ফিচার্ড সাহিত্য ও কবিতা

গল্প || শেষদৃশ্য || ফজলুল হক সৈকত

গল্প || শেষদৃশ্য || ফজলুল হক সৈকত

দেশের একমাত্র মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সংলগ্ন হাসপাতালের অনকোলজি বিভাগের কেবিনের বিছানায় কাত হয়ে শুয়ে আছে অভিজিত। রাতে ভালো ঘুম হয়নি। আজকাল ঘুম হচ্ছে না। বুকের প্রচন্ড ব্যথা আর অনর্গল কাশির চোটে একরকম বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এক সময়ের সাহসী সন্তান, তুখোড় মুক্তিযোদ্ধা অভিজিত। তার কথার আওয়াজ শুনলে পর্যন্ত পাশে ঘেঁষতো না কেউ এমন সময়ও গেছে তার জীবনে। তার ধমক শুনে বা লাথি খেয়ে কে একজন মারা গেছে আজ থেকে প্রায় চল্লিশ বছর আগে। কিন্তু সেই দাপুটে পুরুষের আজ এই শেষদশা। পত্রিকায় খবর ছাপানোর জন্য ছবি তুলতে গিয়ে গতকাল সে সোজা হয়ে বিছানায় বসতে পর্যন্ত পারেনি। তিনরাত থেকে বাথরুমে যেতে অন্যের সাহায্য নিতে হচ্ছে। নিজ হাতে খাবার তুলে খাবার শক্তি হারিয়েছে প্রায় দুদিন হলো। মানুষজন দেখলে যদিও চিনতে পারছে, কিন্তু গলা থেকে কথার স্বর বের হচ্ছে না একবিন্দুও।

অভিজিত ভাবছে, আগামিকালের পত্রিকায় তার অসুস্থতার খবর প্রকাশ হলে নিশ্চয়ই প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে তাকে বিদেশে নেওয়া হবে উন্নততর চিকিৎসার জন্য। মাদ্রাজ বা সিঙ্গাপুরে গেলে ভালো। তার এক ভাগিনা আর এক ভাতিজা না কি কোন কোন মন্ত্রী বা সাবেক মন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করেছে। তারা না কি দারুণ আশ্বাসও দিয়েছে। ভাবতে ভালো লাগছে অভিজিতের। হাজার হোক সে তো মুক্তিযোদ্ধা। দেশকে পরাধীনতা থেকে মুক্ত করতে, নিজের মতো করে বাঁচার অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে, দেশের মানুষের মর্যাদা সুপ্রতিষ্ঠিত করতে কী সংগ্রামই না তারা করেছে! সে সব কথা মনে পড়লে আজও অভিজিতের রক্ত গরম হয়ে ওঠে। বেঁচে উঠবে, স্বাধীন দেশে আরো কিছুকাল মুক্ত বাতাস সেবন করবে, ভাবতে ভালো লাগছে অভিজিতের। সে শুনেছে, গতবছর কোন পলিটিক্যাল লিডার না কি সঙ্গীতশিল্পী মৃতপ্রায় অবস্থায় সিঙ্গাপুরে না কি থাইল্যান্ডে গিয়ে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ফিরেছে। তার পাশের বিছানার রোগিটি গতকাল প্রায় বিনাচিকিৎসায় আর অবহেলায় মারা গেছে। তখন অভিজিত আধাঘুম-আধাজাগরণের মধ্যে ছিল। মৃতদেহের পাশে দাঁড়িয়ে কে কে যেন কথা বলছিল। কথাগুলো দূর থেকে ভেসে-আসা বাতাসের মতো প্রবেশ করছিল অভিজিতের কানে।

‘দেশ স্বাধীন করে কী লাভ হলো! চিকিৎসার সুব্যবস্থা আজ পর্যন্ত করতে পারলাম না আমরা।’

