প্রেম ! কেউ বলে কচু পাতার পানি। কেউ বলে পদ্ম পাতার নীর। আমি তার জন্যে অধীর। কেউ রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকে। কেউ ছাদের ওপর ঘোরাঘুরি করে। কেউ-বা গলিপথে। কেউ ছোট বোনকে দিয়ে চিরকুট পাঠায়। কেউ বইয়ের পাতায় চিঠি রেখে দেয়। খাম ভরে দেয়। কেউ-বা কত কায়দায় গুঁজে দেয়, ছুঁড়ে দেয়। পাঠায় কেউ-বা সেই পরাণের ধন, পরম যত্নে, মহাআদরে, সাদরে, সঙ্গে সঙ্গে, সরাসরি, বুকের সিন্দুকে, চালান করে দেয়, গহীনে আগলে রাখে, নিরাপদে।
কালিদাস রচনা করেছিলেন, মেঘদূত।
আজকাল শুরু হয়েছে, ইলেকট্রনিক-প্রেম। ইদানিং সবাই বসবাস করছে—ভার্চুয়াল-ভালোবাসার জগতে। বিচিত্র সব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সেখানে সক্রিয় : মুঠোফোন। ডেস্কটপ। ল্যাপটপ। সমকালীন প্রযুক্তি-পরশ। কম্পিউটার প্রযুক্তির চৌকস-বিপ্লব। এখন আর শুধু অন্তর নয়। ততোধিক। একেবারে—একদম—অন্তর্জাল : বন্দি- বন্দিনী। প্রতিমুহূর্ত। প্রতিক্ষণ।
কেউ করিডোরে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করে। অ্যান্ড্রয়েড ঘুরিয়ে চালিয়ে, আড়চোখে, একে অপরকে দেখে। যেন অগোচরে, বুঝতে না-পারে—এভাবে । বহে চোরাস্রোত—আবেগের অন্তঃসলিলা ফল্গুধারা । সবকালেই তার রকমফের বৈ—অন্যকিছু তো নেই ।
যদি কোথাও কিছুক্ষণ। এক পশলা বৃষ্টির মতোন । অর্থাৎ, এক পলকে হাওয়া। আবার যদি ঝিরিঝিরি চোখাচোখি হতে-না-হতেই—অনিচ্ছাসত্বেও, বিদায়- বিহীন বৈতরণী না-থামে, তাকে কী বলব। কেউ কেউ যেতে যেতে চকিতে চোখ রাখে । ফিরে চায় । চমকে উঠি । সেই কথাটিও পরমুহূর্তে, বিস্মৃতপ্রায়, অশ্রুত-ধ্বনি, আলবিদা ! উধাও । প্রেম এইভাবে একবার আসে একবার ধায়—অগত্যা মুহুর্তেরা আপন মনে শূন্যতায় : ফানুস হয়ে উড়ুক্কু, উড্ডীন ।
কোনো কোনো প্রেম স্বল্পায়ু । কোনো কোনো প্রেম দীর্ঘায়ু । কোনো কোনো প্রেম চিরজীবী।
কোনটা স্বল্পস্থায়ী। কোনটা দীর্ঘস্থায়ী। কোনটা চিরস্থায়ী। আগে থেকে বলা যায় না। হায়, প্রেম!
প্রেম বিচ্ছেদে। মিলনে। প্রেম ঘুরে বেড়ায়, খালের ধারে। নদী তীরে। সৈকতে। প্রেম ঘরের বাহিরে। নিসর্গে। রেস্তোরাঁয়। প্রণয় প্রকাশিত হয় পরিণয় থেকে পরকীয়ায়। সে একান্ত একটি আপন ঠিকানা—নীড় খোঁজে—পরিণয়ে। আবার কখনও স্বভূমি ছেড়ে পরবাসীর মতোন পরদেশী-পরকীয়ায়।
প্রেমে প্রেমিকা-প্রেমিক ডুব সাঁতার দেয়। হাবুডুবু খায়। মজে যায়। দিওয়ানা হয়ে যায়। সাধারণত প্রতিটা পুরুষ যত তড়িৎ বেগে ও দ্রুততম ও সংক্ষিপ্ততম সময়ে স্বরচিত প্রেমিক হয়ে যায়, সচরাচর কোনো মনোনীতা নারী কোন পুরুষকে সহজেই স্বাধিকার সমর্পণ করে না। বা মনে মনে চট করে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেয় না। আবার, একটি মেয়ে অনেকের চোখেই যেমন তৎক্ষণাৎ মনে ধরে যায় বা তাৎক্ষণিক-নির্বাচিতা হয়ে যায়, পুরুষেরা সেরকম কোনো সৌভাগ্যবতীর মতোন তড়িঘড়ি- সৌভাগ্যবান বনে যান না। অতএব, প্রকৃতপক্ষে, বিরচিত প্রেমিকার সংখ্যা—ধর্তব্যের বাইরে—প্রচ্ছন্ন থেকেই যায় । এক্ষেত্রে, কোনো সমানুপাত হয় না, নেই । প্রেমিক-প্রেমিকার প্রকৃত প্রামাণ্য মনোতথ্যচিত্র : পুরুষদের পাল্লাই ঘিঞ্জি, ভারী ।
