দেশের সংবাদ ফিচার্ড

ভৈরব সুখী মধুমতির দাম ১ কোটি ৫ লাখ টাকা

ভৈরবের ওজন ১ হাজার ৮০০ কেজি

ভৈরব সুখী মধুমতির দাম ১ কোটি ৫ লাখ টাকা

সবচেয়ে বড়টির নাম রেখেছেন ভৈরব। ওজন ১ হাজার ৮০০ কেজি। দ্বিতীয়টির নাম সুখী। এর ওজন ১ হাজার ৭০০ কেজি। তৃতীয়টিকে ডাকেন মধুমতি বলে। এরও ওজন ১ হাজার ৩০০ কেজি। ভৈরব, সুখী ও মধুমতি— বাহারি তিনটি নামে ডাকা হয় তিনটি গরুকে।

বাগেরহাট সদর উপজেলার বারুইপাড়া গ্রামের খামারি আবুল হোসেনের খামারে সন্তাস্নেহে লালিত-পালিত হচ্ছে এরা। তবে করোনা পরিস্থিতিতে গত বছরের মতো এবারও পশু বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তিনি।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভৈরব, সুখী ও মধুমতির খবর ও ছবি ছড়িয়ে পড়লে এদের দেখতে স্থানীয়দের পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ ভিড় করছে আবুলের বাড়িতে।

জেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় গরু বাগেরহাট সদর উপজেলার বারুইপাড়া গ্রামের খামারি আবুল হোসেনের। বিশাল আকৃতির এই পশু তিনটিকে প্রতিদিন লালনপালন করতে বেগ পেতে হচ্ছে পরিবারের সদস্যদের।

খামারি আবুল হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভালোবেসে নাম রেখেছি ভৈরব, সুখী আর মধুমতি। প্রতিটি দিন এদের সঙ্গেই কাটে আমার। দিনে দুবার গোসল করানো, বারবার খাবার দেওয়া, যত্ন নেওয়াসহ আরও কত কী যে করতে হয়। তবে করোনার কারণে গত বছর কোরবানিতে গরু তিনটিকে বিক্রি করতে পারিনি। ভয়াবহ করোনার পরিস্থিতির মধ্যে এবারও বিক্রি নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছি।

খাবার বাবদ কেমন খরচ হয়, জানতে চাইলে আবুল হোসেন বলেন, গরু তিনটির পেছনে খাবার বাবদ প্রতিদিন তিন হাজার টাকা ব্যয় হয়। দেশীয় ফলমূল, ঘাষ, খড়কুটো খাইয়ে বড় করেছি। তবে এই ব্যয় বহন করতে বিভিন্ন জায়গা থেকে ধার-দেনা ও ঋণ করতে হয়েছে। তারপরও আমি হাল ছাড়ছি না।

কেমন দামে বিক্রি করবেন, এই প্রশ্নে তিনি বলেন, আমার ভৈরবের দাম ৪৫ লাখ টাকা, সুখীর দাম ৪০ লাখ ও মধুমতির দাম ২০ লাখ টাকা ধরা হয়েছে। তবে ন্যায্যমূল্য পেতে সরকারি সহায়তা কামনা করেন তিনি।

খামারের দেখভালের কাজে নিয়োজিত হাসান বলেন, পরম যত্নে যেভাবে গরু তিনটিকে লালনপালন করেছি, এত বড় গরু এর আগে কখনো আমাদের খামারে হয়নি। প্রতিদিন সকাল-বিকেল দুবার গোসল করানো হয়। প্রতিটি গরুকে ঘাস, ফলমূল, শাকসবজির পাশাপাশি ১০ কেজি করে দানাদার খাবার খাওয়ানো হয় বলে জানান তিনি।

প্রতিবেশী আলামিন শেখ বলেন, আমরা প্রতিদিন সকাল-বিকেল গরুগুলোকে দেখতে আসি। আশপাশের লোকজনও এখানে ভিড় করে। অনেকে আবার গরুর সঙ্গে ছবিও তোলে। আমরাও আশা করছি খামারি যেন ন্যায্যমূল্য পান। আমার জানামতে এত বড় গরু আমাদের জেলায় নেই।

বাগেরহাট জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. লুৎফর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাগেরহাট জেলায় দিন দিন খামারিদের সংখ্যা বাড়ছে। কয়েক বছর ধরে ফ্রিজিয়ান, শাহিওয়াল, ব্রাহমা জাতের ষাঁড়ের পালনও বাড়ছে। এসব ষাঁড় দেশীয় খাবারের পাশাপাশি দানাদার খাবার খাইয়ে বড় করা হয়।

তিনি বলেন, বাগেরহাটে বড় ষাঁড় স্থানীয় বাজারে বিক্রি হয় না। তাই চলমান করোনা পরিস্থিতিতে জনগণের স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনা করে অনলাইনের মাধ্যমে ষাঁড়গুলোকে বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছি বলে জানান তিনি। -ঢাকাপোস্ট


সর্বশেষ সংবাদ

দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com

সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

আমাদের ফেসবুক পেজ   https://www.facebook.com/deshdiganta.cbna24 লাইক দিন এবং অভিমত জানান

সংবাদটি শেয়ার করুন