একজনকে একটু উঁচু গলায় কথা বলতে শোনা গেল। ডাক্তারদের দায়িত্বজ্ঞান আর হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছিল লোকটি। সবকথা পরিষ্কারভাবে কানে না ঢুকলেও কয়েকটি বাক্য সে বুঝেছে। লোকটি ক্লাসে লেকচার দেওয়ার মতো করে বলছিল: ‘কী আশ্চর্য ব্যাপার! সকাল থেকে একজন ডাক্তার পর্যন্ত নেই। অক্সিজেন পর্যন্ত দেওয়া হলো না। কী অবস্থা দেশের! শালারা সব প্রাইভেট ক্লিনিক আর চেম্বারে মাল কামানো নিয়ে ব্যস্ত। মূল চাকরির কোনো খবর নেই। প্রমোশন আর ভাঙচুরের বেলায় ঠিকই হাজির থাকে। শালাদের ফুলটাইম ডিউটিতে থাকার জন্য কঠোর আইন করা দরকার। করবেই বা কে? যারা করবে, তাদের অবস্থা তো আরো খারাপ।’

লোকটির উত্তেজনাকে অস্বাভাবিক বলা যায় না, কাছের কেউ এভাবে মারা গেলে তো মাথা গরম হওয়ারই কথা। কিন্তু অভিজিত টের পেয়েছে, হাসপাতালটিতে চিকিৎসার নামে চলছে মারাত্মক অবহেলা আর অন্যায়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর তার পরিচিত বলে কিছুটা বাড়তি সহযোগিতা সে অবশ্য পাচ্ছে; কিন্তু তার চিকিৎসায় নিয়োজিত প্রফেসর গত দিনদিনে এদিকে একবারও ঢুঁ মারেননি। সহকারী প্রক্টরের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে হয়েছে। অভিজিতও মনে করে, এটা অনুচিত। অধিকার আদায়ের জন্য লড়াই করে, স্বাধীনতালাভের এতদিন পর দেশের এই অবস্থা দেখতে কার ভালো লাগে?

হাসপাতালের দেয়াল বেয়ে যাবার সময় একটা টিকটিকি আচমকা পিছলে অভিজিতের পাশে পড়লো। পরক্ষণেই, কাল বিলম্ব না করে, সে দৌড় দিল বারান্দার দিকে। পিছনের করিডোর দিয়ে সম্ভবত কোনো তরুণী হাইহিল পায়ে খটখট আওয়াজ তুলে চলে গেল পশ্চিমের দিকে। হাঁটতে হাঁটতে ফোনে কথা বলছিল মেয়েটি। গলাটি ভারি মিষ্টি! কত বয়স হবে? পঁচিশ? না বিশ হতে পারে। গলা শুকিয়ে আসছে অভিজিতের। ভাবছে, পাকা পেপে খাবে কি না। কিন্তু পাশে তো কেউ নেই। এতক্ষণ তার ছোটছেলে আর ছোটভাইয়ের মেজছেলে কাছেই ছিল। সে ঘুমোচ্ছে ভেবে কিছু আগে হয়তো করিডোরের দিকে গিয়ে থাকবে। ডাকবে না কি ওদের কাউকে? কিন্তু গলার স্বর তো একেবারে শূন্যের কোটায়! এখন একটু গরম লাগছে। যদিও শীতকাল; কিন্তু ফ্যান চালাতে হয় মাঝে মাঝে। ডাক্তার মানা করেনি। সবকিছু খেতেও বলেছে। তার কী হয়েছে, এখনো ডাক্তার বলেনি। পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। দু-একদিনের মধ্যেই জানা যাবে বিস্তারিত। তারপর তো সোজা বিদেশের মাটি! আচ্ছা, সে মারা যাচ্ছে না তো? ভাবে অভিজিত। সবকিছু খেতে বলার মানে তো ওরকমই দাঁড়ায়! আরে না। এখনই মৃত্যু কিসের! মাত্র তো আটাত্তরে পা পড়লো। অভিজিতের বাবা বেঁচে ছিলেন নব্বই বছর। সে হিসাব ধরলে আরো পাক্কা বারো বছর হাতে আছে।

