১২ বছরের মানসম্মত শিক্ষা, শিক্ষায় অর্থায়ন এবং মৌলিক শিক্ষাগ্রহণ অর্থাৎ দক্ষতার উন্নয়নে বিনিয়োগের ওপর বর্তমানে বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করছে ব্রিটিশ হাই কমিশন। বাংলাদেশে মেয়েদের শিক্ষার ক্ষেত্রে আমাদের সামগ্রিক কার্যক্রমের উল্লেখযোগ্য অংশ এই এজ প্রোগ্রাম; একইসাথে, এটি মেয়েদের শিক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কাজ করতে আগ্রহী সরকারি ও বেসরকারি খাতগুলোর মধ্যে অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার চমৎকার একটি সুযোগ সৃষ্টি করেছে।”

বাংলাদেশ ব্রিটিশ কাউন্সিলের ডিরেক্টর প্রোগ্রামস ডেভিড নক্স বলেন “এইচএসবিসি’র সাথে সফল অংশীদারিত্বের মাধ্যমে এবং স্থানীয় অংশীদারদের সহযোগিতায় আমরা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ২৬’শ চল্লিশ জন কিশোরীর কাছে পৌঁছাতে পেরেছি। আন্তর্জাতিক সহযোগী, সরকার ও বেসরকারি খাতের প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করার আরও অনেক সুযোগ তৈরি হয়েছে এবং এই প্রোগ্রামগুলোকে আরও টেকসই ও গ্রহণযোগ্য করার লক্ষ্যেআমরা এ ধরনের সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব আরও জোরদার করতে আগ্রহী।”

এইচএসবিসি বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী মো. মাহবুব উর রহমান বলেন, “আজকের বিশ্বায়ন ও ডিজিটাল যুগে আমরা মেয়েদের ইংরেজি দক্ষতা, ডিজিটাল স্বাক্ষরতা, সামাজিক সচেতনতা ও উদ্যোগ গ্রহণের সক্ষমতার ওপর বিশেষভাবে গুরুত্ব দিতে চাই। আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমরা শিক্ষার পরিবর্তনশীল সক্ষমতার সম্ভাবনা নিয়ে আশাবাদী। ফলে, আমরা মেয়েদের ক্ষমতায়ন ও তাদের ভবিষ্যৎ সাফল্যের পথকে সুগম করতে এ ধরনের প্রোগ্রামে আরও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

অনুষ্ঠানে ২শ’ বিশ জন পিয়ার গ্রুপ লিডারের (পিজিএল) মধ্যে ঢাকাভিত্তিক ১শ’ জন এজ ক্লাবের সদস্য সনদ ও ক্রেস্ট গ্রহণ করেন। বাকি ১শ’ বিশ জন পিজিএল ও ২৪’শ বিশ ক্লাব সদস্যকে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই সনদ ও ক্রেস্ট প্রদান করা হবে।

এসএস/সিএ

সংবাদটি শেয়ার করুন