সিলেট ওসমানীনগরে সংখ্যালঘু পরিবারের পিতা ও দুইপুত্র সহ সন্ত্রাসী হামলার শিকার
তিমির বনিক।। সিলেট ওসমানীনগরে সন্ত্রাসী হামলায় পিতা ও দুই পুত্র আহত হয়েছেন। স্থানীয় সুত্রে জানা যায় সিলেটের ওসমানীনগরে সুদের টাকা নিয়ে হামলায় পিতাসহ দুই পুত্র এখন মৃত্যুর সাথে যুদ্ধ করে লড়ে চলেছেন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে।
আহতরা হলেন- উপজেলার ২নং বুরুঙ্গা ইউনিয়নের নিজ বুরুঙ্গা গ্রামের সমর চন্দ্র দাস (৬৫), তার দুই ছেলে সুবল চন্দ্র দাস (১৯) ও সঞ্জিত দাস (৩১)।
গত সোমবার ( ৭ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে দাদন (সুদ) কারবারিরা স্থানীয় বুরুঙ্গাবাজারে তাদের উপর হামলা চালালে মারাত্মকভাবে যখম হয়ে রক্ত মাখা আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তাদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বর্তমানে তাদের চিকিৎসা শেষে বাড়িতে আনা হয়েছে। তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানসহ মাথায় ও হাতে সেলাই আর ক্ষত রয়েছে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
ঘটনাস্থলের প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার সময় সমর চন্দ্র দাস তার দুই ছেলেকে নিয়ে বুরুঙ্গা বাজারের প্রবেশ মুখে স্কাই সিটি মার্কেটে চায়ের দোকানে। আকস্মিকভাবে পশ্চিম তিলা পাড়া গ্রামের মহসিন আলীর ছেলে ইমন ও গোয়ালাবাজার ইউনিয়নের গদিয়ারচর গ্রামের আব্দুল্লাহ মিয়ার ছেলে জামালের নেতৃত্বে ৯/১০ জনের একটি সন্ত্রাসী দল বুরুঙ্গাবাজারে প্রবেশ করে দ্রুত চায়ের দোকানে গিয়ে হামলা চালায়। তাদের হাতে ছিলো রামদা রডসহ অন্যান্য দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র। এবং তাদের প্রাণে হত্যার জন্য এসেছিল এবং দোকান ডাকাতি করতে এসেছিল এবং দোকানের সকল জিনিস পত্র ভাংচুর করে এবং দোকানের কয়েক লক্ষ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
এসময় বাজারে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে সাধারণ জনগণ এলোমেলো ছোটাছুটি করে নিজেদের আত্মরক্ষা করেন। সন্ত্রাসীরা সমর চন্দ্র দাস ও তার দুই ছেলেকে মারধর করে। তাদের গণবিদারী চিৎকারে ঘটনাস্থলে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণ হয়। সন্ত্রাসীরা ইচ্ছে মতো তাদের মারধর করে ফেলে যায়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, জামাল ও ইমন সুদের ব্যবসার সাথে জড়িত। তাদের কাছ থেকে কিছু টাকা নিয়েছিলেন স্থানীয় এক ব্যাক্তি তার জামিন বা সাক্ষী হিসাবে সমর চন্দ্র দাস
এর ছেলে মধ্যস্ততায় ছিলেন। ঐ ব্যক্তি সুদ পরিশোধে দেরি হওয়ায় এই নারকীয় হামলা করা হয় মধ্যস্থতা কারির পরিবারের উপর।
এ ঘটনায় স্থানীয়দের মনে আতঙ্কের পাশাপাশি ক্ষোভ এবং উত্তেজনাও বিরাজ করছে।
জানা গেছে, অভিযুক্তরা ৪/৫ কিলোমিটার দূরের গোয়ালাবাজার থেকে এসে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে। বিষয়টি কোনভাবেই মানতে পারছেন না স্থানীয় তরুণ যুবকরা। ৪নং কামার গাঁও ওর্য়াড মেম্বার হুসিয়ার আলি ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন। ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার দীপংকর দেব শিবু তিনি ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বুরুঙ্গা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আখলাকুর রহমান। তিনি অবিলম্বে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।
গোলাম রাসুল খালেক আহমদ সাবেক চেয়ারম্যান আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের স্থানীয় প্রশাসনের নিকট আহ্বান জানান,
বিষয়টি নিয়ে আলাপকালে ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাইন উদ্দিন বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের হয়েছে (মামলা নং-০৫) অভিযুক্তদের ধরতে আমরা আইনানুযায়ী কাজ করছি। কিন্তু আজ (১৩ মার্চ) রবিবার পর্যন্ত কোন আসামিকে গ্ৰেফতার করতে পারেনি। আহত পরিবারের বরাত দিয়ে জানা যায় তারা অত্যন্ত নিরীহ ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ,আহত ব্যক্তিরা সহ পরিবারের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এই দরিদ্র পরিবারটি।
এস এস/সিএ
দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com
সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
আমাদের ফেসবুক পেজ https://www.facebook.com/deshdiganta.cbna24 লাইক দিন এবং অভিমত জানান