আজকাল তার বউ সারাদিন তসবি হাতে নিয়ে বিড়বিড় করে দোয়া-দরুদ পড়ে। কয়দিন আগেও সবার সাথে হেসে হেসে গল্প করতো। তাহলে সে কি টের পেয়েছে কিছু? একবার আলাপ করে দেখতে হবে। সে কি সত্য কথাটা গোপন করতে পারে? খুব একটা কাছে আসে না সে। লোকজনের ভিড়ও আছে। কতজন ফলমূল নিয়ে হরলিক্স নিয়ে তাকে দেখতে আসছে। বউটা মাঝে মাঝে আয়াতুল কুরসি পড়ে তার বুকে, মাথায় ফুঁ দেয়। ভালো লাগে অভিজিতের। গতকাল বিকেলে তার ভাগিনাকেও বলেছে, অভিজিত ঝিমুনির মধ্যে শুনতে পেয়েছে, ‘পাশে বসে, যা যা দোয়া-সুরা মুখস্থ আছে, পড়ে মামার বুকে ফুঁ দিতে থাকো।’ খারাপ লাগে বউটির জন্য। সারাজীবন খুব অবহেলা করা হয়েছে ঘরের এই লক্ষীটিকে। সংসারের হাল প্রায় এক হাতে ধরে ছিল মেয়েটি। তোরো বছর বয়সে বউ হয়ে এসেছিল। তারপর থেকে স্বামী-শ্বশুর-শাশুড়ি-দেবর-ননদ-সন্তানাদি আরও কত ঝামেলা দুহাতে সামাল দিয়েছে। প্রতিবাদটুকু পর্যন্ত করেনি। ঠিকমতো ভালোবাসতে পারেনি বলে খারাপ লাগছে তার। ভাবছে, এখন থেকে আর ধমকা-ধমকি করবে না। গতকাল না কি পরশু বোধ হয় একটা ধমক সে দিয়েছিল। ধুর, কী ভাবছে এসব সে! ডাক্তার এলো না কি? না। বাতাসে সম্ভবত দরোজাটা নড়লো। ঝিমুনি আসছে হালকা। ঘুম নয়। আর এখন ঘুম এলেও ঘুমোতে ইচ্ছা করবে না তার। অভিজিত ভাবছে, যখন সে বিদেশ থেকে সুস্থ হয়ে দেশে ফিরবে, তখন তার কেমন লাগবে? দেশটিকে কি তার নতুন নতুন লাগবে? নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন করছে, এমন মনে হবে না তো? সে রকম হলে মন্দ কী? বিমানবন্দরে তাকে নিশ্চয়ই বরণ করতে যাবে অনেকে। বুকের ডানদিকটায় কি ব্যথা বাড়ছে? বাম হাতটা ধীরে ধীরে ডান পাশের পাঁজরের দিকে নেওয়ার চেষ্টা করে অভিজিত। ফুসফুসের কী একটা সমস্যা নিয়ে না কি ডাক্তাররা পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যাচ্ছেন। আচ্ছা, ফুসফুসটা কাজ করছে তো? বাম হাতটা কিছুক্ষণ আলতোভাবে চেপে ধরে অনুভব করার চেষ্টা করে অভিজিত। না! কিছু টের পাওয়া যায় না। আরে না! ফুসফুসের কাজ বন্ধ হবে কেন? সব ঠিকঠাক মতোই চলছে। আচ্ছা, গলার স্বরটা বন্ধ হয়ে গেল কেন? মরার আগে যে জবান বন্ধ হয়, সেরকম হয়নি তো? একবার শক্তি খাটিয়ে গলা দিয়ে শব্দ বের করার চেষ্টা করে অভিজিত। ‘অÑ অহঃÑ আ’ করে সে আল্লা বলতে সক্ষম হয়। ভাবে, না! গলা তো দিব্বি ঠিক আছে। কে বলেছে জবান বন্ধ?

