কানাডায় ম্যারাথন দৌড়ে দুই বাংলাদেশী
কানাডায় ১৯৬৩ সাল থেকে যাত্রা শুরু করে ক্যালগেরি ম্যারাথন দৌড়, যা বর্তমানে কানাডার দীর্ঘতম এবং অন্যতম জনপ্রিয় ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতা। এ প্রতিযোগিতা সর্বশেষ ২০১৯ পর্যন্ত মোট আটবার আলবার্টা প্রদেশের ‘শ্রেষ্ঠ রোড রেস’ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে।
এই প্রতিযোগিতায় দুই বছরের শিশু থেকে শুরু করে বয়োবৃদ্ধ সবার বিভিন্ন দূরত্বের দৌড় কিংবা হাঁটায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে পুরো ক্যালগেরি নগরী উৎসব মুখর হয়ে উঠে। এই প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন দূরত্বের মধ্যে আলট্রা (৫০ কিমি), ফুল ( ৪২.২ কিমি) আর হাফ (২১.১) ম্যারাথন দৌড় সর্বাধিক জনপ্রিয়।
সদ্য সমাপ্ত ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতা ক্যালগেরি বসবাসরত প্রবাসীদের জন্য একটু ভিন্ন অভিজ্ঞতা ছিল। এবারের ২৯মে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় প্রায় চার হাজার পাাঁচশত জন প্রতিযোগি অংশগ্রহণ করেন।
এবছরও ক্যালগেরি ম্যারাথন দৌড় দু’টি পদ্ধতিতে হয়েছে ভার্চুয়ালি ও সরাসরি।
ফুল ম্যারাথন (অর্থাৎ 42.2 কিমি) ক্যাটাগড়িতে ৬৫৪ জন অংশগ্রহণ করেন। তারমধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো দুই জন বাংলাদেশি অংশগ্রহণ করেন।
এর মধ্যে ক্যালগেরিতে বসবাসরত প্রবাসী বিশিষ্ট নাট্য নির্দেশক জাহিদ হক ও নবাংশু শেখর দাস অন্যতম।
নাট্য ব্যক্তিত্ব জাহিদ হক জানান, কানাডার মাটিতে এ এক অন্যরকম অনুভুতি। গতমাসেও আমি কানাডার টরেন্টোতে ম্যারাথন দৌড়ে অংশগ্রহণ করেছিলাম। একটিভ লিভিং এ অভ্যস্ত হতে এবং প্রেরণা জাগাতে ম্যারাথন দৌড়ের বিকল্প নেই ।
অন্যদিকে নবাংশু শেখর দাস জানান, মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য সুস্থ রাখার অন্যতম উপায় হাঁটা অথবা দৌড়। এর কোন বিকল্প নেই। এটা শুরু করলে যে ফিজিক্যাল ও মানসিক প্রশান্তি আসে, তা উপলব্ধি করার পর কেউ আর ছাড়তে পারবে না। বিদেশের মাটিতে গতবছর ও আমার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল।
উল্লেখ্য বিশ্বব্যপী ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতা ক্রমেই জনপ্রিয় উঠছে। স্থিতি সরাসরি মৃত্যু না ঘটালেও যন্ত্র নির্ভর আমাদের দৈনন্দিন স্থবির জীবন চর্চা আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য প্রধান হুমকি। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে একটিভ লিভিং বা সচল জীবন যাত্রার বিকল্প নাই। আর তাই তো প্রবাদে আছে ‘গতিই জীবন, স্থিতিই মরণ। ‘