জয়িতা চট্টোপাধ্যায়-এর একগুচ্ছ কবিতা
——————————————————————————–
নিরাপদে তুমি থাকো সেটুকুই চাই
আমি দূরত্ব হবো বা হবো বিধর্মী
প্রতিদিন তোমার ছবির কাছে
মাথা নত করে দাঁড়াব
হেসে উঠবে তুমি খিল খিল করে
উন্মাদের মতো ভয় পাবো
রোজ তোমাকে হারাতে
মনে মনে বলে উঠবো
আমাকে লুন্ঠন কর না
আমার নশ্বর ঠোঁট ছুঁয়ে দেবে
তোমার পায়ের পাতা
তুমি গলে যাবে মোমের মতন।।
—————————————————————————–
যুদ্ধ করা পরাজিত শরীর নিয়ে
কাঁটার বিছানা থেকে প্রেমে পড়ে যাই
প্রেমে পড়ার আগে সামলাতে পারিনি মন
ছাদে উঠে তাকে দেখি
আমার দুচোখে পৃথিবীর বিষ্ময় লেগে
কমলা আকাশ তখন চক্রান্তকারী
রাঙা মেঘ এঁকে দিচ্ছে তোমার জল রঙের ছবি
হাজার আলোকবর্ষ দূরে থেকে
তোমার চোখে আলো এসে পড়ে
অবেলায় আমি প্রেমে পড়ি তারপরে।।
—————————————————————————-
আঙুলে আঙুল এসে ছোঁয় আবেশে জড়ানো
যত দুঃখী আছে আজ আমায় পছন্দ করে
পছন্দ করে আমার কবিতার খাতা
আমি জানলার ধারে বসে থাকি জ্বর গায়ে
অনন্ত সেকেন্ড, দিন, মাস, বছর, কত মড়ক,
বন্যা, যুদ্ধ, কত শতাব্দী পেরিয়ে
শুধু তোমাকে দেখার জন্যে।।
—————————————————————————–
চার. সিঁড়ি বেয়ে আসে অনন্ত কামড়
অন্যমনস্ক হয়ে খসে পড়া আবেগ
গুটিয়ে তোলার সাথে সাথেই
একটা তেরছা হাওয়া পুড়িয়ে দেয় শরীর
চোখের মধ্যে বয়ে চলে অনর্গল বিষাদ
বাঁকানো ঠোঁটে ভর করে থাকে অহংকার
মাস্তুল তুলে রচনা হয়ে যায় আকাশ
সিঁড়ি বেয়ে আসে অনন্ত কামড়
পাথর ভুলে যায় নিয়ম
শিকড়ে গেঁথে যায় তির
দুচোখ বন্ধ, দুহাতে ঝিনুকের ভিড়।
——————————————————————————-