এথেন্সে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব ও শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল-এর জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন
বাংলাদেশ দূতাবাস, এথেন্সের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব-এর ৯৩তম জন্মবার্ষিকী এবং শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল-এঁর ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন
সংগ্রাম-স্বাধীনতা, প্রেরণায় বঙ্গমাতা-এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে গ্রিসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব-এঁর ৯৩তম জন্মবার্ষিকী এবং বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ পুত্র, বাংলাদেশের আধুনিক ক্রীড়াঙ্গনের অন্যতম পথিকৃৎ বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল-এঁর ৭৪তম জন্মবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হলো। এই উপলক্ষ্যে গ্রিসের এথেন্সস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে বিস্তারিত কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এ দিন বিকেলে (০৮ আগস্ট ২০২৩) গ্রিসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসুদ আহ্মদ বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ, গ্রিস আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ব্যবসায়ী এবং আঞ্চলিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারিদের সাথে নিয়ে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব এবং শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল-এঁর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এরপর মান্যবর রাষ্ট্রদূতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত এবং পবিত্র গীতা থেকে পাঠ করা হয়। দিবস দু’টি উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। বাণী পাঠের পর বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব-এঁর মহতী জীবনীর উপর নির্মিত বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
বিশেষ আলোচনায় বক্তারা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব-এঁর স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তাঁরা মহীয়সী নারী বঙ্গমাতার কর্মময় জীবনের উপর আলোকপাত করেন। পাশাপাশি বক্তারা বাংলাদেশের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল-এঁর অসামান্য অবদানের কথাও তাuদের বক্তব্যে তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানের সভাপতি রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতা পরবর্তী দেশ পুনর্গঠনের কাজে বঙ্গমাতা দৃঢ়তা, সাহসিকতা ও দূরদর্শিতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তাঁর অপরিসীম ত্যাগ-তিতিক্ষা, সহমর্মিতা ও বিচক্ষণতাই তাঁকে বঙ্গমাতার আসনে আসীন করেছে।
রাষ্ট্রদূত অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল-এঁর কর্মময় জীবনের কথা স্মরণ করে বলেন, তিনি ছিলেন একজন দেশপ্রেমিক, সংস্কৃতিমনা এবং ক্রীড়াপ্রেমিক ব্যক্তিত্ব। স্বাধীনতার পর ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে অন্যতম সংগঠক হিসেবে তিনি সকলের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল ও বঙ্গবন্ধু পরিবারের অন্যান্য শহীদ সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনা, গ্রিসসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসকারী প্রবাসী এবং দেশ ও জাতির উত্তরোত্তর মঙ্গল ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।