কেননা, একটি মেয়ে সহসা অনেক পুরুষের নজর কাড়ে। কিন্তু, একজন পুরুষ অনেক কাঠখড় পুড়িয়েও—মাত্র একজন প্রমীলারও, মন কাড়তে ব্যর্থ হন। শ্রী কৃষ্ণের কথাই ধরুন না কেন। এক যুগ । তিনি তো অসাধারণ। আমাদের মতো সাধারণ-সামান্যদের কথা না-হয় বাদই দিলাম।
উল্টো দেখুন, বিশ্ববিশ্রুত হেলেন অব ট্রয় কিংবা একজন ক্লিওপেট্রাই কী উপরোক্ত প্রেক্ষাপটে যথেষ্ট দৃষ্টান্ত নয়। ভ্রমরের যেমন ফুলের ওপর, তেমনি পতঙ্গপালের মতো নারীর ওপর ভালোবাসার মৌ-লোভী পুরুষেরা চিরকালই ইতিবাচক বা নেতিবাচকভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছে, পড়ছে। এটাই নৈসর্গিকভাবে প্রকৃতিতে ও প্রকৃতিগতভাবে পুরুষের সহজাত সত্তায় বৈশ্বিক। বাঙ্ময়।
তবে, প্রেম কোন জগদ্দল পাথর নয়। কখনও সমুদ্দূরের ঢেউ, কখনও হিমালয়ের মতোন বরফ- কঠিন-শীতল, কখনও কালা পাহাড়, কখনও সাহারা মরুভূমি, কখনও-বা পম্পেই-ভিসুভিয়াস, কখনও-বা সুনামি, কখনও তাজমহল, কখনও বুখারা-সমরখন্দ-এর চেয়ে দামী—প্রিয়ার গালের কালো একটি তিল । আহা, প্রেম !
ব্যতিক্রম নামক স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং সংরক্ষিত আসনও ভোটের জন্য সুরক্ষিত। আপনার মূল্যবান ভোটটি অনায়াসে-স্বেচ্ছায় দিতে পারেন । তবে, প্রেম বা ভালোবাসার রাজকীয় রাজনীতি বা গণতন্ত্র বা সমাজতন্ত্র বা মৌলবাদ এটাই । এখানেও আছে, সামরিক একনায়কতন্ত্র বা স্বৈরাচার । জুলুম-অত্যাচার। আপনি নিরপেক্ষ বা অকৃতদার হয়ে থাকতে পারেন । না-ভোট দিতে পারেন। যাকে খুশি তাকেও দিতে পারেন। হ্যাঁ-ভোট ।
একটি লাল গোলাপ । প্রেম ! কুছ পরোয়া নেই।
ভালোবাসা অবৈধ বা অসামাজিক কাজ নয় তো, কী হয়েছে,—যুগে যুগে একেও কম নিগৃহীত হতে হয়নি। অথচ, আশ্চর্য, ভালোবাসা অবাধ ও অবাধ্য । প্রেম এক অদম্য-প্রাণশক্তির অফুরন্ত -অনন্ত-উৎস। অনুপ্রেরণা।
মেঘ ও মানুষ ।। বিপ্লব ঘোষ এখন মেঘেদের দেখলে মনে পড়ে কোনো নদীর পাড়ে বাউলেরা এসেছে তাঁবু টানিয়ে থাকবে মাধুকরী করে শ্রাবণ শেষে কখন তারা চলে গেছে । যে মেঘ আসে,সে কি আর ফেরে কখন ঢেউয়ের মতো প্রতিটি মেঘ যেমন তাই মনে হয় এই আমার আপন শুধু মানুষ গেলে কেনো করো রোদন ! —————————————— […]
অপুদা’র স্মৃতি ||||| বিশ্বজিৎ মানিক কমরেড অর্ধেন্দু বিকাশ দেবরায় তাঁর কথা কি ভুলা যায় তিনি ছিলেন শান্তিবাগের ছেলে – কুশলাদি জেনে নিতেন পেলে। পড়াশোনা করে শেষ সমাজ কর্মে মনোনিবেশ বিয়ে পূজা যেথায় যখন লাগে – পাওয়া যেত তাঁকে সবার আগে। সংস্কৃতিতে ছিল মন ছায়ানীড়ের সভ্য হন খেলাঘর আর ছাত্র ইউনিয়নে – নেতৃত্ব দেন শিশু কিশোর […]