সংসারের ছোটোখাটো ব্যাপারে তেমন মনোযোগ ছিল না অভিজিতের। ছনের ঝাড়– কিংবা পাপোশ কেনার কথা তার কখনো মনে ছিল কি না মনে পড়ে না। মাঝে মাঝে লবণ কিনতে গিয়ে নিয়ে এসেছে বাচ্চার দুধ খাবার ফিডার। ফ্রিজ ফাঁকা হলে পুনরায় তা মাছ-মাংসে ভরতে প্রায় ছমাস লেগে গিয়েছে কখনো কখনো। বউ-এর কাপড়ের রঙ কিংবা জানালার পর্দা তার চোখে পড়েছে বলে তো মনে পড়ে না। বন্ধুর মেয়ের জন্মদিনের নিমন্ত্রণে যোগ দিতে হয়তো গিয়েছে তিনদিন পর। এসব নিয়ে কম হাঙ্গামা পোহাতে হয়নি অভিজিতকে সারাজীবন। শাশুড়ি একবার ডেকে বলেছিল: ‘এবার একটু মন দাও বাবা। ছেলেমেয়ে বড় হচ্ছে, ওদের জন্য তো একটু ভাবতে হবে।’ বড় ছেলেটা মারা গেল পানিতে ডুবে। বছর পনেরো আগে। ছেলেটা পড়াশোনা শেষ করতে পারেনি গাড়ি চালানোর নেশায় পড়ে। শেষপর্যন্ত আন্তঃনগর বাসের ড্রাইভারও হয়েছিল। কী একটা অস্থিরতায় ভুগতো সারাক্ষণ। গাড়ি চালানোর সময় অপ্রয়োজনে কেবল হর্ন বাজাতো। কোনো কিছু তাড়ানোর জন্য কী এমন করতো সে? কে জানে? ও বেঁচে থাকলে একবার জিজ্ঞেস করা যেত। গাবতলীর কি যেন নদীতে গোসল করতে গিয়ে ডুবে মারা গেল ছেলেটি। সাঁতার তো জানতো। তাহলে কি কেউ ওকে মেরে ফেলেছিল? এতদিন পরে ওই ভাবনাটা অভিজিতকে ভাবাচ্ছে কেন? ছেলেটি তাকে কাছে যাবার জন্য ডাকছে না তো অলক্ষ্যে? মরা মানুষ ডাকা তো ভালো লক্ষণ নয়! অভিজিত অন্য দিকে মন ফেরানোর চেষ্টা করে।

ভাবতে ভাবতে সে কি ক্লান্ত হয়ে পড়ছে? ঘুম আসছে না তো? ছেলেগুলো যে কোথায় গেল। কয়টা বাজে? ডান হাতটা সামান্য সামনে টেনে ধরে হাত ঘড়িটা দেখে। লালরঙের আঙুরটা খেতে ভালোই লাগছে। গতরাতে নানরুটির সাথে গরম ভাজি আর ছোলার ডালটাও মন্দ ছিল না। কয়েকদিন ধরে ভাত খেতে পারছে না। খেতে গেলে বমি আসে। চারপাঁচদিন বলতে গেলে ফলমূলের ওপরেই বেঁচে আছে। ফল আর কত খাওয়া যায়? হাসপাতাল থেকে সকালে একবাটি মুরগির স্যুপ দেয়। সস্ থাকলে খাওয়া যেত। আর এত কথা বলাও যায় না। এটা খাবো, ওটা দাওÑ এসব বললে সবাই কী ভাববে? তারপরও সে অনেককিছু চেয়ে খেয়েছে। পরশু বিকেলে নিমকি খেতে ইচ্ছে হয়েছিল। কাছে কোথাও না কি পায়নি; সন্ধ্যার দিকে যখন আজিজ মার্কেট না কি মার্কেট থেকে কে যেন আনলো, তখন আর তার খেতে মন চায়নি। আজকাল এমন হচ্ছে। সময় সময় চিন্তা আর ইচ্ছা বদলে যাচ্ছে কিংবা বলা যায় বাঁক পরিবর্তন করছে। অভিজিত এজন্য নিজেকে দোষ দেয় না। জীবনটাই তো এরকম!

