মনিরুজ্জামান প্রমউখ– এর কবিতাত্রয়
তবে- নম্র নেমে আসো
—————————— —–
নদীর নাভি জুড়ে,
অজ্ঞাত-দের ত্রাস ।
সারি সারি পাল-তোলা নৌকা
ঘুম যায়- নির্ঘ্রাণ ।
প্রত্যাবর্তনের নেই কোনো খেয়াল !
ভেসে যেতে যেতে, আবর্জনাসমূহ বলে যায়-
তীর ঘেঁষে বেবোধ স্থিরচিত্র হওয়ায়, কী- মেলে ?
ভালোবাসা’র গতিময়তায় থাকে-
নীল রোদ,
ঘাম-সিক্ত সুখে’র দাপট,
গিলে ফেলা- আদ্র-পারদ ।
পাল-তোলা দুঃখ-বোধে’র মিহি পরশ নিতে চাও, যদি ?
তবে-
নম্র নেমে আসো-
জলে’র শরীর বেয়ে- স্রোতে’র পানসালায় ।।
————————-
দমে’র পরাসমানে
আঁধারে’র সন্ধি- বৃষ্টি’র প্লাবন !
গা ছুঁয়ে ছুঁয়ে-
আসে, যায় পর্ব-ইশারে ।
আরামে’র ঘর- কোন ঋতু’র পর্শি হয় ?
এক-টা বাঁকা চোরা-পথে,
মনে’র দর্জি ধরে-
বছর-পুরো
অ-শান্তে’র খামার পয়দা করে ।
পাশ্চাত্য ঘুমে, গদ্যে সে-সব
কল্প-কাহিনী’র রূপক ।
সব-কিছু’র বদল ভুবনে-
মানুষ পা রাখে, প্রণয় প্রবচনে ।
পাখি-গুলো প্রাণে’র সদকা দিতে দিতে, বেঁচে রয় !
ঘর-হীন মানবে’র আর্তনাদ-
সময়ে’র আরেক-টা ভোরে’র ক্লান্তি পুড়িয়ে,
উঠে যায়- দমে’র পরাসমানে ।।
————————
জীবন-শহর (উৎসর্গ- প্রয়াত ওহিদুল্লাহ খাঁন-কে)
মেঘে’র গর্জন- ঘুমে’র ব্যামো হলেও
প্রবর্তনের মন তারে, ক্ষমা করে- সাকুল্যে ।
করোনা(Corona) প্রাণে’র বায়ু তুলে, নেয়-
ঈশ্বরে’র প্রতীম হতে, স্বর্গ নির্লোভ দেহেরও !
প্রবীণ মানব পাখি-গুলো মরে যায়- অ-হেতুক !
স্বপ্ন ভাঙা ঘুম হতে,
জেগে ওঠে,
আমরা- জীবন নয়, মৃত্যু দেখি ।
কাল রাত পৈতৃক শিকড় হতে, জন্ম লয়- আরেকটা মৃত্যু-নদী ।
শিশির শৈশব জুড়ে রয়েছে, তার- অনবদ্য কিছু অক্ষর, কিছু স্মৃতি ।
কোনো কোলাহল নেই, কোনো আপ্লুত আবেগও নেই !
রোনাজারি’রও মৃত্যু ঘটেছে, মৃত্যু-বাহারে’র অসমাপিকা হতে ।
ভুবন আরশ হতে,
নেমে আসবে,
কবে- মরণ-বিয়োগ দূত ?
রূপালী মন-শস্যে কে দেবে, ঢেলে- আমাদের সনাতন গীত ?
বাতাসে’র গায় গায়- ক্ষয়-বারুদ কে দেবে- নিঃশ্বেষ করে, হীত ?
অপেক্ষা’র পাঞ্জেরি বৃত্তে, পুণঃজন্ম হোক এবার- ভাইরাস-হীন জীবন-শহর ।।