ছোটভাই প্রায় সবসময় পাশে পাশে থাকছে। আজ বোধ হয় ময়মনসিংহে পীরসাহেবের কাছে যাবে, না কি এরকম কি যেন বললো। ইঞ্জিনিয়ার ছিল। ঢাকায় পাঁচতলা বাড়ি বানিয়েছে। স¤প্রতি রিটায়ার করেছে। আজকাল সবকিছুতে কেবল চটে যায়! আগে কখনো এরকম ছিল না। সারাদিন কাজের মধ্যে ডুবে থাকতো। কাজ না থাকায় বিগড়ে যেতে পারে। দেখা যাক, পীরসাহেব হয়তো একটা ব্যবস্থা করবে। আচ্ছা ভালো কথা, পীরসাহেবের কাছ থেকে বুকের ব্যথার জন্য পানিপড়া আনতে বললেও তো হতো। ইস্! একদম মনে ছিল না। এতো ভাবনা কিসের? ও বুদ্ধিমান লোক। মনে করে হয়তো ঠিকই নিয়ে আসবে। পীরসাহেবের পানিপড়া খেলে কি বুকের ব্যথাটা সেরে যাবে? তাহলে বিদেশে যাওয়ার কী হবে? থাক, পানিপড়া না আনলেই ভালো। বিদেশের চিকিৎসার ওপরে কোনো  কথা নেই।

আসরের আজান শোনা যাচ্ছে বোধহয়। আজকাল সকাল-বিকাল-সন্ধ্যা-রাত সব এক হয়ে গেছে। ঘড়ি না থাকলে তো ভারি মুশকিল হতো! ঘড়িটা যেন কে আবিষ্কার করেছে? একসময় নামটা জানতো অভিজিত। এখন মনে পড়ছে না। একটা কাশি বেশ বড় আকার নিয়ে বুক থেকে গলার দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে তার মনে হয়। অভিজিত হাত বাড়িয়ে পিতলের বাটিটি সামনে আনে। পিতলের রঙটা স্বর্ণের মতো লাগছে। কাশিটা শেষপর্যন্ত এলো না। আবার ঘুম ঘুম লাগছে। শোবে না কি একবার? ঘাড়টা কাত করে মাথাটাকে বালিশের ওপর রাখে অভিজিত। ওপরের ছাদটা আকাশ পর্যন্ত প্রসারিত হবে না কি? কেমন সরে যাচ্ছে মনে হয়! অভিজিত একবার আল্লাহ বলার চেষ্টা করে। নামাজটা পড়ে শোবে কি না ভাবে। চোখটা বোধহয় বন্ধ হয়ে আসছে। আর ধরে রাখা যাচ্ছে না। পাশে দাঁড়িয়ে কেউ কলেমা পড়ছে মনে হয়। কে পড়ছে? গলাটা ঠিক চেনা যাচ্ছে না। শুধু কানে প্রবেশ করছে, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু .. ।


ড. ফজলুল হক সৈকত। ঢাকা। শিক্ষক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ। ফ্রেঞ্চ ভাষার প্রশিক্ষক। সংবাদ উপস্থাপক, বাংলাদেশ বেতার। কবি, কথানির্মাতা, শিল্প-সাহিত্য বিশ্লেষক ও কলামিস্ট

 

সর্বশেষ সংবাদ

দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com

সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

আমাদের ফেসবুক পেজ   https://www.facebook.com/deshdiganta.cbna24 লাইক দিন এবং অভিমত জানান

সংবাদটি শেয়ার করুন